আনোয়ারা( চট্রগ্রাম) প্রতিনিধি :
আনোয়ারা উপজেলায় বর্জ্যের বিষাক্ত পানি বিষক্রিয়ায় প্রজেক্টের মাছ মরছে। প্রতিদিন প্রজেক্টের মাছ মরায় মৎস্য চাষী আবুল কালাম সর্বস্বান্ত। তিনি কাফকোর বর্জ্য পানিতে ্মা্ছ মারছে বলে অভিযোগ তুলেছে। এ ব্যাপারে কাফকো ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন। এদিকে বৈরাগ ইউপি চেয়ারম্যান নোয়াব আলী বিষয়টি বিবেচনার জন্য কাফকো কর্তৃপক্ষের নিকট জোর সুপারিশ করেছেন। জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলার কাফকো কারখানার দক্ষিণে আবুল কালাম নামে এক ব্যক্তির মৎস্যঘের রয়েছে। তিনি তিন চার বছর ধরে মৎস্য প্রজেক্টে মাছ চাষ করছেন। চলতি বছর লাভের আশায় পাঁচ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ফেলেছেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে বৃষ্টি হলেই বর্জ্যের বিষাক্ত পানি মৎস্য প্রজেক্টে পড়ে। এরপর থেকেই মাছ মরতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন মাছ মরে পানিতে ভাসছে। মৎস্য চাষী আবুল কালাম দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তিনি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায কাফকো কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছেন। মৎস্য চাষী আবুল কালাম জানায় কাফকো কারখানার দক্ষিণে আমার মৎস্য ঘের। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রজেক্টে মাছ চাষ করে আসছি। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে বৃষ্টি হলেই কাফকো কারখানার ভিতরে নষ্ট সারের বস্তার পানি প্রবাহিত হয়ে প্রজেক্টে পড়লে বিষক্রিয়ায় মাছ মরছে। ক্রমাগত মাছ মরে পানিতে ভাসছে। তিনি বলেন বিষক্রিয়ায় পাঁচ লাখ টাকার মাছ মরে গেছে। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করেছিলাম। এখন আমি সর্বস্বান্ত। মাছ চাষ করে কোন মতে সংসার চালায়। গত শুক্রবার রাতে ভূমি মন্ত্রী আলহাজ্ব সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি কে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এদিকে কাফকো চীফ অপারেশন ম্যানেজার আমির খুররমকে ফোন করেও কল রিসিভ না হয় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে কাফকোতে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি জানায় কাফকো কারখানা থেকে কোন বিষাক্ত পানি ছাড়েনি।