মাসুদ হাসান রিদম : মুগদা জেনারেল হাসপাতালে বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভির সাংবাদিকে শুধু লাঞ্চিত নয়, গোটা সাংবাদিক সমাজকে লাঞ্চিত করা হয়েছে বলে মনে করছে সাংবাদিক সমাজ। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরা সংবাদকর্মীর ব্যানারে আয়োজিত এক মানবন্ধনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিকার না পাওয়ার কারণে একের পর এক হামলা হচ্ছে।
পুলিশসহ সন্ত্রাসী কর্তৃক সাংবাদিক সমাজ বারবার নিগৃহীত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গত পরশু (২৯ জানুয়ারি) মুগদা জেনারেল হাসপাতালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আরটিভির সাংবাদিক সোহেল রানা ও ক্যামেরা পারসন নাজমুল হোসেন সায়মনের উপর হামলা হয়।
মুগদা হাসপাতালের দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য সংগ্রহের সময় তাদের উপর হামলা করে হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় আসিফ ও সায়মন হামলা চালায়।
এ ঘটনায় সরকারি এই হাসপাতালের পরিচালক ডা. আমিন আহমেদ খানের পদত্যাগ ও দুই ওয়ার্ড বয়কে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক সমাজ।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশান (ক্র্যাব) সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার বলেন, মুগদা হাসপাতালে এর আগে ৫ দিন বিদ্যুৎ ছিলো না, পানি ছিলো না। এমন অব্যবস্থার মধ্য দিয়ে একটা হাসপাতাল কিভাবে চলে।
তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালে গরীব রোগীরা চিকিৎসা নিতে যায়। সেখানে যদি অনিয়ম হয় তাহলে মানুষের মৌলিক অধিকার কিভাবে বাস্তবায়ন হবে।
হাসপাতালের অনিয়ম তুলে ধরা সাংবাদিকদের কাজ। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে কেন বাধা দেয়া হচ্ছে প্রশ্ন তোলের এই সাংবাদিক নেতা।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি সাখাওত হোসেন বাদশা বলেন, সাংবাদিকদের যেভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে তাতে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সুযোগ কোথায়।
তিনি বলেন, সাংবাদিক নেতারা আজ সরকার ও রাজনৈতিক দলের পক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু সাংবাদিক সমাজে কেউ লাঞ্চিত হলে তার পক্ষ নিচ্ছে না। যে কারণে এমম হামলা হচ্ছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা কঠিন হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কথা বলতে গেলে কেন বাধা দেয়া হচ্ছে, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। অনিয়ম না থাকলে কেন বাধা দিবে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
মানববন্ধন থেকে জানানো হয় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন প্রথমে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালনে অভিযোগ দবে। এরপরে কোন সমাধান না হলে আন্দোলনের ডাক দিবে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সদস্য খান মামুন প্রমুখ।