“সর্প দংশনে ওঝা নয় হাসপাতালেই চিকিৎসা হয়” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে খুলনায় আজ সোমবার ১৯ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সর্প দংশন সচেতনতা দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার পরিবেশবাদী সংগঠন “আলোর মিছিল” খুলনার বিভিন্ন এলাকায় গণযোগাযোগ করে এবং লিফলেট বিতরণ করে। আলোর মিছিলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আমাদের পরিবেশের অধিকাংশ সাপ বিষহীন , বিষধর সাপে কামড়ালে আক্রান্ত স্থানে বিষ দাঁতের দুইটি গভীর ক্ষত স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায়। এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থান থেকে রক্তক্ষরণের পাশাপাশি স্থানটি ফুসকা পড়ে কালো হয়ে যেতে পারে। সাপের বিষ রোগীর স্নায়ুতন্ত্রকে অকার্যকর করে রোগীর শরীরকে অনুভূতিহীন করতে পারে। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি কথা বলতে ও ডোক গিলতে অসুবিধায় পড়তে পারেন । সাপে কামড়ানো রোগীকে নড়াচড়া কম করাতে হবে এবং ওঝা ও ঝাড় ফুকের ন্যায় অপচিকিৎসা না করে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ঘরবাড়িতে সাপের উপদ্রব হতে নিস্তার পেতে ঘরে কার্বলিক এসিড রাখা যেতে পারে। সর্প দংশন প্রতিরোধে বাড়ির আশেপাশে ইটের স্তুপ ও জঙ্গল পরিষ্কার রাখতে হবে। ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানাতে হবে। রাতে বা অন্ধকারে হাটার সময় অবশ্যই টর্চ ব্যবহার করতে হবে। সাপে কাটলে রোগীর ক্ষতস্থানটি সাবান ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুতে হবে। সাপে কাটলে রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। পরিবেশের ইকোসিস্টেম বজায় রাখতে বন্যপ্রাণী নিধন না করে সংরক্ষণ করা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব। বাড়ি বা লোকালয়ে বন্যপ্রাণী দেখা গেলে নিধন না করে স্থানীয় বনবিভাগ, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে জানানো অথবা আঞ্চলিক বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী সংগঠনের সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে।
সংবাদ শিরোনাম ::
আন্তর্জাতিক সর্প দংশন সচেতনতা
- মাতৃভূমির খবর ডেস্ক
- আপডেট টাইম ০৮:৩৮:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
- ৬৫১ বার পড়া হয়েছে
ইন্জিনিয়ার ওয়াহিদ মুরাদ খুলনা জেলা প্রতিনিধি–
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