ঢাকা ০৩:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

আবহাওয়ার নতুন সংকেত নিয়ে বিপাকে উপকূলবাসী


আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
নতুন আবহাওয়া সংকেত নিয়ে বিপাকে উপকূলবাসী। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর মধ্যে পটুয়াখালী অন্যতম। দেশের সর্ব দক্ষিণের উপকূলীয় এলাকা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় বসবাস করে হাজারো জেলে পরিবার। শহর কিংবা গ্রাম, এই এলাকার শতকরা ৮০ ভাগ মানুষেরই কোনো ধারণা নেই আবহাওয়ার সতর্ক সংকেত প্রদর্শনে কখন কয়টি পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এরপর এ বছর পতাকা প্রদর্শন করে উপকূলবাসীকে সতর্ক করতে আবহাওয়ার সতর্ক সংকেতে আনা হয়েছে পরিবর্তন। এতে নতুন করে তৈরি হয়েছে জটিলতা। এমনিতেই আবহাওয়ার সতর্ক সংকেত সম্পর্কে ভ্রান্ত ও অস্পষ্ট ধারণার কারণে দুর্যোগের সময় উপকূলে বেড়ে যায় ক্ষতির পরিমাণ। তার উপর এমন পরিবর্তন আনায় নতুন করে সর্বমহলে প্রশিক্ষণের জোরালো দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আগে যেখানে সমুদ্রে ঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিলে একটি পতাকা উড়িয়ে ১ নম্বর সংকেত বোঝানো হতো, এখন সেখানে ঝড় সৃষ্টি হয়ে তা বন্দরের দিকে ধাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে একটি পতাকা উড়িয়ে বোঝানো হয় ৪ নম্বর সংকেত।
আবার ৩ নম্বর সংকেতেই আগে যেখানে দুইটি পতাকা উড়ত, এখন ৫ থেকে ৭ নম্বর সংকেতে উড়বে দুইটি পতাকা। এমনকি, আগে ৭ নম্বর সংকেতেই তিনটি পতাকা উড়ালেও এখন তিনটি পতাকা উড়বে ৮ থেকে ১০ নম্বর সংকেতে।
দুর্যোগকালীন সময়ে মূলত সমুদ্রবন্দরে ১১টি ও নদীবন্দরে ৪টি সংকেতের মাধ্যমে আবহাওয়ার সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়। নদী ও সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক এমন দ্বিমুখী সংকেত দেওয়ায় বিভ্রান্তি বেড়েছে উপকূলবাসীর মধ্যে।
২০০৭ সালের প্রলয়ংকর ঘূর্ণিঝড় সিডরে বিপর্যস্ত লতাচাপলী ইউনিয়নের নুরুল হক, রাজ্জাক সিকদার, নুর আলম হাওলাদার, বকুল বেগম, মমতাজ বেগমসহ একাধিক এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা হলে তারা ঢাকা পোস্টকে বলেন, এমনিতেই সঠিক সময়ে আবহাওয়ার সংকেত পাওয়া যায় না। তারপর আবার এখন সংকেতের পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েছেন তারা। বর্তমান আবহাওয়া সংকেত সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই বলে দাবি তাদের।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) কলাপাড়ার ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়ন ও কুয়াকাটা পৌরসভার দলনেতা মো. শফিকুল আলম দৈনিক মাতৃভূমির খবরকে বলেন, সংকেতের পরিবর্তনে কিছুটা বিভ্রান্তিতে পড়বে সাধারণ মানুষ। কারণ, এখনো শতভাগ সচেতন নয় এখানকার মানুষ। উপকূলের বেশির ভাগ মানুষই দারিদ্রতাকে সঙ্গী করে বসবাস করছে। খেটে খাওয়া মানুষের বসতঘরের অবস্থা খুবই নাজুক। তাই দুর্যোগের সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হন তারা। এরমধ্যে আবার আবহাওয়ার সংকেতের পরিবর্তন হয়েছে, এর কারণে সামনের দিকে আসা প্রাকৃতিক দুর্যোগে হতাহতের সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।###

