আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটিশ পতাকাবাহী ট্যাঙ্কার স্টেনা ইমপারোকে ছেড়ে দিয়েছে ইরান। গত জুলাইয়ে আটক করা ট্যাঙ্কারটি শুক্রবার ইরানের বন্দর আব্বাস থেকে যাত্রা শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
আরো পড়ুন : আগরতলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬
জিব্রাল্টার থেকে ব্রিটিশ রয়্যাল নৌবাহিনী ইরানের একটি ট্যাঙ্কার আটক করার দুই সপ্তাহ পর ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনী যুক্তরাজ্যের তেলবাহী ট্যাঙ্কার স্টেনা ইমপারো আটক করে। গত মাসে জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষ ইরানের ওই জাহাজটি ছেড়ে দেয়ার পর ইরানও ব্রিটিশ ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিল।
জাহাজের গতিপথ শনাক্তকারী একটি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, ইরানের বন্দর আব্বাস থেকে সংযুক্ত আর আমিরাতের রশিদ বন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করেছে স্টেনা ইমপারো। দুবাইয়ের ওই বন্দর থেকে সেটি এখন ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। স্বাভাবিক গতিতে গেলে অর্ধেক দিনের মধ্যে সেটি বন্দরে পৌঁছাবে।
স্টেনা বাল্ক অব সুইডেন ওই ট্যাঙ্কারটির মালিক। তবে সেটি যুক্তরাজ্যের তেলবহন করার কাজে ব্যবহৃত হয়। মালিক প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র শুক্রবার বলেছেন, তাদের ওই ট্যাঙ্কার তার গন্তব্য অভিমুখে যাত্রা করার জন্য প্রস্তুত।
সাটেলাইট ডাটার বরাতে ম্যারিন ট্রাফিক ডট কম জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে ইরানের বন্দ আব্বাসের বাইরে অবস্থান করতে দেখা গেছে। গত ১৯ জুলাই আটক করার পর থেকে সেখানেই ছিল ট্যাঙ্কারটি। তবে এ বিষয়ে ইরানের কর্তৃপক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা চলার মধ্যে জুলাইতে উপসাগরীয় এলাকা থেকে সাত নাবিকসহ ব্রিটিশ পতাকাবাহী ট্যাংকার স্টেনা ইমপারোকে আটক করে ইরান। ওই সময়ে আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই জাহাজ আটকে পরিবহন রুটে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রাথমিকভাবে তেহরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ইরানের একটি মাছ ধরা নৌকার সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর ব্রিটিশ ট্যাংকারটি আটক করা হয়।
ওই ঘটনাকে ইরানের ‘শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যা দেয় যুক্তরাজ্য। ইরানের অভিযোগ, দ্য স্টেনা ইমপারো আন্তর্জাতিক সমুদ্রযাত্রা-সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করে। সতর্কবার্তা অমান্য করায় সেটাকে জব্দ করা হয়।
এর অগে গত ১৩ জুন ওমান উপসাগরে দুটি তেলের ট্যাংকারে হামলার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে গত ১২ মে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) চারটি তেলের ট্যাংকারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় জন্যও যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরানকে দায়ী করে। তবে সব অভিযোগই প্রত্যাখ্যান করে ইরান।