ঢাকা ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

আনোয়ারাই শীতের সবজি বাজার ভরা,তবে দাম বেশি

মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকালে গিয়ে কথা হয় সবজি বিক্রেতাদের সাথে তারা জানান বাজারে প্রচুর পরিমানে শীতের সবজি আসলেও দাম তেমন কমেনি,তবে কিছু দিনের মধ্যে দাম কমে যাবে আমরা আশাবাদী৷

চাতরী চৌমুনি বাজারে শবজি বিক্রেতা আলিমের সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন, প্রতি কেজি সিম ৮০ টাকা,করলা ৬০ টাকা,পটল ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা,শসা ৪০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, পেঁপে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০টাকা,পালন শাক ৪০ টাকা, গাজর ১০০টাকা কেজি।

এছাড়া, প্রতি কেজি ফুলকপি ৬৭ টাকা, প্রতি কেজি বাঁধাকপি ৪০ টাকা, লেবু ৩৫ টাকা হালি, কাঁচা কলা ৩০ টাকা হালি, মাঝারি সাইজের কুমড়া ৪৫-৫০, মাঝারি সাইজের লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

একই বাজারের ইউচুপ বলেন, আমাদের আনোয়ারা চাতরী চৌমুনি বাজারে এখনো নতুন আলু সরবরাহ হয় নাই, আমরা পুরাতন আলু ২০ টাকা, বড় হলেন আলু ৩০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা,ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা, দেশি রসুন ৫০ টাকা, ভারতীয় রসুন ১২০থেকে ১২৫ টাকা, আঁদা ১২০ থেকে ১৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ওই বাজারের মাংস বিক্রেতা ফারুক বলেন, মাংসের দাম বাড়ায় বিক্রি কমে গেছে, গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, খাসির মাংস সকালে বিক্রি হয়েছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, টাকা বিক্রি হচ্ছে। একই বাজারের বেলাল বলেন, ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩২০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা, কেজি বিক্রি দরে হচ্ছে। এদিকে, হাঁসের ডিমের হালি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, দেশি মুরগি ৪৫ টাকা, ফার্মের মুরগির ডিম ৩২ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বিক্রেতা কায়সার বলেন রুই ২৫০ টাকা, বড় সিলভার ১৫০ টাকা, গ্রাস কার্প ১৪০ টাকা, শিং ৩৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, কৈ ২২০ টাকা, বড় শৈল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১১০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

ওই বাজারের করিম স্টোরের বিক্রেতা করিম বলেন, খোলা সয়াবিন তেল ১৫৫ টাকা, চিনি ৭৫ টাকা, খোলা আটা ৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৯ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। জব্বার বলেন, দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ৪০ টাকা, অ্যাংকর ৪৫ টাকা, খেসারি ৭০ টাকা, মুগডাল ১৪০ টাকা, মাসকলাই ৮৫ টাকা, ভাঙা মাসকলাই ১২০ থেকে১৩০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।

বাজার করতে আসা হানিফ বলেন, সব কিছুর দাম বেশী আমরা যারা নিম্ন আয়ের মানুষ আমাদের সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়।কারন জিনিসের দাম বাড়তেছে আমাদের মজুরিত বাড়তেছে না৷

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

আনোয়ারাই শীতের সবজি বাজার ভরা,তবে দাম বেশি

আপডেট টাইম ০৬:১৭:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১

মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকালে গিয়ে কথা হয় সবজি বিক্রেতাদের সাথে তারা জানান বাজারে প্রচুর পরিমানে শীতের সবজি আসলেও দাম তেমন কমেনি,তবে কিছু দিনের মধ্যে দাম কমে যাবে আমরা আশাবাদী৷

চাতরী চৌমুনি বাজারে শবজি বিক্রেতা আলিমের সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন, প্রতি কেজি সিম ৮০ টাকা,করলা ৬০ টাকা,পটল ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা,শসা ৪০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, পেঁপে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০টাকা,পালন শাক ৪০ টাকা, গাজর ১০০টাকা কেজি।

এছাড়া, প্রতি কেজি ফুলকপি ৬৭ টাকা, প্রতি কেজি বাঁধাকপি ৪০ টাকা, লেবু ৩৫ টাকা হালি, কাঁচা কলা ৩০ টাকা হালি, মাঝারি সাইজের কুমড়া ৪৫-৫০, মাঝারি সাইজের লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

একই বাজারের ইউচুপ বলেন, আমাদের আনোয়ারা চাতরী চৌমুনি বাজারে এখনো নতুন আলু সরবরাহ হয় নাই, আমরা পুরাতন আলু ২০ টাকা, বড় হলেন আলু ৩০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা,ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা, দেশি রসুন ৫০ টাকা, ভারতীয় রসুন ১২০থেকে ১২৫ টাকা, আঁদা ১২০ থেকে ১৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ওই বাজারের মাংস বিক্রেতা ফারুক বলেন, মাংসের দাম বাড়ায় বিক্রি কমে গেছে, গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, খাসির মাংস সকালে বিক্রি হয়েছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, টাকা বিক্রি হচ্ছে। একই বাজারের বেলাল বলেন, ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩২০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা, কেজি বিক্রি দরে হচ্ছে। এদিকে, হাঁসের ডিমের হালি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, দেশি মুরগি ৪৫ টাকা, ফার্মের মুরগির ডিম ৩২ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বিক্রেতা কায়সার বলেন রুই ২৫০ টাকা, বড় সিলভার ১৫০ টাকা, গ্রাস কার্প ১৪০ টাকা, শিং ৩৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, কৈ ২২০ টাকা, বড় শৈল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১১০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

ওই বাজারের করিম স্টোরের বিক্রেতা করিম বলেন, খোলা সয়াবিন তেল ১৫৫ টাকা, চিনি ৭৫ টাকা, খোলা আটা ৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৪৯ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। জব্বার বলেন, দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ৪০ টাকা, অ্যাংকর ৪৫ টাকা, খেসারি ৭০ টাকা, মুগডাল ১৪০ টাকা, মাসকলাই ৮৫ টাকা, ভাঙা মাসকলাই ১২০ থেকে১৩০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।

বাজার করতে আসা হানিফ বলেন, সব কিছুর দাম বেশী আমরা যারা নিম্ন আয়ের মানুষ আমাদের সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়।কারন জিনিসের দাম বাড়তেছে আমাদের মজুরিত বাড়তেছে না৷