ঢাকা ০৩:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে আমন ধানে বাম্পার ফলন

রাইসুল ইসলাম খোকন, সরিষাবাড়ী:   জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের তত্বাবধানে আধুনিক প্রযুক্তিতে উন্নত জাতের ধান চাষ, স্বল্প সময়ে আমন ধান কর্তন শুরু ও বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। আমন ধান চাষে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সরিষাবাড়ী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে কৃষি অফিসের তত্বাবধানে কৃষকদের মাঝে আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত জাতের ধান বীজ, সার, কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকগন সরাসরি প্রতিটি ইউপিতে নিয়োজিত উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাগনের পরামর্শ গ্রহন করায় আমন ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে ১২ হাজার ৬শত হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হলেও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় প্রায় ১৪ হাজার ৯শত হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। অতিরিক্ত ২ হাজার ৩ শত হেক্টর জমিতে ধান আবাদ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ধান কাটা শুূরু হয়েছে। যে সমস্ত জমিতে ধান গাছ দাড়ানো আছে সে সমস্ত জমিতে কম্বাইন হারবেষ্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা, মারানি করা হচ্ছে। এতে এক বিঘা জমিতে ধান কাটার সাথে-সাথে মারাই করতে সময় লাগে ৪০মিনিট, এতে খরচ হয় মাত্র এক হাজার ৫শত টাকা। অপর দিকে শ্রমিক দিয়ে কাটতে ও মারাই করতে খরচ হয় ৩ হাজার ৫শত টাকা সময়ও লাগে বেশি। কাজেই কৃষকগন দিন দিন আধুনিক প্রযুক্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। চলতি আমন মৌসুমে উন্নত জাতের ধানি গোল, ব্রি-ধান-৪৯, ৫১, ৫২ এছাড়াও বিনা-৭ বিনা -১১ ব্রি ধান-৬২, পাইজাম, গাইন্জা ইত্যাদি ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কর্মরত তিনজন করে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা সর্বদা কৃষকের পাশে সরাসরি মাঠেÑঘাটে ক্ষেতে খামারে নিয়োজিত রয়েছে। তাদের প্রচেষ্ঠায় কৃষকের মাঝে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার ফলে চলতি মৌশুমে আমন ধানে বাম্পার ফসন সম্ভব হয়েছে । ৪ নং আওনা ইউপির কাশিনাথপুর গ্রামের কৃষক মিলন, আমির হোসেন, হারুন ও কাবারিয়াবাড়ী গ্রামের মিন্টু, ওমর আলী, ময়নাল, সুরুজ,ও শাজাহান জানান, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আঃ কাদির ও রেজুয়ানের প্রচেষ্ঠায় ও পরামর্শ গ্রহন করে আমরা আগের চেয়ে এখন দ্বিগুন ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। কৃষকগন আরও জানান, ধানের বাজার মূল্য সঠিক নির্ধারনে সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে আমন ধানে বাম্পার ফলন

আপডেট টাইম ০৫:৩৫:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৮

রাইসুল ইসলাম খোকন, সরিষাবাড়ী:   জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের তত্বাবধানে আধুনিক প্রযুক্তিতে উন্নত জাতের ধান চাষ, স্বল্প সময়ে আমন ধান কর্তন শুরু ও বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। আমন ধান চাষে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সরিষাবাড়ী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে কৃষি অফিসের তত্বাবধানে কৃষকদের মাঝে আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত জাতের ধান বীজ, সার, কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকগন সরাসরি প্রতিটি ইউপিতে নিয়োজিত উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাগনের পরামর্শ গ্রহন করায় আমন ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে ১২ হাজার ৬শত হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হলেও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় প্রায় ১৪ হাজার ৯শত হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। অতিরিক্ত ২ হাজার ৩ শত হেক্টর জমিতে ধান আবাদ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ধান কাটা শুূরু হয়েছে। যে সমস্ত জমিতে ধান গাছ দাড়ানো আছে সে সমস্ত জমিতে কম্বাইন হারবেষ্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা, মারানি করা হচ্ছে। এতে এক বিঘা জমিতে ধান কাটার সাথে-সাথে মারাই করতে সময় লাগে ৪০মিনিট, এতে খরচ হয় মাত্র এক হাজার ৫শত টাকা। অপর দিকে শ্রমিক দিয়ে কাটতে ও মারাই করতে খরচ হয় ৩ হাজার ৫শত টাকা সময়ও লাগে বেশি। কাজেই কৃষকগন দিন দিন আধুনিক প্রযুক্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। চলতি আমন মৌসুমে উন্নত জাতের ধানি গোল, ব্রি-ধান-৪৯, ৫১, ৫২ এছাড়াও বিনা-৭ বিনা -১১ ব্রি ধান-৬২, পাইজাম, গাইন্জা ইত্যাদি ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কর্মরত তিনজন করে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা সর্বদা কৃষকের পাশে সরাসরি মাঠেÑঘাটে ক্ষেতে খামারে নিয়োজিত রয়েছে। তাদের প্রচেষ্ঠায় কৃষকের মাঝে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার ফলে চলতি মৌশুমে আমন ধানে বাম্পার ফসন সম্ভব হয়েছে । ৪ নং আওনা ইউপির কাশিনাথপুর গ্রামের কৃষক মিলন, আমির হোসেন, হারুন ও কাবারিয়াবাড়ী গ্রামের মিন্টু, ওমর আলী, ময়নাল, সুরুজ,ও শাজাহান জানান, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আঃ কাদির ও রেজুয়ানের প্রচেষ্ঠায় ও পরামর্শ গ্রহন করে আমরা আগের চেয়ে এখন দ্বিগুন ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। কৃষকগন আরও জানান, ধানের বাজার মূল্য সঠিক নির্ধারনে সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।