আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা কলাপাড়া থানা ভবন দখল করে উড়িয়ে দেয় স্বাধীন পতাকা। এরপর ৫ জন হানাদার এবং ২৭ জন রাজাকারকে থানার সামনে গুলি করে খতম করা হয়।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর বিকেলে মুক্তিযোদ্ধারা গলাচিপা থেকে ’ভাট্রি’ নামের একটি জাহাজে কলাপাড়ায় আসেন। পরদিন রাত আটটার দিকে পাকহানাদার ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ শুরু করেন। এসময় পাকবাহিনীর সদস্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। রাত তিনটায় মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ রানার নেতৃত্বে ও মরহুম নাজমুল সালেকের রেকির ফলশ্রুতিতে ৫৩ জন মুক্তিযোদ্ধা কলাপাড়া থানা ভবন আক্রমন করেন। যুদ্ধে সাবেক নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা অংশগ্রহণ করেন। ৭ ঘণ্টা ত্রিমুখী আক্রমনের ফলে হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ (মঙ্গলবার) বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা আরিফুল রহমান মুকুল বলেন, আমরা থানা ভবন ঘেরাও করে তিন দিক থেকে আক্রমন করি। এসময় রাজাকারের ছোড়া একটি গুলি আমার মাথার পেছন দিক থেকে এসে আঘাত হানে। এতে আমার মাথার খুলি ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে আমি সুস্থ হয়ে উঠি। তবে সেই রাতের কথা মনে উঠলে আমি এখনো আঁতকে উঠি।
কলাপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার হাবিবুল্লাহ রানা বলেন, কলাপাড়া থানা ভবন দখল করে আমরা প্রকাশ্যে ৫ হানাদার এবং ২৭ জন রাজারকে গুলি করে খতম করেছি। তবে আজও দুঃখ একটাই, এখনো কলাপাড়ার অনেকে জানেনা হানাদার মুক্ত দিবসের সঠিক ইতিহাস। তাই আমরা নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।###
সংবাদ শিরোনাম ::
আজ ৬ ডিসেম্বর, ৫ হানাদার ও ২৭ রাজাকার খতম করে মুক্ত হয় কলাপাড়া।
- মাতৃভূমির খবর ডেস্ক
- আপডেট টাইম ০১:৪৯:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২
- ৬১৮ বার পড়া হয়েছে
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