মাসুদ হাসান রিদম : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, দেশবরেণ্য রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক বন্ধন ছিল। ময়মনসিংহে একই মহল্লায় আমাদের বাড়ি ছিল। তিনি আমার মেজ ভাই ম. হামিদ এর স্কুলবন্ধু ছিলেন। অন্যদিকে, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ৩য় ভাই আমার স্কুলবন্ধু ছিলেন।
আজকে আমি যে পদে আসীন হয়েছি তাঁর পেছনেও উনার কৃতিত্ব বিদ্যমান। কেননা, ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। সে কারণে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নিকট আমি ব্যক্তিগতভাবে ঋণী। তিনি ছিলেন একজন অত্যন্ত সৎ ও নির্মোহ মানুষ।
মন্ত্রী গতকাল বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ গবেষণা ফাউণ্ডেশন এর উদ্যোগে দেশবরেণ্য রাজনীতিবিদ সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং কালজয়ী চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন এর প্রয়াণ উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ গবেষণা ফাউণ্ডেশন এর সভাপতি, সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত আনোয়ার উল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু।
কে এম খালিদ বলেন, আমজাদ হোসেন একজন কীর্তিমান চলচ্চিত্রকার। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি অঙ্গনে তাঁর অবদান ব্যাপক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর অসুস্থতার সময় সবসময় খোঁজখবর নিয়েছেন এবং চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সহজ সরল জীবনযাপন করতেন। তিনি ছিলেন একজন নিরংহার ও মিতভাষী মানুষ। তিনি গণমাধ্যমের সামনে অপ্রয়োজনে কথা বলতেন না। তিনি সবসময় বিদেশীদের নিকট দলের তথা দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরতেন। মোদ্দাকথা, তিনি ছিলেন একজন আদর্শ ও অনুসরণীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
স্মরণসভায় প্রয়াত দু‘জন মহান ও গুণি ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ব্যাংক এর সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান, বৃহত্তর ময়মনসিংহ গবেষণা ফাউণ্ডেশন এর শিক্ষা সম্পাদক অধ্যাপক তাসলিমা বেগম, মাওলানা ভাসানি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ওমর ফারুক, চলচ্চিত্র প্রযোজক মীর এনামুল করিম আমান এবং চিত্রশিল্পী সৈয়দ লুৎফুল হক।