কালাচাঁদ আউলিয়া কালাচাঁদ ফকির নামেও পরিচিত। মেলা আরম্ভের ২/৩ দিন আগে থেকেই এখানে প্রচুর লোক সমাগম হতে শুরু করে। দোকানিরা মেলা প্রাঙ্গণ ও তার আশপাশের এলাকায় পশরা সাজিয়ে বসে। দণিাঞ্চলসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার ভক্ত ও আশেকানবৃন্দ এ মেলা দেখতে আসে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেও ভক্ত ও দর্শনার্থীরা আসে। রাতভর চলে ওরস, মুর্শিদী ও মাইজভারী গান। ভক্তবৃন্দ কালাচাঁদ আউলিয়ার মাজারে আগরবাতি আর মোমবাতি দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। জনশ্রুতি আছে, ২০৩ বছর আগে ছোট অবস্থায় কালাচাঁদ আউলিয়া পানগুছি নদীতে ভেসে এসেছিল এবং বারইখালী কাজী বাড়ি এলাকায় আস্তানা গেড়েছিল। লোকমুখে রয়েছে তার বিভিন্ন ধরনের অলৌকিক কাহিনি। মাজারের খাদেম ডাবলু কাজী বলেন, প্রশাসনের নির্দেশে এ ঐতিহ্যবাহী মেলা বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি মেলা অনুষ্ঠানের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে ও আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কোন অনুমতি মেলেনি। পৌর সভা ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহিন শেখ জানান, নির্বাচনের কারনে এ মেলা প্রশাসনের নির্দেশে বন্ধ করা হয়েছে।
দুই বছর ধরে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়নে এ মেলা চলে আসছে। পদাধিকার বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ মেলা কমটির সভাপতি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান বলেন, নির্বাচনের কারনে এ মেলা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। নির্বাচনের পর যে কোন সুবিধাজনক সময়ে মেলার আয়োজন করা হবে।