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

আবহাওয়ার নতুন সংকেত নিয়ে বিপাকে উপকূলবাসী

আপডেট টাইম ১২:৪৮:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩


আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
নতুন আবহাওয়া সংকেত নিয়ে বিপাকে উপকূলবাসী। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর মধ্যে পটুয়াখালী অন্যতম। দেশের সর্ব দক্ষিণের উপকূলীয় এলাকা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় বসবাস করে হাজারো জেলে পরিবার। শহর কিংবা গ্রাম, এই এলাকার শতকরা ৮০ ভাগ মানুষেরই কোনো ধারণা নেই আবহাওয়ার সতর্ক সংকেত প্রদর্শনে কখন কয়টি পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এরপর এ বছর পতাকা প্রদর্শন করে উপকূলবাসীকে সতর্ক করতে আবহাওয়ার সতর্ক সংকেতে আনা হয়েছে পরিবর্তন। এতে নতুন করে তৈরি হয়েছে জটিলতা। এমনিতেই আবহাওয়ার সতর্ক সংকেত সম্পর্কে ভ্রান্ত ও অস্পষ্ট ধারণার কারণে দুর্যোগের সময় উপকূলে বেড়ে যায় ক্ষতির পরিমাণ। তার উপর এমন পরিবর্তন আনায় নতুন করে সর্বমহলে প্রশিক্ষণের জোরালো দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আগে যেখানে সমুদ্রে ঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিলে একটি পতাকা উড়িয়ে ১ নম্বর সংকেত বোঝানো হতো, এখন সেখানে ঝড় সৃষ্টি হয়ে তা বন্দরের দিকে ধাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে একটি পতাকা উড়িয়ে বোঝানো হয় ৪ নম্বর সংকেত।
আবার ৩ নম্বর সংকেতেই আগে যেখানে দুইটি পতাকা উড়ত, এখন ৫ থেকে ৭ নম্বর সংকেতে উড়বে দুইটি পতাকা। এমনকি, আগে ৭ নম্বর সংকেতেই তিনটি পতাকা উড়ালেও এখন তিনটি পতাকা উড়বে ৮ থেকে ১০ নম্বর সংকেতে।
দুর্যোগকালীন সময়ে মূলত সমুদ্রবন্দরে ১১টি ও নদীবন্দরে ৪টি সংকেতের মাধ্যমে আবহাওয়ার সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়। নদী ও সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক এমন দ্বিমুখী সংকেত দেওয়ায় বিভ্রান্তি বেড়েছে উপকূলবাসীর মধ্যে।
২০০৭ সালের প্রলয়ংকর ঘূর্ণিঝড় সিডরে বিপর্যস্ত লতাচাপলী ইউনিয়নের নুরুল হক, রাজ্জাক সিকদার, নুর আলম হাওলাদার, বকুল বেগম, মমতাজ বেগমসহ একাধিক এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা হলে তারা ঢাকা পোস্টকে বলেন, এমনিতেই সঠিক সময়ে আবহাওয়ার সংকেত পাওয়া যায় না। তারপর আবার এখন সংকেতের পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েছেন তারা। বর্তমান আবহাওয়া সংকেত সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই বলে দাবি তাদের।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) কলাপাড়ার ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়ন ও কুয়াকাটা পৌরসভার দলনেতা মো. শফিকুল আলম দৈনিক মাতৃভূমির খবরকে বলেন, সংকেতের পরিবর্তনে কিছুটা বিভ্রান্তিতে পড়বে সাধারণ মানুষ। কারণ, এখনো শতভাগ সচেতন নয় এখানকার মানুষ। উপকূলের বেশির ভাগ মানুষই দারিদ্রতাকে সঙ্গী করে বসবাস করছে। খেটে খাওয়া মানুষের বসতঘরের অবস্থা খুবই নাজুক। তাই দুর্যোগের সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হন তারা। এরমধ্যে আবার আবহাওয়ার সংকেতের পরিবর্তন হয়েছে, এর কারণে সামনের দিকে আসা প্রাকৃতিক দুর্যোগে হতাহতের সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।###