ঢাকা ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল

মোঃখলিলুর রহমান (জেলা প্রতিনিধি)

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসন থেকে আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য (এমপি) পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী, এই আসনের সাবেক জনপ্রিয় সংসদ সদস্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল।
১৬/০৩/২০২৩ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় তাঁর দৃষ্টিনন্দন বাগানবাড়িতে নবীনগর নির্বাচনী এলাকার স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় কালে তিনি তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে সাংবাদিকদের কাছে তাঁর এ সুপ্ত ইচ্ছের কথা সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেন। এসময় তিনি দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হতে ‘জাতির বিবেক’ খ্যাত সাংবাদিক সমাজের সুপরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। সাবেক সাংসদের আমন্ত্রণে সাংবাদিকেরা তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বাগানবাড়িতে প্রায় তিনঘন্টা সময় কাটান।
নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী এই আসনের সাবেক এই ‘স্পষ্টভাষী’ খ্যাত সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল বিগত ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ‘এমপি’ ছিলেন। তিনি তার কর্মগুণে নবীনগরের সাধারণ মানুষের নিকট জনপ্রিয় জননেতা, গরীবের বন্ধু,উন্নয়নের রাজপুত্র নামে পরিচিতি লাভ করেছেন।তিনি বলেন আমি সাংসদ নির্বাচিত হয়ে প্রথমে গুগল ম্যাপ দেখে নবীনগর কে বার্ড আই ( পাখির চোখে) দেখে নবীনগর কে অবকাঠামো উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার আমলে নবীনগর উপজেলায় প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করেছি , সেগুলোর বিস্তারিত বিবরণ তিনি সাংবাদিকদের সামনে সবিস্তুারে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন,’জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিগত সরকারের আমলে, আমি জননেত্রীর স্নেহধন্য হয়ে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি হয়েছিলাম। এমপি হ্ওয়ার পর নেত্রীর দিক নির্দেশনা ও আশীর্বাদ পেয়ে যুগের পর যুগ ধরে দারুণভাবে অবহেলিত শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির পাদপীঠ খ্যাত নবীনগর উপজেলার সামগ্রিক চেহারাটা আমি পাল্টে দেয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা করেছি।
যারমধ্যে পশ্চাৎপদ নবীনগরবাসির জেলা সদর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাতায়াতের জন্য ‘নবীনগর শিবপুর রাধিকা সড়ক, নবীনগর কুড়িঘর গোকর্ণঘাট মহেশ সড়ক ও নবীনগর কৃষ্ণনগর সাদেকপুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া’- এই তিনটি সড়ক নির্মাণের জন্য,শত শত কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছিলাম। যেই সড়ক তিনটির নির্মাণকাজ এখনও চলমান রয়েছে। এছাড়া সোয়া চার’শ কোটি টাকা ব্যায়ে উপজেলার উত্তরাঞ্চলবাসির প্রাণের দাবী ‘নবীনগর আশুগঞ্জ সড়ক’ নির্মাণের জন্যও সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলাম। যার মধ্যে তিতাস নদীর উপর সার্জেন্ট মুজিবুর রহমান সেতু,পাগলা নদীর উপর কৃষ্ণনগর জতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস সেতু,তিতাস ও মেঘনার অববাহিকায় সিতারামপুর সেতু রয়েছে।যার নির্মাণকাজ এখনও চলছে। এছাড়া ৩০ কি.মি. দীর্ঘ ‘নবীনগর কোম্পানীগঞ্জ সড়কের প্রশ্স্থকরণসহ উপজেলার অসংখ্য প্রয়োজনীয় রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট আমার আমলে নির্মিত হয়েছে। পাশাপাশি মেঘনা ও তিতাস নদীর ভাঙ্গণ রোধ ও স্কুল কলেজ মাদ্রাসা মসজিদ মন্দিরের সার্বিক উন্নয়নেও প্রচুর কাজ আমি করেছি।
আগরতলা ষড়যন্ত্রমামলার অন্যতম আসামি ও বঙ্গবন্ধুর সহচর সার্জেন্ট মুজিবুর রহমানের সন্তান ‘স্পষ্টবাদী’ খ্যাত এই সাবেক সাংসদ বলেন,’বিভিন্ন কারণে গত নির্বাচনটি আমি করতে পারিনি। তাই নবীনগরকে নিয়ে আমার সবগুলো পরিকল্পনা এবং আমার হাতে নেয়া যাবতীয় উন্নয়ন কাজগুলো শেষ করে যেতে পারিনি। তবে সামনের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবীনগরবাসির ভালোবাসা ও দোয়ায় এবং আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যার স্নেহধন্য হিসেবে আবারও নবীনগর আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেলে, আমি আপনাদের (সাংবাদিক) সকলের সহযোগিতায় আমার বিগত দিনের অসমাপ্ত সবগুলো কাজ সবাইকে সাথে নিয়ে সুন্দরভাবে সমাপ্ত করতে চাই। আমি চাই, আগামি দিনে সবার আন্তরিকতাপূর্ণ সহযোগিতা ও সুপরামর্শে নবীনগরকে সত্যিকার অর্থে সারাদেশের মধ্যে একটি অনুকরণীয় উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে গড়ে তুলতে।
যা দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবেন।
এ সময় তিনি নবীনগরকে নিয়ে তাঁর বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উপস্থিত সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা ও সুপরামর্শ চান।
এসময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও খোলামেলা জবাব দেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,’ বিগত ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমার আমলে নবীনগরের সাধারণ মানুষ দিনে ও রাতে সামগ্রিকভাবে যেরকম সুখে শান্তিতে নিরাপদে নির্ভয়ে বসবাস করেছে, আগামি দিনে তিনি আবারও এমপি নির্বাচিত হলে, নবীনগরবাসি ঠিক আগের মতই অনুরূপভাবে সুখে শান্তিতে, নির্ভয়ে ও নিরাপদে বসবাস করবেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,’আমি কখনও কোনদিন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়নি এবং আমৃত্যু কখনও কোন ধরণের অপরাধ ও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবো না। অন্যায়কারী কিংবা জুলুমবাজ দলীয় কিংবা ব্যক্তিজীবনে আমার যতই কাছের লোক হোক না কেন, এরা অন্যায় করে আমার কাছে কোনদিনও রেহাই পাবেনা ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন আমি গত চার বছর যাবৎ দলীয় নেতৃবৃন্দের খোজ খবর নিয়েছি। সুখে দুখে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।
নৌকার পক্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনার হয়ে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্থ সময় পাড় করছি।১৮/০৩ ২০২৩ নবীনগর পূর্ব এলাকার ছয় ইউনিয়ন নিয়ে শিবপুর হাই স্কুল মাঠে একটি জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকার পক্ষে আমি একটি বিশাল প্রচারনা সভা করবো ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মদিন ও শিশু দিবস উপলক্ষে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগদান করবো।
এসময় তিনি সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সত্যের পক্ষে ও সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে শক্তভাবে কলম ধরার জন্য সাংবাদিকদের উদাত্ত আহবান জানান।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল

