মোহাম্মদ মনির হোসাইন, কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি : কুমিল্লার মুরাদনগরে নিজ উপজেলা বাসিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে বেশ কিছু প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ওই আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকেই জনপ্রিয় এ সংসদ সদস্য এলাকার জনসাধারণের পাশে দাঁড়িয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, খাদ্য সহায়তা প্রদান, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, জীবাণু নাশক স্প্রে ছিটানো, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে বৃত্ত অংকন, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে টিম গঠনসহ নানামুখী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমপি ইউসুফ হারুনের এসব তৎপরতা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। এদিকে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে উপজেলার ২২ টি ইউনিয়নের সকল দরিদ্র জনসাধারণকে ত্রাণ সহায়তা প্রদানের জন্য তিনি প্রায় ২ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করেছেন। জানা যায়, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সারা বিশ্বে এখন অচলাবস্থা বিরাজ করছে। এরই মাঝে বাংলাদেশেও এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। সৃষ্ট এ পরিস্থিতিতে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা কে সংক্রমণমুক্ত রাখতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর গত ১০ মার্চ থেকে তিনি আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগসহ দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং এলাকার সচেতন মহলের সমন্বয়ে ২২ টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে পৃথক সমন্বয় কমিটি গঠন করেন। শুরুতে তিনি ওইসব কমিটির মাধ্যমে লিফলেট বিতরণ এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে সচেতন করার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এছাড়া প্রবাস ফেরত দেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখতে উদ্বুদ্ধ করেন। এরইমধ্যে উপজেলার সকল চিকিৎসকদেরকে পিপিইসহ স্বাস্থ্য সরঞ্জাম প্রদান করেন। জনসাধারণের মাঝে মাস্ক হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেন। এ পর্যন্ত উপজেলায় করুণা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়নি।

তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল চিকিৎসকদেরকে কর্মস্থলে উপস্থিত রেখে জনসাধারণকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করার কাজ নিশ্চিত করেন। এমপি ইউসুফ হারুনের অনুপ্রেরণায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অভিষেক দাশ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সাইফুল ইসলাম কমল, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মনজুর আলম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হাইসহ সকল সরকারি কর্মকর্তাগন নিন্ম আয়ের জনসাধারণের দ্বারে দ্বারে ত্রান সহায়তা পৌঁছে দেন। প্রতিটি সেক্টরে সমন্বিত কার্যক্রম এবং টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে জনসাধারণের সার্বিক সেবা নিশ্চিত করেন। এছাড়া সকল ইউপি চেয়ারম্যান এবং সদস্যদেরকে নিজ নিজ এলাকায় জনসাধারণের পাশে থেকে কাজ করার জন্য নির্দেশনাসহ তাদের সকল কার্যক্রম নিজেই মনিটরিং করেন। জনগণের মাঝে দেয়া ত্রাণ সামগ্রী যেন কোনভাবেই তসরুফ না হয় সে বিষয়টিও নিজেই গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। সম্প্রতি উপজেলার দরিদ্র মানুষকে দীর্ঘমেয়াদী ত্রাণ সহায়তা প্রদানের জন্য তিনি দুই কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করেন। জনপ্রিয় এ সংসদ সদস্যের চমৎকার এসব উদ্যোগ এলাকার জনসাধারণ এবং প্রশাসনসহ সরকারি সকল সংস্থার লোকজনের কাছে প্রশংসিত হয়।

এ বিষয়ে এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়ন এবং জনসাধারণের এই বিপদ মুহূর্ত অনুধাবন করে আমি কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, বিশেষ করে মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসন পুলিশসহ সকল সরকারি কর্মকর্তারা আমার ডাকে সাড়া দিয়ে জনসেবায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে আল্লাহর রহমত আমরা এ ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে পারবো। তিনি বলেন মুরাদনগরের কোন দরিদ্র মানুষ যেন খাদ্য সংকটে না পড়ে সে বিষয়টি আমি গভীরভাবে মনিটরিং করছি। তিনি বলেন আমি ধন্যবাদ জানাই আমার নেতাকর্মীসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে যারা আমার ডাকে সাড়া দিয়ে জনসেবায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন