ঢাকা ০৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

আবরার হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন ৩০ জানুয়ারি

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস আজ মঙ্গলবার এ দিন ধার্য করেন। আজ অভিযোগপত্র গ্রহণ ও আসামিদের উপস্থিতির জন্য দিন ধার্য ছিল। কারাগার থেকে ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপাস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন: সিটি নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক থাকবে

গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার পরপরই আবরার হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা শুরু হয়। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। এরপর আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কারণ উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আবরার শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, এই সন্দেহেই তাঁকে শায়েস্তা করার সিদ্ধান্ত নেন বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করেই তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার আগে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা পরিকল্পনা করেন আবরারকে শায়েস্তা করার। ঘটনার আগে তাঁরা একটি মিটিংও করেন। এর আগে বুয়েটের ছাত্রলীগের এক নেতা ফেসবুক গ্রুপে আবরারকে শায়েস্তা করার ঘোষণা দেন। এতে অনেকেই সায় দেন।

এরপর আবরারকে গত ৬ অক্টোবর শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে এনে মারধর করা হয়। তাঁকে কিল-ঘুষি মেরে, স্কিপিং দড়ি দিয়ে ও ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটান হত্যাকারীরা। তাঁর মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে পেটানো হয়। পানি পানি বলে চিৎকার করলেও তাঁকে পানি খেতে দেওয়া হয়নি। আবরারকে পেটানোর একপর্যায়ে তিনি কয়েকবার বমি করেন। কিন্তু তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি কেউ। একপর্যায়ে গভীর রাতে আবরার মারা যাওয়ার পর তাঁকে ধরাধরি করে দোতলার সিঁড়ির ওপর ফেলে রাখেন হত্যাকারীরা।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

আবরার হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন ৩০ জানুয়ারি

আপডেট টাইম ০৬:২৮:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস আজ মঙ্গলবার এ দিন ধার্য করেন। আজ অভিযোগপত্র গ্রহণ ও আসামিদের উপস্থিতির জন্য দিন ধার্য ছিল। কারাগার থেকে ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপাস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন: সিটি নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক থাকবে

গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার পরপরই আবরার হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা শুরু হয়। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। এরপর আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কারণ উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আবরার শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, এই সন্দেহেই তাঁকে শায়েস্তা করার সিদ্ধান্ত নেন বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করেই তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার আগে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা পরিকল্পনা করেন আবরারকে শায়েস্তা করার। ঘটনার আগে তাঁরা একটি মিটিংও করেন। এর আগে বুয়েটের ছাত্রলীগের এক নেতা ফেসবুক গ্রুপে আবরারকে শায়েস্তা করার ঘোষণা দেন। এতে অনেকেই সায় দেন।

এরপর আবরারকে গত ৬ অক্টোবর শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে এনে মারধর করা হয়। তাঁকে কিল-ঘুষি মেরে, স্কিপিং দড়ি দিয়ে ও ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটান হত্যাকারীরা। তাঁর মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে পেটানো হয়। পানি পানি বলে চিৎকার করলেও তাঁকে পানি খেতে দেওয়া হয়নি। আবরারকে পেটানোর একপর্যায়ে তিনি কয়েকবার বমি করেন। কিন্তু তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি কেউ। একপর্যায়ে গভীর রাতে আবরার মারা যাওয়ার পর তাঁকে ধরাধরি করে দোতলার সিঁড়ির ওপর ফেলে রাখেন হত্যাকারীরা।