আমিনুল ইসলাম আল-আমিনঃ

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ৭নং মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে কাজী মো.মিজানুর রহমানকে দেখতে চায় মোহনপুর ইউনিয়নবাসী ।

গতকাল ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মোহনপুর ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড বাসীর উদ্যােগে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন ৷
এতে সভাপতিত্ব করেন মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রধান, এলাকাবাসীর অনুরোধে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি, বিশিষ্ট শিল্পপতি, মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং মতলব উওর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মিজানুর রহমান বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭নং মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে চার বারের সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখহাসিনা বিশ্ব মানবতার মা আমাকেই আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন এটা আমার বিশ্বাস ৷

আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে উন্নয়নকে প্রান্তিক জনগনের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়ে মোহনপুরকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলব ৷

তিনি আরোও বলেন,আমি শতভাগ আশাবাদী। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা, বিশ্ব-মানবতার মা,সফল রাষ্ট্রনায়ক, দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবার আমাকেই মোহনপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে জনগণের সেবা করার সুযোগ দিবেন। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে দারিদ্রমুক্ত,মাদক মুক্ত, দূর্নীতি মুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত, ধর্ষণ মুক্ত সমাজ গঠন করাই আমার লক্ষ্য। তাই মানুষের জন্য কাজ করতে চাই ৷ সারা জীবন মানুষের পাশে থেকে গণ মানুষের কাজ করব এবং মোহনপুর ইউনিয়নকে একটি রোল মডেল ডিজিটাল ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাব। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে সোনার বাংলা হিসেবে ঘোষনা করা হবে বাংলাদেশকে ৷ সেই সাথে মোহনপুর ইউনিয়নকেও উন্নয়নের মাধ্যমে একটি রোল মডেল ইউনিয়ন ঘোষনা করা হবে ৷ শেখহাসিনা আমাকে নৌকা প্রতিক দিলে আমি নির্বাচন করব আর না দিলে যাকে নৌকা প্রতিক দিবে তার পক্ষেই কাজ করব ৷
আর আমি চেয়ারম্যান না হলেও আপনাদের পাশে ছিলাম আগামীতেও
থাকব ৷ আমি বেচেঁ থাকতে আর কোন গোষ্টি আপনাদের ওপর অত্যাচার করতে পারবেনা ৷ আমি আপনাদের সর্বস্তরের মানুষের কাছে দোয়া ও সমর্থন চাই।

উপজেলা যুবলীগের সদস্য কাজী হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন,
মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল মেম্বার,আওয়ামীলীগ নেতা ফজলুল হক সরকার,উকিল ঢালী,কাশেম,আনসার উদ্দিন,মোঃ মিন্টু মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জয়,মোহনপুর ইউনিয়ন মহিলা লীগের সভাপতি লাভলী বেগম,সাধারণ সম্পাদিকা মানছুরা হাওলাদার,মহিলা নেত্রী লুৎফা বেগম,মোহনপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রাজ্বাক প্রধান,সাধারণ সম্পাদক আমিন কবিরাজ,৫নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি দুলাল বেপারী, সহ-সভাপতি দিদার বেপারী, আরশাদ আলী তপাদার,সাধারণ সম্পাদক ও মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য শাহাদাত হোসেন,৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমজাদ বেপারী প্রমুখ ৷

মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান গত ৩০টি বছর ধরে আমাদেরকে জিম্বিকরে লুট-পাট করেছে আমরা বিচার চেয়ে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি ৷ আমরা তাদের ভয়ে সত্য কথা বলতে পারিনাই ৷ আমরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি ৷
আমাদের চরাঞ্চলের মানুষকে তারা সুশন করেছেন ৷ আমরা নানা অত্যাচারে অত্যাচারিত হয়ে কাজী মিজান ভাইয়ের স্বরাপন্ন হলে তিনি আমাদেরকে অত্যাচারিদের হাত থেকে রক্ষা করে আমাদেরকে আশ্রয় দেন ৷ এবং কাজী মিজানুর রহমান ভাইয়ের আশ্রায় দেওয়ার কারনে গত ৩টি বছর ধরে আমরা সুখে-শান্তিতে বসবাস করছি ৷ আমরদের মনে হচ্ছে ৩০ বছর পর আমারা স্বাধীনতা পেয়েছি৷ তাই আমরা চরাঞ্চলের পক্ষ থেকে আগামী নির্বাচনে মোহনপুর ইউনিয়ন থেকে কাজী মিজানুর রহমান ভাইকে আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতিকের প্রার্থী দিতে জননেত্রী শেখহাসিনার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি ৷

এলাকাবাসী বিশ্বাস করেন কাজি মিজানুর রহমান মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এই মোহনপুরের সার্বিক উন্নয়ন হবে । এলাকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন চেয়ারম্যান হিসেবে কাজী মিজানুর রহমান আগামীতে প্রতিনিধিত্ব করলে মোহনপুর ইউনিয়নের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হবে।

তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উজ্জীবিত সৈনিক ও তরুণ প্রজন্মের অহংকার এবং অনুকরনীয় আদর্শ – এমনটিই মনে করেন মোহনপুরবাসী ৷
এসময় মোহনপুর ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সহশ্রাধিক নারি-পুরুষ সহ আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ৷