ঢাকা ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

এক মাসেও গ্রেফতার হয়নি মূল আসামী, উল্টো মামলা তুলে নিতে হুমকি

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:  নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী আছিয়া আক্তার নুপুরকে আগুনে ঝলসে দেয়ার ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হলেও মূল আসামী নুপুরের স্বামী ইয়াছিন চৌধুরী (২৭) কে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে মামলা তুলে নিতে আসামী পক্ষ উল্টো নানাভাবে হুমকি প্রদান করে আসছে বলে নুপুরের পরিবারের অভিযোগ করেছেন। অসহায় পরিবারটি পুলিশের ভুমিকায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

ভূক্তভোগী ঐ পরিবার জানায়, গত ৩১ আগষ্ট দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টায় মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকায় যৌতুকের দাবিতে আছিয়া আক্তার নূপুরকে (২০) ঘরে ভেতরে রেখেই আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এতে জানালার পর্দায় আগুন ধরে গেলে সেই আগুনই আছিয়া আক্তার নুপুরে শরীরে এসে পড়ে। এতে নুপুরের বাম হাত ঝলসে যায় এবং মাথার কিছু চুল পুড়ে যায়। আছিয়ার চিৎকার শুনে আশে-পাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় গত ১ সেপ্টেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করার পর পুলিশ অনেক গড়িমশির করে পরদিন রাতে পুলিশের পরামর্শেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শুধুমাত্র স্বামী ইয়াছিন চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে আসামী করে পুলিশ মামলা (নং ০৫, তাং ২/৯/২০১৯ইং) গ্রহণ করে। পরে এ মামলায় নুপুরের শ্বাশুড়ি রুমানা আক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গৃহবধূর নুপুরের বাবা দুলাল মিয়া জানান, নুপুরের শ্বশুর আলাউদ্দিন চৌধুরীকে দেখিয়ে দেয়ার পরও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামরুল ইসলাম রহস্যজনক কারণে তাকে গ্রেফতার করেননি।

দুলাল মিয়া আরো বলেন, লোকমারফত মামলা তুলে নিতে আসামী পক্ষ হুমকি প্রদান করে আসছে। তারা আমাদেরকে এলাকায় থাকতে দেবে না। এছাড়া আমাদের নিয়ে নানা ধরণের কুৎসাও রটাচ্ছে। আমাদের পুরো পরিবার তাদের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। তিনি আরো জানান, ইয়াছিন চৌধুরী প্রতিদিনই এলাকায় আসা-যাওয়া করছে। এলাকার প্রভাবশালীরা ইয়াছিনদের পক্ষ নিয়েছে। এতে আমরা আরো অসহায় হয়ে পড়েছি। এখন মেয়ে হত্যার চেষ্টার স্ষ্ঠুু বিচারের আশায় প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্থানে হণ্য হয়ে ঘুরছি। কিন্তু কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। তিনি আরো বলেন, আমি হতদরিদ্র লোক। তাই অঢেল টাকা-পয়সা খরচ করার সামথ্য আমার নেই। তাই আইন আমাদের কথা বলছে না।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম বলেন, আসামী ইয়াছিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক জানান, এ মামলায় ইয়াছিন ছাড়া অন্যান্যদের গ্রেফতারের সুযোগ নেই। এ মামলার তদন্ত চলছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান, এ মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি ভালো করে দেখভাল করা হচ্ছে। ##

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

এক মাসেও গ্রেফতার হয়নি মূল আসামী, উল্টো মামলা তুলে নিতে হুমকি

আপডেট টাইম ০২:০০:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০১৯

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:  নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী আছিয়া আক্তার নুপুরকে আগুনে ঝলসে দেয়ার ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হলেও মূল আসামী নুপুরের স্বামী ইয়াছিন চৌধুরী (২৭) কে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে মামলা তুলে নিতে আসামী পক্ষ উল্টো নানাভাবে হুমকি প্রদান করে আসছে বলে নুপুরের পরিবারের অভিযোগ করেছেন। অসহায় পরিবারটি পুলিশের ভুমিকায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

ভূক্তভোগী ঐ পরিবার জানায়, গত ৩১ আগষ্ট দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টায় মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকায় যৌতুকের দাবিতে আছিয়া আক্তার নূপুরকে (২০) ঘরে ভেতরে রেখেই আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এতে জানালার পর্দায় আগুন ধরে গেলে সেই আগুনই আছিয়া আক্তার নুপুরে শরীরে এসে পড়ে। এতে নুপুরের বাম হাত ঝলসে যায় এবং মাথার কিছু চুল পুড়ে যায়। আছিয়ার চিৎকার শুনে আশে-পাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় গত ১ সেপ্টেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করার পর পুলিশ অনেক গড়িমশির করে পরদিন রাতে পুলিশের পরামর্শেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শুধুমাত্র স্বামী ইয়াছিন চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে আসামী করে পুলিশ মামলা (নং ০৫, তাং ২/৯/২০১৯ইং) গ্রহণ করে। পরে এ মামলায় নুপুরের শ্বাশুড়ি রুমানা আক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গৃহবধূর নুপুরের বাবা দুলাল মিয়া জানান, নুপুরের শ্বশুর আলাউদ্দিন চৌধুরীকে দেখিয়ে দেয়ার পরও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামরুল ইসলাম রহস্যজনক কারণে তাকে গ্রেফতার করেননি।

দুলাল মিয়া আরো বলেন, লোকমারফত মামলা তুলে নিতে আসামী পক্ষ হুমকি প্রদান করে আসছে। তারা আমাদেরকে এলাকায় থাকতে দেবে না। এছাড়া আমাদের নিয়ে নানা ধরণের কুৎসাও রটাচ্ছে। আমাদের পুরো পরিবার তাদের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। তিনি আরো জানান, ইয়াছিন চৌধুরী প্রতিদিনই এলাকায় আসা-যাওয়া করছে। এলাকার প্রভাবশালীরা ইয়াছিনদের পক্ষ নিয়েছে। এতে আমরা আরো অসহায় হয়ে পড়েছি। এখন মেয়ে হত্যার চেষ্টার স্ষ্ঠুু বিচারের আশায় প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্থানে হণ্য হয়ে ঘুরছি। কিন্তু কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। তিনি আরো বলেন, আমি হতদরিদ্র লোক। তাই অঢেল টাকা-পয়সা খরচ করার সামথ্য আমার নেই। তাই আইন আমাদের কথা বলছে না।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম বলেন, আসামী ইয়াছিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক জানান, এ মামলায় ইয়াছিন ছাড়া অন্যান্যদের গ্রেফতারের সুযোগ নেই। এ মামলার তদন্ত চলছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান, এ মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি ভালো করে দেখভাল করা হচ্ছে। ##