ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

কমরেড মণি সিংহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ফাইল ছবি

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধ-কালীন অস্থায়ী সরকারের উপদেষ্টা কমরেড মণি সিংহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বিপ্লবী এই নেতা ১৯৯০ সালের এই দিনে মারা যান।

মণি সিংহের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণীতে বলেন, আজীবন সংগ্রামী মহান জননেতা মণি সিংহের জীবন যুগ যুগ ধরে তরুণদের সামনে আদর্শ ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

মণি সিংহের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সিপিবিসহ বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল সাড়ে ৭টায় পোস্তগোলা শশ্মানঘাটে কমরেড মণি সিংহের স্মৃতিস্তম্ভে এবং সকালে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কমরেড তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

এছাড়া মণি সিংহ স্মরণে আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ দিনব্যাপী নেত্রকোনার সুসং দুর্গাপুরের টংক শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে কমরেড মণি সিংহ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম এক বিবৃতিতে কমরেড মণি সিংহের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

উপমহাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম স্থপতি কমরেড মণি সিংহের জন্ম ১৯০১ সালে। ১৯২৫ সালে মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেন তিনি। ১৯২৮ সাল থেকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন।

১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বিভিন্ন আন্দোলনে জড়িত থাকায় বেশ কয়েকবার জেলে যেতে হয়েছে তাকে। ১৯৫১ সালে প্রথমবারের মতো কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নিযুক্ত হন তিনি।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তাকে অস্থায়ী প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা করা হয়। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায় ও শোষণমুক্ত সমাজের আদর্শ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও অগ্রগামী ছিলেন তিনি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

কমরেড মণি সিংহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আপডেট টাইম ০৩:৩২:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধ-কালীন অস্থায়ী সরকারের উপদেষ্টা কমরেড মণি সিংহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বিপ্লবী এই নেতা ১৯৯০ সালের এই দিনে মারা যান।

মণি সিংহের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণীতে বলেন, আজীবন সংগ্রামী মহান জননেতা মণি সিংহের জীবন যুগ যুগ ধরে তরুণদের সামনে আদর্শ ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

মণি সিংহের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সিপিবিসহ বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল সাড়ে ৭টায় পোস্তগোলা শশ্মানঘাটে কমরেড মণি সিংহের স্মৃতিস্তম্ভে এবং সকালে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কমরেড তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

এছাড়া মণি সিংহ স্মরণে আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ দিনব্যাপী নেত্রকোনার সুসং দুর্গাপুরের টংক শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে কমরেড মণি সিংহ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম এক বিবৃতিতে কমরেড মণি সিংহের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

উপমহাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম স্থপতি কমরেড মণি সিংহের জন্ম ১৯০১ সালে। ১৯২৫ সালে মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেন তিনি। ১৯২৮ সাল থেকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন।

১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বিভিন্ন আন্দোলনে জড়িত থাকায় বেশ কয়েকবার জেলে যেতে হয়েছে তাকে। ১৯৫১ সালে প্রথমবারের মতো কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নিযুক্ত হন তিনি।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তাকে অস্থায়ী প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা করা হয়। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায় ও শোষণমুক্ত সমাজের আদর্শ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও অগ্রগামী ছিলেন তিনি।