শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মতিয়ার রহমানের লাশ গ্রামের বাড়ি উপজেলার খাতামধূপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের খালিশা বেলপুকুর পৌছলে এলাকায় মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে তাঁর দাফন অনিশ্চয়তার মধ্যে পরে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জুয়েল চৌধুরী। তিনি এলাকার পরিস্থিতি দেখে নিজেই শুরু করেন মৃতার দাফন পূর্ববর্তী পবিত্রতার কাজ। এ সময়ে তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা করেন মৃত ব্যক্তির ছোট ভাই মোঃ সাইদুল ইসলাম চৌধুরী, চেয়ারম্যানের বড়ো ভাই মোঃ হবিবুর রহমান চৌধুরী, ১নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ আজম আলী সরকার, গ্রামপুলিশ মোঃ ফজলার রহমান, মোঃআবুল কালাম এবং মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম (ঝন্টু)।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায় যে, মরহুম মতিয়ার রহমান (৬০) গত এক সপ্তাহ যাবত তীব্র জ্বর ও গলাব্যাথায় ভুগতেছিলেন । গতকাল ১২ জুন শুক্রবার তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্স যোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির জন্য যাওয়ার পথে বারাতী ব্রীজের নিকট দুপুর ১টায় তিনি মারা যান।
মতিয়ার রহমান চৌধুরী বাংলাদেশ রেলওয়ের একজন কর্মচারী ছিলেন। বর্তমানে অবসর নিয়ে সৈয়দপুর শহরের ইসলামবাগ শেরু হোটেলের পশ্চিম পাশ্বের রেলওয়ের কোয়ার্টারে বসবাস করতেন। মৃতকালে তিনি স্ত্রী এবং ৩ ছেলে রেখে গেছেন।
তার জানাজা মাগরিবের আগ মুহূর্তে খালিশা বেলপুকুর স্কুল ও কলেজ মাঠে খুদ্র পরিসরে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হয় এবং তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য সৈয়দপুরে করোনায় মোট আক্রান্ত-২৯, সুস্থ-১৭, মৃত্যু-১, পলাতক-১ এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৪ জন। যাদের মৃত্যু পরবর্তী নমুনা টেস্ট রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। মৃত মতিয়ার রহমানের নমুনা নেয়া হয়েছে।