মোঃ জাহিদুল ইসলাম ( বাকেরগঞ্জ),বরিশাল।।
বর্ষায় গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্নতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। নদীতে উপচেপড়া জল, আকাশে থাকে ঘন মেঘের ঘনঘটা। গ্রীষ্মের দাবদাহে মানুষ যখন পুড়ে তখন বর্ষার ঝুম ঝুম বৃষ্টির বরণডালা প্রশান্তি এনে দেয় মানুষের মনে। অথচ সেই চিত্র এখন ভিন্ন। বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় বর্ষার শেষে শ্রাবণ এর শুরুতেও নেই বৃষ্টি নেই আকাশে শ্রাবনের মেঘ। বাকেরগঞ্জ উপজেলা জুড়েই পূর্ণিমার জোয়ারে নদী নালা খাল বিলের পানি উর্ধ্বচাপ প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন স্থানে নিম্ন অঞ্চল। আরও দুই দিন মৃদু তাপদাহ থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আজ শ্রাবণের সকাল থেকেই সূর্যের আলো ফুটতেই গরম শুরু হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত অসহ্য গরম থাকে। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির হওয়ার সম্ভাবনাই নেই। টানা বৃষ্টি না হলে গরম কমারও সম্ভাবনা নেই। গেল কয়েক বছরের তুলনায় এবারের তাপদাহ অনেক তীব্র, অনেক শক্তিশালী। তীব্র এই তাপদাহ থেকে মুক্তি মিলবে ভারি বর্ষণ হলে। আগামী দুই একদিনে বৃষ্টির তেমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সহজেই মুক্তি মিলছে না এই সমস্যা থেকে। ওলোটপালট দেশের ঋতুকাল। ভর বর্ষার আষাঢ় শেষে শ্রাবণ মেঘের দিনেও চলছে খরা। বৃষ্টি খরায় বিপর্যস্ত মানুষ। তীব্র রোদে হাঁসফাঁস দক্ষিণাঞ্চলবাসীর জীবন। রোদের প্রখরতায় থমকে যাচ্ছে জীবনযাত্রা। শ্রাবণের আকাশে শরতের প্রতিচ্ছবি। মাঝে মধ্যে সূর্য মেঘে ঢাকা পড়লেও গরমের তীব্রতা কমে না, আরো বাড়ে। রোদে গেলে গা জ্বলে।
বাকেরগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড অটোরিকশা চালক শামসুল জানান, সকাল ১০ টার পর থেকেই রোদের প্রচণ্ড তাপ অসহ্য গরম রাস্তায় রিকশা নিয়ে বের হওয়া যাচ্ছে না।
১২ টার পর থেকে রাস্তায় যাত্রী তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে যাত্রী মিলে। মাথার উপরে রোদের তাপ ভ্যাপসা গরমে বারবার গলা শুকিয়ে যায় দোকান থেকে ঠান্ডা পানি কিনে তৃষ্ণা মিটাই।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, এই সপ্তাহের মাঝামাঝি ১৮-১৯ জুলাইয়ের দিকে বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে। এতে ভ্যাপসা গরম কিছুটা কমে আসতে পারে। তাপমাত্রা যতটুকু তার চেয়ে বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে। কারণ বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি। ১৮/১৯ জুলাই পর্যন্ত পরিস্থিতি এমনই থাকতে পারে। মাঝে মাঝে কোথাও হালকা বৃষ্টি হলেও গরম খুব একটা কমবে না। গরম কমতে হলে টানা বৃষ্টি হতে হবে। ১৮/১৯ জুলাইয়ের পর বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে। গত ২৪ ঘন্টায় গড়ে ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই তাপমাত্রা ছিল। এদিকে মৌসুমি বায়ুর কারণে বাতাসে জ্বলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। উপজেলার ঘরে ঘরে জ্বর ঠান্ডা ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগির চাপ বাড়েছে।