ঢাকা ১১:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

এমন ‘মার’ আগে খাননি মোস্তাফিজ

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :  প্রথম ওভারটা বেশ ভালোই করলেন। ৩ রান দিলেন। মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্গতি শুরু তাঁর দ্বিতীয় ওভার থেকে। এক ছক্কা আর এক চারে ওই ওভারে ১০ রান নিলেন মার্টিন গাপটিল। এ মার দেখে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা হয়তো ‘ওর কপালে আজ শনি আছে’ ভেবে আক্রমণ থেকে মোস্তাফিজকে সরিয়ে নিলেন। বাঁহাতি পেসারকে আবার নিয়ে আসা হলো ২৪ ওভারে। এই ওভারে কিউইরা তুলল ১১ রান।

মোস্তাফিজ ইনিংসজুড়ে এভাবে মার খেতেই থাকলেন। মার রুবেল হোসেনও খেয়েছেন। তাঁর ৯ম ওভারেই তো নিউজিল্যান্ড নিল ২১ রান। কিন্তু মার খাওয়ায় মোস্তাফিজের ধারে কাছে ছিলেন না বাংলাদেশের আর কোনো বোলার। ২ উইকেট পেয়েছেন ঠিকই কিন্তু ১০ ওভারে ৯৩ রান দেওয়া ‘ফিজ’ প্রশ্ন করতে পারেন, ‘আজ কি বিশ্ব ধোলাই দিবস?’ না বললেও চলছে, এমন ব্যয়বহুল বোলিং মোস্তাফিজ আগে কখনো করেননি। আবির্ভাবেই আলোড়ন তোলা বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি পেসার গত চার বছর ধরেই টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে ‘অটোমেটিক চয়েস’। তিনি যদি ফিট থাকেন এবং বিশ্রাম দেওয়ার কোনো বিষয় না থাকে, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁকে ছাড়া বাংলাদেশ দলের বোলিং আক্রমণ ভাবাই যায় না। তাঁর প্রতি এই যে আস্থা, সেটির প্রতিদান তিনি নিয়মিত দেন। গত বছরও ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সেরা বোলার মোস্তাফিজই ছিলেন। পুরস্কার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন আইসিসি বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে।

আজকের ম্যাচের আগ পর্যন্ত ৪২ ওয়ানডেতে ৭৫ উইকেট পাওয়া মোস্তাফিজের ইকোনমি কোনো ম্যাচেই ৮ ছাড়ায়নি। সর্বোচ্চ ৬৩ রান দিয়েছেন দুবার, দুটিই গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। একটি সেন্ট কিটসে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে, আরেকটি মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। অথচ সেই মোস্তাফিজকে আজ কোনো বোলারই মনে করেননি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা! কিউইরা তাঁকে আজ বাউন্ডারিই মেরেছেন ১০টি। সীমিতওভারের ক্রিকেটে এক ইনিংসে এত বাউন্ডারি আর কখনো খাননি ফিজ! অথচ আজ বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো বোলিং করা মেহেদী হাসান মিরাজের চেয়ে (৯ ওভারে ৪৩ রান দিয়েছেন) বেশি ডট বল দিয়েছেন মোস্তাফিজ—২৩টি। তার মানে ৯৩ রান দিয়েছেন বাকি ৩৭ বলে!

মন খারাপের এই দিনে মোস্তাফিজ অবশ্য সান্ত্বনা পেতে পারেন শফিউলের কাছ থেকে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল কিংবা সবচেয়ে বাজে বোলিংয়ের রেকর্ডটা শফিউলেরই। ২০১০ সালের জুলাইয়ের বার্মিংহামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ ওভারে ৯৭ রান দিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের এই পেসার। বোলিংয়ে অল্পের জন্য ‘সেঞ্চুরি’ ফসকে যাওয়া শফিউল ঠিক আগের মাসেই ২০১০ এশিয়া কাপে ডাম্বুলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে দিয়েছিলেন ১০ ওভারে ৯৫ রান। মুক্ত হস্তে রান বিলানোর এই রেকর্ডে মোস্তাফিজের অবস্থান তিনে। তবে ৯ বছর পর বাংলাদেশের কোনো বোলার ওয়ানডেতে ৯০-এর ওপর রান দিলেন।

ওয়ানডে ইতিহাসে বোলারদের এই লজ্জার রেকর্ডে বাংলাদেশের বোলাররা অবশ্য একটু পিছিয়েই। এখনো পর্যন্ত পাঁচ বোলার রান বিলিয়ে সেঞ্চুরি করেছেন। এর মধ্যে সবার ওপরে আছেন অস্ট্রেলীয় পেসার মিক লুইস, ২০০৬ সালের মার্চে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১৩ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।

