ঢাকা ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

উন্নয়নে বদলে গেছে বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জের চিত্র

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় এমপি আবদুল মজিদ খান বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলাকে বদলে দিয়েছেন। দুই উপজেলাকে উন্নত করেছেন উন্নয়নের মডেল হিসেবে। টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মজিদ খান।

গত ১০ বছরে তিনি প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন ঘটিয়ে পাল্টে দিয়েছেন দুই উপজেলার চিত্র। তার উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে ১১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে শরীফ উদ্দিন সড়ক, ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ ভায়া শিবপাশা সড়ক ও ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বানিয়াচং-নবীগঞ্জ সড়ক নির্মাণ। আজমিরীগঞ্জ উপজেলা শতভাগ ও বানিয়াচং উপজেলায় ৮৫ ভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। বানিয়াচং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এমপি মজিদ খানের এসব উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন- হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীতকরণসহ ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছেন আজমিরীগঞ্জ থেকে কাকাইলছেও, আজমিরীগঞ্জ থেকে পাহাড়পুর সড়ক। ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বানিয়াচং আদর্শবাজার থেকে আজমিরীগঞ্জ পাহাড়পুর বাজার পর্যন্ত ডুবন্ত সড়ক নির্মাণ। বানিয়াচং খাগাউরা থেকে দুলিয়া-গুনই-বড়ইউরি ভায়া বানিয়াচং কাগাপাশা উন্নয়নের ব্যয় ২০ কোটি টাকা। ৭কোটি টাকা মাকুর্লীবাজার-করচা-তেলগড়ি-কবিরপুর ভায়া পাহাড়পুর সড়ক নির্মাণে ও ১৫ কোটি ইকরামবাজার-কুমড়ী-দূর্গাপুর সড়ক নির্মাণে করেছেন। ৬১টি ব্রিজ নির্মাণ করেছেন। বানিয়াচং সদরসহ দুটি উপজেলার ২০টি ইউপিতে বহু ছোট-বড় সড়ক নির্মাণ করেছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে যেমন গতি এসেছে, তেমনি আর্থ সামাজিক অবস্থারও পরিবর্তন এসেছে। বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। স্কুল-কলেজ সরকারি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের হবিগঞ্জ-সিলেট শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা কমেছে। ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্ত করেছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪০টি নতুন ভবন নির্মাণ, দুটি কলেজ ও একটি মাধ্যমিক স্কুলসহ দুটি উপজেলায় ৬৮টি বেরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারী হয়েছে। ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন ও ৬টি নতুন প্রাইমারী স্কুল স্থাপন করা হয়েছে। সুফিয়া মতিন মহিলা কলেজ ও শচীন্দ্র ডিগ্রি কলেজে অনার্স চালু হয়েছে। বানিয়াচং ৩১ শয্যার হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। ৩৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনসহ ৮টি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ স্থাপিত করেছেন।

কৃষির উন্নয়নে ৯৩ কোটি ব্যয়ে মকার হাওর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। ২কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে বানিয়াচং ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন, ১১টি ইউনিয়ন কমপ্লেক্স, ৪টি খাদ্যগুদাম, সাড়ে ৩কোটি টাকা ব্যয়ে আজমিরীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করেছেন। ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কাকাইলছেও বাজার, পাহাড়পুরবাজার রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও দুটি উপজেলার প্রত্যেকটি মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও শ্মশান, ঈদগাহে উন্নয়ন করেছেন। কৃষি খাতেও এগিয়ে যাচ্ছে উপজেলা দুটি।

এলাকাবাসীর দাবি, আগে যেখানে শুধু ধান ছাড়া অন্য ফসল আবাদ করত না কেউ, এখন অধিকাংশ কৃষক পরিবার বাণিজ্যিকভাবে লাউ, কুমড়া, টমেটো, ক্ষিরা, বেগুন উৎপাদন করছে। সড়ক ও সেতু তৈরি হওয়ায় পণ্য উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে তারা দ্রুত পাঠাতে পারছেন। মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হচ্ছেন। ভালো স্কুলে সন্তানদের পড়াশোনা করাতে ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চিকিৎসা করতে পারছেন গ্রামের মানুষ। একমাত্র গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নের কারণে এগুলো সম্ভব হচ্ছে।

সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে দেশব্যাপী অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। হবিগঞ্জ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলায়। এ দুটি উপজেলার চলমান উন্নয়ন কাজকে দ্রুত এগিয়ে নিতে দল ও মতের উর্ধ্বে থেকে সবাইকে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহবান জানান।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

