ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মাদরাসার ছাত্রী নববধু সুমি আক্তার (১৫) কে
পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত মাদরাসার ছাত্রী উপজেলার বালিপাড়া
ইউনিয়নের ঢেপসাবুনিয়া গ্রামের মিলন মোল্লার কন্যা ও স্থানীয় বালিপাড়া
কওমী মাদরাসার ছাত্রী। সে একই গ্রামের মাস্টার মো: ফারুক হাওলাদার ছেলে
হৃদয় হাওলাদারের স্ত্রী। স্বামী হৃদয় হওলাদার উপজেলা সদরের ইন্দুরকানী
সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
নিহত সুমির মামা মো: মনির হোসেন ফরাজী জানান, সুমির পিতার সাথে মা’য়ের
সম্পর্ক না থাকায় সুমির মা জীবীকার সন্ধানে সৌদি আরব থাকেন। আর সুমি
আমাদের বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করতো। গত এক বছর আগে সুমির সাথে প্রেমের
সম্পর্ক করে ওই হৃদয়ের সাথে বিয়ে হয়। গত ৪-৫ দিন আগে সুমির স্বামী হৃদয়
হাওলাদার সুমিকে তার মায়ের কাছ থেকে টাকা এনে একটি মোটরসাইকেল কিনে দিতে
বলে। এমন প্রস্তাব সুমি প্রত্যাখ্যান করে। এ নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে স্বামী
হৃদয় সুমিকে মারধর করে। এতেই সুমি নিহত হয়। পরে এই হত্যাকে আত্মহত্যা বলে
চালিয়ে দিতে ঘরে থাকা চালের পোকা নিধনের ঔষধ মুখে দেয়া হয়। খবর পেয়ে এ
অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাতে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে
উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলে নেওয়ার পথে সুমির মৃত্যু হয়।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো: এনামুল হক জানান, এ ঘটনায় স্বামী মোঃ হৃদয়
হ্ওালাদার ও তার মা ইয়াসমিন বেগমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়ছে।
লাশ ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারন হত্যা
না আত্মহত্যা তা ময়না তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মশার কয়েলের আগুনে দগ্ধ হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু
ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মশার কয়েলের আগুনে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
হাফসা বেগম (২৪) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার বালিপাড়া
ইউনিয়নের বালিপাড়া গ্রামের ফারুক হাওলাদারের স্ত্রী। মঙ্গলবার রাত ১২টার
দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের পিতা মোসলেম বয়াতি জানান, তার কন্যা ও জামাতা গত শুক্রবার রাতে
খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে খাটের পাশে জ্বালিয়ে রাখা
মশার কয়েল দিয়ে মশারিতে আগুন লাগে। ওই আগুন তার গায়ের ওড়না ও পোশাকে লেগে
সে দগ্ধ হয়। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার
রাতে তার মৃত্য হয়।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, মশার কয়েলের আগুনে দগ্ধ
গৃহবধুর মৃত্যুর খবর জেনে ঘটনা স্থানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে
ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মো: আলতাফ হোসেন