মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হাসিনা বেগম। আজ রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে শিক্ষকদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অনশন ভেঙে ক্লাসে ফিরে যায় তারা।
এসময় অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হাসিনা বেগম বলেন, আমাদের প্রতি ভালোবাসার টানে তোমরা আন্দোলনে নেমেছো। তোমাদের এই ভালবাসায় আমরা অনেক খুশি হয়েছি। কিন্তু আমরা ক্লাসে বসে থাকবো আর তোমরা ক্লাস বর্জন করে বাইরে বসে অনশন করবে তা হতে পারে না। অনশন করতে হয় সবাই একসাথে কবরো।
তিনি বলেন, যেহেতু বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছে তাই আইনিভাবে এটি মোকাবেলা করা হবে। আইনের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এ অবস্থায় তোমরা যদি আন্দোলন অব্যাহত রাখ তাহলে বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করবে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছে তাই আইনিভাবে এটি মোকাবেলা করা হবে। আইনের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এ অবস্থায় তোমরা যদি আন্দোলন অব্যাহত রাখ তাহলে বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করবে।
পরে তিনি শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান এবং অন্যান্য শিক্ষকদের সহযোগিতায় তাদের প্রতিষ্ঠানের ভেতরে নিয়ে যান।
এর আগে শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে আজ সকাল ১০টা থেকে প্রতিষ্ঠানটির মূল ক্যাম্পাসের গেটের সামনে বসে ‘অনশন’ কর্মসূচি পালন করে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী। এ ছাড়াও দুপুরে দাবি-দাওয়া নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি। অরিত্রীর পরিবারের অভিযোগ, পরীক্ষার সময় অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়ার পর তার বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে অপমান করেছিলেন অধ্যক্ষ। সে কারণে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেন। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অরিত্রী রোববার বার্ষিক পরীক্ষায় মোবাইল ফোনে নকলসহ ধরা পড়েছিলেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় আত্মহত্যার প্ররোচণাকারী হিসেবে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার শিফট ইনচার্জ জিনাত আখতার ও প্রভাতী শাখার শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে মামলা করেন অরিত্রির বাবা। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পুলিশ ও র্যাবকে চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই রাতেই হাসনা হেনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।