মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়নের গহিরা উপকূলীয় এলাকাতে গুলোতে শুটকি শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছে শুটকি তৈরি কাজে নিয়োজিত জেলেরা। শীতের শুরুতেই বঙ্গোপসাগর সাগর থেকে আনা বিভিন্ন রকমের মাছ যেমন লইট্টা মাছ,ছুরি মাছ ,গুরা মাছ,ফাইস্সা মাছ গুলো অনেক সময় নিজেরা আবার অনেক সময় ব্যবসায়ীরা কাঁচা মাছ কিনে শুটকি হিসাবে শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে আড়তদার অথবা নিজেরা বাজারে বিক্রি করে। তবে আনোয়ারা এলাকার অধিকাংশ শুটকিতে কোন ধরনের ঔষধ কিংবা ক্যামিক্যাল কম ব্যবহার করা হয়না৷ এ শুটকির চাহিদা দেশ ছাড়া দেশের বাইরে ও রয়েছে৷বিশেষ করে চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলার প্রবাসিরা বিদেশ গমনের সময় এই শুটকি পল্পি থেকে শুটকি নিয়ে যাই বিদেশে বন্ধুবান্ধব মিলে খাওয়ার জন্য৷
আনোয়ারা উপকূলীয় গহিরা মাঝিরঘাট এলাকায় হারুন নামের একজন জেলে মাচাং থেকে শুটকি তুলে বাছাই করে পরিবহণের জন্য প্রস্তুত করছিলেন। তাকে সহযোগিতা করছিলেন আরো তিনজন। মাচাংয়ে টাঙ্গানো আছে আরো ছুরিমাছ শুটকি। তাছাড়া চাটাই বিছিয়ে শুকানো হচ্ছে ফাইস্সা শুটকি।
শুঁটকি ব্যবসায়ীরা জানান, এখানকার শুঁটকি বিক্রি হয় চট্টগ্রামের চাক্তাই এলাকার শুঁটকির আড়তগুলোতে। আমরা বড় সাইজের প্রতি কেজি শুটকি ১ হাজার টাকায় পাইকারী দরে বিক্রি হয়। মাঝারি সাইজের এক কেজি শুটকি ৮০০ টাকা। যা, পাইকাররা দেড় হাজার থেকে দুই হাজার পর্যন্ত বিক্রি করেন। সপ্তাহে একদিন চট্টগ্রাম শহর থেকে পাইকাররা এসে শুটকি নিয়ে যায়। একবারে ১৫ থেকে ১৬ টন পর্যন্ত শুটকি সরবরাহ দেয়া হয়। সব খরচ বাদ দিয়ে এক চালানে (৮০-৯০)হাজার টাকা লাভ হয়।