জোবাইর বিন জিহাদী,সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ সাধারণত আমরা দেখি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কিংবা এসপি’র আগমন আর বিদায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় এবং সংবর্ধিত করা হয়।কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম ঘটলো সাতকানিয়ায়।চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় অবসর নেওয়া এক কনস্টেবলকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় দিল সাতকানিয়া থানা পুলিশ।দীর্ঘ ৩৯ বছরের চাকরী শেষে এ যেন এক রাজকীয় বিদায়।
২৯ জুন (বুধবার) তার সর্বশেষ কর্মস্থল চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার পক্ষ থেকে এক বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে অবসরে পাঠানো হয়।
বিদায় অনুষ্ঠানে সাতকানিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ হান্নানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কুমার দে, থানায় কর্মরত এসআই, এএসআই, কনস্টেবল ও মহিলা কনস্টেবল সহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
সাতকানিয়া থানায় কর্মরত অবস্থায় ৫৮ বছর বয়সে অবসরে আব্দুল মান্নান।কর্মস্থল হিসেবে সাতকানিয়ায় শেষ ঠিকানা।গত ৪ আগষ্ট ২০২১ইং তারিখে সাতকানিয়া থানায় যোগদান করেন কনস্টেবল আব্দুল মান্নান।তার চাকুরী জীবনে তিনি বগুড়া, সৈয়দপুর, খুলনা ও চট্টগ্রামের মিরসরাই, লোহাগাড়া ও সর্বশেষ সাতকানিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন।
একনিষ্ঠ এই কনস্টেবলের বিদায়ী লগ্নে আবেগাপ্লুত হয়ে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান বলেন, বিদায় আমাদের অনিবার্য। আজ চাকুরী থেকে বিদায় নিলামতো কাল জীবন থেকে। তবে এই ক্ষুদ্র সময়ে কে কতটুকু ভাল কাজ করতে পারলাম এটা দেখার বিষয়।
তিনি আরো বলেন, পুলিশের চাকুরী অনেকটা কঠিন। এই চাকুরী থেকে তারাই স্ব-সম্মানে বিদায় নিতে পারে যারা সঠিক নির্দেশনা মেনে চাকুরী জীবন পার করে। আব্দুল মান্নান একজন নির্দেশ মান্যকারী সৎ পুলিশ সদস্য ছিলেন বিদায় আজ তার আড়ম্বরপূর্ণ বিদায়ী সংবর্ধনা।
উল্লেখ্য, আব্দুল মান্নান ১৯৮৩ সালের ১ আগষ্ট বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর থানার কান্ত নগরে হলেও তিনি পরিবার নিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া এলাকায় নিজস্ব বাড়িতে থাকেন।এক ছেলে এক মেয়ে সন্তানের বাবা তিনি।আনুষ্ঠানিক বিদায়ে শেষ নয়,যথারীতি অনুসারে বিদায়ী লগ্নে পুলিশের গাড়িতে করেই তাকে তার নিকটস্থ বাড়িতে পাঠানো হয়।