উন্নয়নে বদলে গেছে বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জের চিত্র

আপডেট টাইম ০২:০০:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় এমপি আবদুল মজিদ খান বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলাকে বদলে দিয়েছেন। দুই উপজেলাকে উন্নত করেছেন উন্নয়নের মডেল হিসেবে। টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মজিদ খান।

গত ১০ বছরে তিনি প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন ঘটিয়ে পাল্টে দিয়েছেন দুই উপজেলার চিত্র। তার উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে ১১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে শরীফ উদ্দিন সড়ক, ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ ভায়া শিবপাশা সড়ক ও ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বানিয়াচং-নবীগঞ্জ সড়ক নির্মাণ। আজমিরীগঞ্জ উপজেলা শতভাগ ও বানিয়াচং উপজেলায় ৮৫ ভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। বানিয়াচং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এমপি মজিদ খানের এসব উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন- হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীতকরণসহ ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছেন আজমিরীগঞ্জ থেকে কাকাইলছেও, আজমিরীগঞ্জ থেকে পাহাড়পুর সড়ক। ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বানিয়াচং আদর্শবাজার থেকে আজমিরীগঞ্জ পাহাড়পুর বাজার পর্যন্ত ডুবন্ত সড়ক নির্মাণ। বানিয়াচং খাগাউরা থেকে দুলিয়া-গুনই-বড়ইউরি ভায়া বানিয়াচং কাগাপাশা উন্নয়নের ব্যয় ২০ কোটি টাকা। ৭কোটি টাকা মাকুর্লীবাজার-করচা-তেলগড়ি-কবিরপুর ভায়া পাহাড়পুর সড়ক নির্মাণে ও ১৫ কোটি ইকরামবাজার-কুমড়ী-দূর্গাপুর সড়ক নির্মাণে করেছেন। ৬১টি ব্রিজ নির্মাণ করেছেন। বানিয়াচং সদরসহ দুটি উপজেলার ২০টি ইউপিতে বহু ছোট-বড় সড়ক নির্মাণ করেছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে যেমন গতি এসেছে, তেমনি আর্থ সামাজিক অবস্থারও পরিবর্তন এসেছে। বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। স্কুল-কলেজ সরকারি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের হবিগঞ্জ-সিলেট শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা কমেছে। ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্ত করেছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪০টি নতুন ভবন নির্মাণ, দুটি কলেজ ও একটি মাধ্যমিক স্কুলসহ দুটি উপজেলায় ৬৮টি বেরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারী হয়েছে। ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন ও ৬টি নতুন প্রাইমারী স্কুল স্থাপন করা হয়েছে। সুফিয়া মতিন মহিলা কলেজ ও শচীন্দ্র ডিগ্রি কলেজে অনার্স চালু হয়েছে। বানিয়াচং ৩১ শয্যার হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। ৩৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনসহ ৮টি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ স্থাপিত করেছেন।

কৃষির উন্নয়নে ৯৩ কোটি ব্যয়ে মকার হাওর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। ২কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে বানিয়াচং ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন, ১১টি ইউনিয়ন কমপ্লেক্স, ৪টি খাদ্যগুদাম, সাড়ে ৩কোটি টাকা ব্যয়ে আজমিরীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করেছেন। ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কাকাইলছেও বাজার, পাহাড়পুরবাজার রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও দুটি উপজেলার প্রত্যেকটি মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও শ্মশান, ঈদগাহে উন্নয়ন করেছেন। কৃষি খাতেও এগিয়ে যাচ্ছে উপজেলা দুটি।

এলাকাবাসীর দাবি, আগে যেখানে শুধু ধান ছাড়া অন্য ফসল আবাদ করত না কেউ, এখন অধিকাংশ কৃষক পরিবার বাণিজ্যিকভাবে লাউ, কুমড়া, টমেটো, ক্ষিরা, বেগুন উৎপাদন করছে। সড়ক ও সেতু তৈরি হওয়ায় পণ্য উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে তারা দ্রুত পাঠাতে পারছেন। মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হচ্ছেন। ভালো স্কুলে সন্তানদের পড়াশোনা করাতে ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চিকিৎসা করতে পারছেন গ্রামের মানুষ। একমাত্র গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নের কারণে এগুলো সম্ভব হচ্ছে।

সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে দেশব্যাপী অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। হবিগঞ্জ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলায়। এ দুটি উপজেলার চলমান উন্নয়ন কাজকে দ্রুত এগিয়ে নিতে দল ও মতের উর্ধ্বে থেকে সবাইকে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহবান জানান।