আনোয়ারা সংবাদদাতাঃ
চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলার শাহ মোহছেন আউলিয়া সড়কটি বালু ব্যবসায়ীদের কারণে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বালু ভর্তি ট্রাক চলাচলের কারণে জুঁইদন্ডী থেকে বটতলী পর্যন্ত রাস্তাটি সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এ সড়কটি দিয়ে সারাদিন বালু ভর্তি ট্রাক চলার কারণে বালু উড়ে আশপাশের দোকানসহ পথচারীদের চোখে মুখে ঢুকে পড়ছে। বিরামহীন ট্রাকের আবাধ চলাচলে কারণে রাস্তার বেশির ভাগ অংশ গর্ত হয়ে জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তিতে রূপ নিয়েছে।
জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ী ড্রেজার দিয়ে সাঙ্গু নদী থেকে বালু উত্তোলন করে গোদারপাড় এলাকায় পয়েন্ট করে কৃষি জমিতে স্তূপাকারে রেখে বেআইনিভাবে ব্যবসা চলছে। এই পয়েন্ট গুলো থেকে ট্রাক দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বালু বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি নেতা এসব ব্যবসা পরিচালক। দীর্ঘদিন ধরে তারা এ ব্যবসা করে আসছে এবং বালু ভর্তি খোলা ট্রাকগুলো এ সড়ক দিয়ে দাপিয়ে চলছে।
বালুবাহী ট্রাকের অধিনে থাকায় দ্রুতই ভেঙ্গে যাচ্ছে আনোয়ারা উপজেলার অধিকাংশ সড়কগুলো। এবং সৃষ্টি হচ্ছে বড় বড় গর্তে প্রায় সময় ঘটছে দূর্ঘটনা। এতে করে যেমন সরকারি রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে তেমনি চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাইওয়ে রোডে নিষিদ্ধ থাকা যানবাহন চালক এবং সাধারণ জনগনের। স্থানীয় লোকজনের তথ্যসুত্রে যানা যায়,গ্রাম অঞ্চলের ছোট ছোট রাস্তা দিয়ে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা দিন-রাত ট্রাক দিয়ে মাটি বহন করছে।
এসব ব্যবসায়ীদের কারণে দ্রুত ভেঙ্গে যাচ্ছে রাস্তাগুলো। তাছাড়া ছোট ছোট রাস্তাগুলো দিয়ে ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তায় দীর্ঘ সময়ের জন্য যানযটের সৃষ্টি হয়। এলাকার অনেকেই বিভিন্ন কলকারখানায় কর্মরত থাকায় তারা এই যানজটের কারনে সঠিক সময় কাজে যোগদান করতে পারেনা। এলাকাবাসী ট্রাক চলাচল নিষেধ করলে,এলাকার প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের হুমকী দিয়ে থাকে। যার জন্য এলাকার অনেকেই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চায়না।
সরেজমিনে গিয়ে অটো-রিক্সাচালক, ভ্যান চালক, সিএনজি চালকেরা বলেন, হাইওয়ে রোডে তিনচাকার গাড়ী নিষেধ থাকায় আমরা জিবিকা নির্বাহের জন্য সংযোগ সড়কগুলোতে চলাচল করি। সারাদিন গাড়ী চালানোর পর আমরা গাড়ীর মালিক ও গ্যাস বিল দিয়ে দুই-তিনশ টাকা থাকে। এতে করে কোন রকম সংসার চলে। কিন্তু ট্রাক চলাচলের কারণে আমরা ঠিকমত গাড়ী চালাতে পারিনা। রাস্তাগুলো প্রসস্ত না থাকায় ট্রাক চলাচল করলে দীর্ঘক্ষনের জন্য যানযটে পরে থাকতে হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ জুবায়ের আহমেদ বলেন, আনোয়ারা বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করা হচ্ছে এবং ড্রেজার জব্দ করা হচ্ছে। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আরো কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।