সূত্র : প্রথমআলো

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির

এমন ‘মার’ আগে খাননি মোস্তাফিজ

আপডেট টাইম ০৭:১৬:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :  প্রথম ওভারটা বেশ ভালোই করলেন। ৩ রান দিলেন। মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্গতি শুরু তাঁর দ্বিতীয় ওভার থেকে। এক ছক্কা আর এক চারে ওই ওভারে ১০ রান নিলেন মার্টিন গাপটিল। এ মার দেখে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা হয়তো ‘ওর কপালে আজ শনি আছে’ ভেবে আক্রমণ থেকে মোস্তাফিজকে সরিয়ে নিলেন। বাঁহাতি পেসারকে আবার নিয়ে আসা হলো ২৪ ওভারে। এই ওভারে কিউইরা তুলল ১১ রান।

মোস্তাফিজ ইনিংসজুড়ে এভাবে মার খেতেই থাকলেন। মার রুবেল হোসেনও খেয়েছেন। তাঁর ৯ম ওভারেই তো নিউজিল্যান্ড নিল ২১ রান। কিন্তু মার খাওয়ায় মোস্তাফিজের ধারে কাছে ছিলেন না বাংলাদেশের আর কোনো বোলার। ২ উইকেট পেয়েছেন ঠিকই কিন্তু ১০ ওভারে ৯৩ রান দেওয়া ‘ফিজ’ প্রশ্ন করতে পারেন, ‘আজ কি বিশ্ব ধোলাই দিবস?’ না বললেও চলছে, এমন ব্যয়বহুল বোলিং মোস্তাফিজ আগে কখনো করেননি। আবির্ভাবেই আলোড়ন তোলা বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি পেসার গত চার বছর ধরেই টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে ‘অটোমেটিক চয়েস’। তিনি যদি ফিট থাকেন এবং বিশ্রাম দেওয়ার কোনো বিষয় না থাকে, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁকে ছাড়া বাংলাদেশ দলের বোলিং আক্রমণ ভাবাই যায় না। তাঁর প্রতি এই যে আস্থা, সেটির প্রতিদান তিনি নিয়মিত দেন। গত বছরও ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সেরা বোলার মোস্তাফিজই ছিলেন। পুরস্কার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন আইসিসি বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে।

আজকের ম্যাচের আগ পর্যন্ত ৪২ ওয়ানডেতে ৭৫ উইকেট পাওয়া মোস্তাফিজের ইকোনমি কোনো ম্যাচেই ৮ ছাড়ায়নি। সর্বোচ্চ ৬৩ রান দিয়েছেন দুবার, দুটিই গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। একটি সেন্ট কিটসে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে, আরেকটি মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। অথচ সেই মোস্তাফিজকে আজ কোনো বোলারই মনে করেননি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা! কিউইরা তাঁকে আজ বাউন্ডারিই মেরেছেন ১০টি। সীমিতওভারের ক্রিকেটে এক ইনিংসে এত বাউন্ডারি আর কখনো খাননি ফিজ! অথচ আজ বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো বোলিং করা মেহেদী হাসান মিরাজের চেয়ে (৯ ওভারে ৪৩ রান দিয়েছেন) বেশি ডট বল দিয়েছেন মোস্তাফিজ—২৩টি। তার মানে ৯৩ রান দিয়েছেন বাকি ৩৭ বলে!

মন খারাপের এই দিনে মোস্তাফিজ অবশ্য সান্ত্বনা পেতে পারেন শফিউলের কাছ থেকে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল কিংবা সবচেয়ে বাজে বোলিংয়ের রেকর্ডটা শফিউলেরই। ২০১০ সালের জুলাইয়ের বার্মিংহামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ ওভারে ৯৭ রান দিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের এই পেসার। বোলিংয়ে অল্পের জন্য ‘সেঞ্চুরি’ ফসকে যাওয়া শফিউল ঠিক আগের মাসেই ২০১০ এশিয়া কাপে ডাম্বুলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে দিয়েছিলেন ১০ ওভারে ৯৫ রান। মুক্ত হস্তে রান বিলানোর এই রেকর্ডে মোস্তাফিজের অবস্থান তিনে। তবে ৯ বছর পর বাংলাদেশের কোনো বোলার ওয়ানডেতে ৯০-এর ওপর রান দিলেন।

ওয়ানডে ইতিহাসে বোলারদের এই লজ্জার রেকর্ডে বাংলাদেশের বোলাররা অবশ্য একটু পিছিয়েই। এখনো পর্যন্ত পাঁচ বোলার রান বিলিয়ে সেঞ্চুরি করেছেন। এর মধ্যে সবার ওপরে আছেন অস্ট্রেলীয় পেসার মিক লুইস, ২০০৬ সালের মার্চে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১৩ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।

সূত্র : প্রথমআলো