ঢাকা ০৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

এবার হালদা রেণুর মূল্য দিগুণ, ভেজাল রেণু বিক্রয়ে প্রশাসনের সতর্কতা

রাহাত মামুন
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা

হালদা নদীতে সংগৃহীত ডিম থেকে উৎপাদিত রেণু গতকাল রোববার থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে। এবার প্রতি কেজি রেণু বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। এ বছর নদী থেকে কম ডিম সংগৃহীত হওয়ায় রেণুর দাম দ্বিগুণ।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে নদীতে লবণাক্ত পানি ঢোকায় মা মাছ ডিম কম ছেড়েছে। এছাড়া হ্যাচারির অব্যবস্থাপনার কারণেও ডিম নষ্ট হয়ে গেছে। ডিম কম পাওয়ার পাশাপাশি ডিম নষ্ট হওয়ার কারণে এবার রেণুর দাম বেশি। গত বছর প্রতি কেজি রেণু বিক্রি হয়েছিল ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকায়। সেই রেণু এবার বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৪০ টাকায়।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রুহুল আমীন বলেন, রোববার থেকে রেণু বিক্রি শুরু হয়েছে। ডিম কম পাওয়ায় রেণুর দাম বেশি।

মৎস্যজীবীদের হিসাব অনুসারে, কেজিতে প্রায় দুই লাখ রেণু পাওয়া যায়। হালদার রেণু উৎপাদনকারীরা জানান, রাউজান-হাটহাজারীর মৎস্য বিভাগের চারটি হ্যাচারির মধ্যে তিনটিতে ডিম ফুটিয়ে তারা সফলতা পেলেও অপর একটিতে (শাহ মাদারী হ্যাচারি) যারা ডিম নিয়েছেন তাদের কপাল পুড়েছে। সেখানে লোনা পানির কারণে প্রায় ডিম নষ্ট হয়ে গেছে। এই হ্যাচারিতে মিঠা পানির যোগান না থাকায় ব্যবহার করা হয়েছিল নদীর লবনাক্ত পানি। এছাড়া মাটির কুয়ায় যারা ডিম ফোটানোর ব্যবস্থা করেছিল তাদের কুয়ায়ও লোনা পানি ঢুকে পড়ায় একই অবস্থা হয়েছে।

গতকাল থেকে পূর্ণমাত্রায় রেণু বিক্রি শুরু করেছেন মৎস্যজীবীরা। এই সুযোগে ক্রেতাদের সাথে অসৎ রেণু বিক্রেতারা যাতে প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য তারা ক্রেতাদের সতর্ক করেছেন। তাদের আশঙ্কা, হালদা পাড়ের কতিপয় অসৎ ব্যবসায়ী বাইরের রেণু এনে হালদার রেণু হিসাবে বিক্রির চেষ্টা করতে পারে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

এবার হালদা রেণুর মূল্য দিগুণ, ভেজাল রেণু বিক্রয়ে প্রশাসনের সতর্কতা

আপডেট টাইম ০১:৫৫:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১

রাহাত মামুন
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা

হালদা নদীতে সংগৃহীত ডিম থেকে উৎপাদিত রেণু গতকাল রোববার থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে। এবার প্রতি কেজি রেণু বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। এ বছর নদী থেকে কম ডিম সংগৃহীত হওয়ায় রেণুর দাম দ্বিগুণ।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে নদীতে লবণাক্ত পানি ঢোকায় মা মাছ ডিম কম ছেড়েছে। এছাড়া হ্যাচারির অব্যবস্থাপনার কারণেও ডিম নষ্ট হয়ে গেছে। ডিম কম পাওয়ার পাশাপাশি ডিম নষ্ট হওয়ার কারণে এবার রেণুর দাম বেশি। গত বছর প্রতি কেজি রেণু বিক্রি হয়েছিল ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকায়। সেই রেণু এবার বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৪০ টাকায়।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রুহুল আমীন বলেন, রোববার থেকে রেণু বিক্রি শুরু হয়েছে। ডিম কম পাওয়ায় রেণুর দাম বেশি।

মৎস্যজীবীদের হিসাব অনুসারে, কেজিতে প্রায় দুই লাখ রেণু পাওয়া যায়। হালদার রেণু উৎপাদনকারীরা জানান, রাউজান-হাটহাজারীর মৎস্য বিভাগের চারটি হ্যাচারির মধ্যে তিনটিতে ডিম ফুটিয়ে তারা সফলতা পেলেও অপর একটিতে (শাহ মাদারী হ্যাচারি) যারা ডিম নিয়েছেন তাদের কপাল পুড়েছে। সেখানে লোনা পানির কারণে প্রায় ডিম নষ্ট হয়ে গেছে। এই হ্যাচারিতে মিঠা পানির যোগান না থাকায় ব্যবহার করা হয়েছিল নদীর লবনাক্ত পানি। এছাড়া মাটির কুয়ায় যারা ডিম ফোটানোর ব্যবস্থা করেছিল তাদের কুয়ায়ও লোনা পানি ঢুকে পড়ায় একই অবস্থা হয়েছে।

গতকাল থেকে পূর্ণমাত্রায় রেণু বিক্রি শুরু করেছেন মৎস্যজীবীরা। এই সুযোগে ক্রেতাদের সাথে অসৎ রেণু বিক্রেতারা যাতে প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য তারা ক্রেতাদের সতর্ক করেছেন। তাদের আশঙ্কা, হালদা পাড়ের কতিপয় অসৎ ব্যবসায়ী বাইরের রেণু এনে হালদার রেণু হিসাবে বিক্রির চেষ্টা করতে পারে।