ঢাকা ০৪:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে দিনভর গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন গজারিয়ায় নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু চরফ্যাসনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৯।।

আজ মার্কিন কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  আজ যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন। কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ও উচ্চ কক্ষ সিনেটের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ দু’টি কক্ষেরই নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এখন ক্ষমতাসীন দল রিপাবলিকানদের। তারা সেই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের এই মধ্যবর্তী নির্বাচনকে দেখা হয় ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের ওপর আস্থার একটি গণভোট হিসেবে। যদি এই নির্বাচনে রিপাবলিকানরা হারে তাহলে কংগ্রেসের ওই দুটি কক্ষই চলে যাবে বিরোধী দল ডেমোক্রেটদের হাতে। তাতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে তার ক্ষমতার মেয়াদের বাকি দু’টি বছর খুব জটিল অবস্থার মধ্য দিয়ে চলতে হবে। কারণ, তিনি নিজে থেকে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

তাকে সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করাতে হবে কংগ্রেস থেকে। ফলে ডেমোক্রেটরা যদি কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ পায় তাহলে তিনি সব ক্ষেত্রে অনুমোদন পাবেন এমনটা হলফ করে বলা যায় না। এমনিতেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় যে পরিমাণ ভোট পড়ে মধ্যবর্তী নির্বাচনে তার থেকে অনেক কম ভোট দেন ভোটাররা। কিন্তু তাতে কি! ফল যাই হোক তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নাটকীয় এক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ট্রাম্পের আইনগত অথবা লেজিসলেটিভ সব এজেন্ডা বাস্তবায়নে। বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা আসন হারাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তারা সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারে। প্রতিনিধি পরিষদে মোট আসন ৪৩৫টি। বর্তমানে ২৩৬টি আসন ধরে রেখেছে রিপাবলিকানরা। ডেমোক্রেটদের দখলে আছে ১৯৩টি। ৬টি আসন ফাঁকা আছে। প্রতি দু’বছর পর পর এ পরিষদের সব আসনে নির্বাচন হয়। নতুন নির্বাচিত কংগ্রেসের মেয়াদ শুরু হবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে।

২০১০ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে যে টি-পার্টি আয়োজন করা হয় তার পর থেকে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে রিপাবলিকানরা। নিম্নকক্ষ বলে পরিচিত এই প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হলেন রিপাবলিকান পল যায়ান। তিনিও এবার তার নিজের রাজ্য উইসকনসিন থেকে নির্বাচন করছেন। প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পেতে হলে ডেমোক্রেটদের প্রয়োজন ২৩টি আসন। তারা সেটা পাবে বলে বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে।

ওদিকে সিনেটে রয়েছে ১০০ আসন। প্রতিটি রাজ্যে দুটি করে আসন মিলে এই সংখ্যা দাঁড়ায়। বর্তমানে সিনেটে রিপাবলিকানদের দখলে আছে ৫১ আসন। ডেমোক্রেটদের ৪৯ আসন। নির্বাচিত সিনেট সদস্যদের মেয়াদ ছয় বছর। কিন্তু প্রতি দু’বছর পর পর এর প্রায় এক তৃতীয়াংশ আসনে নির্বাচন হয়। ফলে মঙ্গলবারের নির্বাচনে সিনেটের ৩৫টি আসনে ভোট দেবেন ভোটাররা। বর্তমানে এই আসনগুলোর মধ্যে ২৬টিতে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটরা। ৯টি রিপাবলিকানদের।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর

আজ মার্কিন কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন

আপডেট টাইম ০৩:২০:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর ২০১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  আজ যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন। কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ও উচ্চ কক্ষ সিনেটের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ দু’টি কক্ষেরই নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এখন ক্ষমতাসীন দল রিপাবলিকানদের। তারা সেই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের এই মধ্যবর্তী নির্বাচনকে দেখা হয় ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের ওপর আস্থার একটি গণভোট হিসেবে। যদি এই নির্বাচনে রিপাবলিকানরা হারে তাহলে কংগ্রেসের ওই দুটি কক্ষই চলে যাবে বিরোধী দল ডেমোক্রেটদের হাতে। তাতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে তার ক্ষমতার মেয়াদের বাকি দু’টি বছর খুব জটিল অবস্থার মধ্য দিয়ে চলতে হবে। কারণ, তিনি নিজে থেকে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

তাকে সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করাতে হবে কংগ্রেস থেকে। ফলে ডেমোক্রেটরা যদি কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ পায় তাহলে তিনি সব ক্ষেত্রে অনুমোদন পাবেন এমনটা হলফ করে বলা যায় না। এমনিতেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় যে পরিমাণ ভোট পড়ে মধ্যবর্তী নির্বাচনে তার থেকে অনেক কম ভোট দেন ভোটাররা। কিন্তু তাতে কি! ফল যাই হোক তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নাটকীয় এক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ট্রাম্পের আইনগত অথবা লেজিসলেটিভ সব এজেন্ডা বাস্তবায়নে। বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা আসন হারাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তারা সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারে। প্রতিনিধি পরিষদে মোট আসন ৪৩৫টি। বর্তমানে ২৩৬টি আসন ধরে রেখেছে রিপাবলিকানরা। ডেমোক্রেটদের দখলে আছে ১৯৩টি। ৬টি আসন ফাঁকা আছে। প্রতি দু’বছর পর পর এ পরিষদের সব আসনে নির্বাচন হয়। নতুন নির্বাচিত কংগ্রেসের মেয়াদ শুরু হবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে।

২০১০ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে যে টি-পার্টি আয়োজন করা হয় তার পর থেকে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে রিপাবলিকানরা। নিম্নকক্ষ বলে পরিচিত এই প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হলেন রিপাবলিকান পল যায়ান। তিনিও এবার তার নিজের রাজ্য উইসকনসিন থেকে নির্বাচন করছেন। প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পেতে হলে ডেমোক্রেটদের প্রয়োজন ২৩টি আসন। তারা সেটা পাবে বলে বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে।

ওদিকে সিনেটে রয়েছে ১০০ আসন। প্রতিটি রাজ্যে দুটি করে আসন মিলে এই সংখ্যা দাঁড়ায়। বর্তমানে সিনেটে রিপাবলিকানদের দখলে আছে ৫১ আসন। ডেমোক্রেটদের ৪৯ আসন। নির্বাচিত সিনেট সদস্যদের মেয়াদ ছয় বছর। কিন্তু প্রতি দু’বছর পর পর এর প্রায় এক তৃতীয়াংশ আসনে নির্বাচন হয়। ফলে মঙ্গলবারের নির্বাচনে সিনেটের ৩৫টি আসনে ভোট দেবেন ভোটাররা। বর্তমানে এই আসনগুলোর মধ্যে ২৬টিতে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটরা। ৯টি রিপাবলিকানদের।