ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে দিনভর গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন গজারিয়ায় নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু চরফ্যাসনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৯।।

উলিপুরে তিস্তা নদীর ভাঙনে,বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি

নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নে তিস্তা নদীর ভয়াবহ ভাঙনের মুখে চার দিনের ব্যবধানে তিন গ্রামের আড়াই শতাধিক বাড়িঘর বিলীন হয়ে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে মানুষ।  তিস্তার প্রবল ভাঙনে বিলিন হয়েছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, দুটি মসজিদ, একটি মন্দির, ঈদগাহ মাঠ, বজরা পশ্চিমপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, পুরাতন বজরা বাজার ও একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বজরা ইউনিয়নের পশ্চিম কালপানি বজরা, কালপানি বজরা ও সাতালস্কর গ্রামের প্রায় দু’কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলমান ভয়াবহ ভাঙনের তীব্রতায় বাড়ীঘরের পাশাপাশি ৫শ বিঘা ফসলি জমিসহ মানুষের শেষ সম্বলটুকুও গ্রাস করেছে তিস্তা। ভাঙনের তীব্রতায় চোখের নিমিষে নদীগর্ভে বিলিনের হাত থেকে বাঁচতে ভাঙন কবলিত এলাকায় দ্রুত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করলেও চেয়ারম্যান-মেম্বাররা শুধু দেখে গেছেন। তাদের নাকি কিছুই করার নেই।দুর্দশাগ্রস্ত ভিটেমাটি হারানো অনেক পরিবার বৃষ্টির মধ্যেই খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
বজরা ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত মোজাম্মেল হক বলেন,তিস্তার ভাঙনে ঘর-বাড়ি হারায়া তিন দিন থাকি খোলা আকাশের নিচে আছি, যাওয়ার কোনো জায়গা নাই। পাশে একজনের বাড়ির আঙিনাত আপাতত আশ্রয় নিচি, পরেকই যামো জানি না।
উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল কুমার জানান,চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের ভাঙন কবলিতদের দ্রুততম সময়ে তালিকা করতে বলা হয়েছে। তালিকা পেলেই সহযোগিতা শুরু করা হবে। এছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আমরা ভাঙনের বিষয়গুলো আপডেট করেছি। বাজেট না থাকায় তারা মুভমেন্ট করতে পারছে না বলে জানিয়েছে। আর খোলা আকাশের নিচে কেউ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,দুই যুগ আগে তিস্তার মূল নদীর স্রোত ছিল এই এলাকা দিয়ে। গ্রামগুলোর উজানে নদী শাসনের ব্যবস্থা নেওয়ায় এখানে হঠাৎ করে ভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর

উলিপুরে তিস্তা নদীর ভাঙনে,বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি

আপডেট টাইম ০৭:২৭:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নে তিস্তা নদীর ভয়াবহ ভাঙনের মুখে চার দিনের ব্যবধানে তিন গ্রামের আড়াই শতাধিক বাড়িঘর বিলীন হয়ে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে মানুষ।  তিস্তার প্রবল ভাঙনে বিলিন হয়েছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, দুটি মসজিদ, একটি মন্দির, ঈদগাহ মাঠ, বজরা পশ্চিমপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, পুরাতন বজরা বাজার ও একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বজরা ইউনিয়নের পশ্চিম কালপানি বজরা, কালপানি বজরা ও সাতালস্কর গ্রামের প্রায় দু’কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলমান ভয়াবহ ভাঙনের তীব্রতায় বাড়ীঘরের পাশাপাশি ৫শ বিঘা ফসলি জমিসহ মানুষের শেষ সম্বলটুকুও গ্রাস করেছে তিস্তা। ভাঙনের তীব্রতায় চোখের নিমিষে নদীগর্ভে বিলিনের হাত থেকে বাঁচতে ভাঙন কবলিত এলাকায় দ্রুত প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করলেও চেয়ারম্যান-মেম্বাররা শুধু দেখে গেছেন। তাদের নাকি কিছুই করার নেই।দুর্দশাগ্রস্ত ভিটেমাটি হারানো অনেক পরিবার বৃষ্টির মধ্যেই খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
বজরা ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত মোজাম্মেল হক বলেন,তিস্তার ভাঙনে ঘর-বাড়ি হারায়া তিন দিন থাকি খোলা আকাশের নিচে আছি, যাওয়ার কোনো জায়গা নাই। পাশে একজনের বাড়ির আঙিনাত আপাতত আশ্রয় নিচি, পরেকই যামো জানি না।
উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল কুমার জানান,চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের ভাঙন কবলিতদের দ্রুততম সময়ে তালিকা করতে বলা হয়েছে। তালিকা পেলেই সহযোগিতা শুরু করা হবে। এছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আমরা ভাঙনের বিষয়গুলো আপডেট করেছি। বাজেট না থাকায় তারা মুভমেন্ট করতে পারছে না বলে জানিয়েছে। আর খোলা আকাশের নিচে কেউ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,দুই যুগ আগে তিস্তার মূল নদীর স্রোত ছিল এই এলাকা দিয়ে। গ্রামগুলোর উজানে নদী শাসনের ব্যবস্থা নেওয়ায় এখানে হঠাৎ করে ভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।