ঢাকা ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে দিনভর গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন গজারিয়ায় নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু

আজ ৬ ডিসেম্বর, ৫ হানাদার ও ২৭ রাজাকার খতম করে মুক্ত হয় কলাপাড়া।

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা কলাপাড়া থানা ভবন দখল করে উড়িয়ে দেয় স্বাধীন পতাকা। এরপর ৫ জন হানাদার এবং ২৭ জন রাজাকারকে থানার সামনে গুলি করে খতম করা হয়।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর বিকেলে মুক্তিযোদ্ধারা গলাচিপা থেকে ’ভাট্রি’ নামের একটি জাহাজে কলাপাড়ায় আসেন। পরদিন রাত আটটার দিকে পাকহানাদার ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ শুরু করেন। এসময় পাকবাহিনীর সদস্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। রাত তিনটায় মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ রানার নেতৃত্বে ও মরহুম নাজমুল সালেকের রেকির ফলশ্রুতিতে ৫৩ জন মুক্তিযোদ্ধা কলাপাড়া থানা ভবন আক্রমন করেন। যুদ্ধে সাবেক নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা অংশগ্রহণ করেন। ৭ ঘণ্টা ত্রিমুখী আক্রমনের ফলে হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ (মঙ্গলবার) বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা আরিফুল রহমান মুকুল বলেন, আমরা থানা ভবন ঘেরাও করে তিন দিক থেকে আক্রমন করি। এসময় রাজাকারের ছোড়া একটি গুলি আমার মাথার পেছন দিক থেকে এসে আঘাত হানে। এতে আমার মাথার খুলি ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে আমি সুস্থ হয়ে উঠি। তবে সেই রাতের কথা মনে উঠলে আমি এখনো আঁতকে উঠি।
কলাপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার হাবিবুল্লাহ রানা বলেন, কলাপাড়া থানা ভবন দখল করে আমরা প্রকাশ্যে ৫ হানাদার এবং ২৭ জন রাজারকে গুলি করে খতম করেছি। তবে আজও দুঃখ একটাই, এখনো কলাপাড়ার অনেকে জানেনা হানাদার মুক্ত দিবসের সঠিক ইতিহাস। তাই আমরা নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।###

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

–অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

আজ ৬ ডিসেম্বর, ৫ হানাদার ও ২৭ রাজাকার খতম করে মুক্ত হয় কলাপাড়া।

আপডেট টাইম ০১:৪৯:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা কলাপাড়া থানা ভবন দখল করে উড়িয়ে দেয় স্বাধীন পতাকা। এরপর ৫ জন হানাদার এবং ২৭ জন রাজাকারকে থানার সামনে গুলি করে খতম করা হয়।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর বিকেলে মুক্তিযোদ্ধারা গলাচিপা থেকে ’ভাট্রি’ নামের একটি জাহাজে কলাপাড়ায় আসেন। পরদিন রাত আটটার দিকে পাকহানাদার ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ শুরু করেন। এসময় পাকবাহিনীর সদস্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। রাত তিনটায় মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ রানার নেতৃত্বে ও মরহুম নাজমুল সালেকের রেকির ফলশ্রুতিতে ৫৩ জন মুক্তিযোদ্ধা কলাপাড়া থানা ভবন আক্রমন করেন। যুদ্ধে সাবেক নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা অংশগ্রহণ করেন। ৭ ঘণ্টা ত্রিমুখী আক্রমনের ফলে হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ (মঙ্গলবার) বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা আরিফুল রহমান মুকুল বলেন, আমরা থানা ভবন ঘেরাও করে তিন দিক থেকে আক্রমন করি। এসময় রাজাকারের ছোড়া একটি গুলি আমার মাথার পেছন দিক থেকে এসে আঘাত হানে। এতে আমার মাথার খুলি ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে আমি সুস্থ হয়ে উঠি। তবে সেই রাতের কথা মনে উঠলে আমি এখনো আঁতকে উঠি।
কলাপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার হাবিবুল্লাহ রানা বলেন, কলাপাড়া থানা ভবন দখল করে আমরা প্রকাশ্যে ৫ হানাদার এবং ২৭ জন রাজারকে গুলি করে খতম করেছি। তবে আজও দুঃখ একটাই, এখনো কলাপাড়ার অনেকে জানেনা হানাদার মুক্ত দিবসের সঠিক ইতিহাস। তাই আমরা নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।###