ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

আরও ৩ দিন থাকছে শৈত্যপ্রবাহ

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ শীতে কাবু ঢাকাসহ সারা দেশের সাধারণ মানুষ। দেশের বেশিরভাগ স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। এতে শীতের প্রকোপ আরও বাড়ছে। টানা শীতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন মানুষ। আজ শনিবার শুরু হচ্ছে আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ। পাশাপাশি, দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়েছে।

আরো পড়ুন: বিতর্কিত কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে না: ওবায়দুল কাদের

ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে শুক্রবার বিকেল থেকেই হয় হালকা অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে আবারও শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। এই দুই বিভাগের বেশির ভাগ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, শনিবার আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। পাশাপাশি, দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। মাঝরাত থেকে রোববার সকাল এবং রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। যা চলবে কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচদিন।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শৈত্যপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা হ্রাসের কারণে শীত লাগাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু শীতের অনুভূতির সঙ্গে আরও কিছু বিষয় জড়িত। রংপুর বাদে আর সব বিভাগেই শুক্রবার বৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে ছিল শীতল বায়ুর প্রবাহ। এছাড়া উচ্চচাপ বলয়ের প্রভাব এবং মৌসুমি লঘুচাপ শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে দিচ্ছে। ১৭ ডিসেম্বর থেকে এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

শুক্রবার সকালে দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনে বৃষ্টি হলেও সূর্যের মুখ দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকায়। ফলে উষ্ণ হওয়ার সুযোগ পেয়েছে ধরণী। দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ১০ মিলিমিটার। আবার এ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তবে সূর্য ডোবার পরে সারা দেশেই রাতে শীতের প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের (বিএমডি) একজন ডিউটি কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা বলেন, বৃষ্টি হলে আকাশ থাকে মেঘমুক্ত। এতে ঊর্ধ্বাকাশের শীতল বায়ু নিম্নাকাশে বা পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে অনায়াসে।

এছাড়া রাতের ব্যপ্তিকাল বেশি। সূর্য ঠিকমতো ধরণী উষ্ণ করতে না পারায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে গেছে। সাধারণত, এ দুয়ের ব্যবধান ১০ ডিগ্রির কম হয়ে গেলে হাড় কাঁপানো শীতের অনুভূতি হয়ে থাকে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা যদি ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আর ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এ হিসাবে শুধু রংপুর বিভাগে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

অবশ্য অন্য বিভাগগুলোতে ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে আছে তাপমাত্রা। বেশির ভাগ স্থানেই সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ ডিগ্রির মধ্যে আছে।

এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কুয়াশার প্রকোপ। পরিস্থিতি এমন যে, ভোরে ও সন্ধ্যায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। দিনে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়েও বেশি দূরের জিনিস দেখা যাচ্ছে না।

দৃষ্টি সীমা কমে যাওয়ায় রেল চলাচলেও বিঘ্ন ঘটেছে। আজকে কুয়াশার প্রকোপ আরও বেড়ে যেতে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদর থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

আরও ৩ দিন থাকছে শৈত্যপ্রবাহ

আপডেট টাইম ০৯:৫৬:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ শীতে কাবু ঢাকাসহ সারা দেশের সাধারণ মানুষ। দেশের বেশিরভাগ স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। এতে শীতের প্রকোপ আরও বাড়ছে। টানা শীতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন মানুষ। আজ শনিবার শুরু হচ্ছে আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ। পাশাপাশি, দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়েছে।

আরো পড়ুন: বিতর্কিত কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে না: ওবায়দুল কাদের

ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে শুক্রবার বিকেল থেকেই হয় হালকা অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে আবারও শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। এই দুই বিভাগের বেশির ভাগ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, শনিবার আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। পাশাপাশি, দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। মাঝরাত থেকে রোববার সকাল এবং রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। যা চলবে কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচদিন।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শৈত্যপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা হ্রাসের কারণে শীত লাগাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু শীতের অনুভূতির সঙ্গে আরও কিছু বিষয় জড়িত। রংপুর বাদে আর সব বিভাগেই শুক্রবার বৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে ছিল শীতল বায়ুর প্রবাহ। এছাড়া উচ্চচাপ বলয়ের প্রভাব এবং মৌসুমি লঘুচাপ শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে দিচ্ছে। ১৭ ডিসেম্বর থেকে এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

শুক্রবার সকালে দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনে বৃষ্টি হলেও সূর্যের মুখ দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকায়। ফলে উষ্ণ হওয়ার সুযোগ পেয়েছে ধরণী। দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ১০ মিলিমিটার। আবার এ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তবে সূর্য ডোবার পরে সারা দেশেই রাতে শীতের প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের (বিএমডি) একজন ডিউটি কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা বলেন, বৃষ্টি হলে আকাশ থাকে মেঘমুক্ত। এতে ঊর্ধ্বাকাশের শীতল বায়ু নিম্নাকাশে বা পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে অনায়াসে।

এছাড়া রাতের ব্যপ্তিকাল বেশি। সূর্য ঠিকমতো ধরণী উষ্ণ করতে না পারায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে গেছে। সাধারণত, এ দুয়ের ব্যবধান ১০ ডিগ্রির কম হয়ে গেলে হাড় কাঁপানো শীতের অনুভূতি হয়ে থাকে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা যদি ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আর ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এ হিসাবে শুধু রংপুর বিভাগে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

অবশ্য অন্য বিভাগগুলোতে ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে আছে তাপমাত্রা। বেশির ভাগ স্থানেই সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ ডিগ্রির মধ্যে আছে।

এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কুয়াশার প্রকোপ। পরিস্থিতি এমন যে, ভোরে ও সন্ধ্যায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। দিনে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়েও বেশি দূরের জিনিস দেখা যাচ্ছে না।

দৃষ্টি সীমা কমে যাওয়ায় রেল চলাচলেও বিঘ্ন ঘটেছে। আজকে কুয়াশার প্রকোপ আরও বেড়ে যেতে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদর থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।