আপডেট টাইম ০৮:২৭:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

মোঃখলিলুর রহমান (জেলা প্রতিনিধি)

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসন থেকে আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য (এমপি) পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী, এই আসনের সাবেক জনপ্রিয় সংসদ সদস্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল।
১৬/০৩/২০২৩ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় তাঁর দৃষ্টিনন্দন বাগানবাড়িতে নবীনগর নির্বাচনী এলাকার স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় কালে তিনি তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে সাংবাদিকদের কাছে তাঁর এ সুপ্ত ইচ্ছের কথা সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেন। এসময় তিনি দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হতে ‘জাতির বিবেক’ খ্যাত সাংবাদিক সমাজের সুপরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। সাবেক সাংসদের আমন্ত্রণে সাংবাদিকেরা তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বাগানবাড়িতে প্রায় তিনঘন্টা সময় কাটান।
নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী এই আসনের সাবেক এই ‘স্পষ্টভাষী’ খ্যাত সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল বিগত ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ‘এমপি’ ছিলেন। তিনি তার কর্মগুণে নবীনগরের সাধারণ মানুষের নিকট জনপ্রিয় জননেতা, গরীবের বন্ধু,উন্নয়নের রাজপুত্র নামে পরিচিতি লাভ করেছেন।তিনি বলেন আমি সাংসদ নির্বাচিত হয়ে প্রথমে গুগল ম্যাপ দেখে নবীনগর কে বার্ড আই ( পাখির চোখে) দেখে নবীনগর কে অবকাঠামো উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার আমলে নবীনগর উপজেলায় প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করেছি , সেগুলোর বিস্তারিত বিবরণ তিনি সাংবাদিকদের সামনে সবিস্তুারে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন,’জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিগত সরকারের আমলে, আমি জননেত্রীর স্নেহধন্য হয়ে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি হয়েছিলাম। এমপি হ্ওয়ার পর নেত্রীর দিক নির্দেশনা ও আশীর্বাদ পেয়ে যুগের পর যুগ ধরে দারুণভাবে অবহেলিত শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির পাদপীঠ খ্যাত নবীনগর উপজেলার সামগ্রিক চেহারাটা আমি পাল্টে দেয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা করেছি।
যারমধ্যে পশ্চাৎপদ নবীনগরবাসির জেলা সদর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাতায়াতের জন্য ‘নবীনগর শিবপুর রাধিকা সড়ক, নবীনগর কুড়িঘর গোকর্ণঘাট মহেশ সড়ক ও নবীনগর কৃষ্ণনগর সাদেকপুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া’- এই তিনটি সড়ক নির্মাণের জন্য,শত শত কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছিলাম। যেই সড়ক তিনটির নির্মাণকাজ এখনও চলমান রয়েছে। এছাড়া সোয়া চার’শ কোটি টাকা ব্যায়ে উপজেলার উত্তরাঞ্চলবাসির প্রাণের দাবী ‘নবীনগর আশুগঞ্জ সড়ক’ নির্মাণের জন্যও সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলাম। যার মধ্যে তিতাস নদীর উপর সার্জেন্ট মুজিবুর রহমান সেতু,পাগলা নদীর উপর কৃষ্ণনগর জতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস সেতু,তিতাস ও মেঘনার অববাহিকায় সিতারামপুর সেতু রয়েছে।যার নির্মাণকাজ এখনও চলছে। এছাড়া ৩০ কি.মি. দীর্ঘ ‘নবীনগর কোম্পানীগঞ্জ সড়কের প্রশ্স্থকরণসহ উপজেলার অসংখ্য প্রয়োজনীয় রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট আমার আমলে নির্মিত হয়েছে। পাশাপাশি মেঘনা ও তিতাস নদীর ভাঙ্গণ রোধ ও স্কুল কলেজ মাদ্রাসা মসজিদ মন্দিরের সার্বিক উন্নয়নেও প্রচুর কাজ আমি করেছি।
আগরতলা ষড়যন্ত্রমামলার অন্যতম আসামি ও বঙ্গবন্ধুর সহচর সার্জেন্ট মুজিবুর রহমানের সন্তান ‘স্পষ্টবাদী’ খ্যাত এই সাবেক সাংসদ বলেন,’বিভিন্ন কারণে গত নির্বাচনটি আমি করতে পারিনি। তাই নবীনগরকে নিয়ে আমার সবগুলো পরিকল্পনা এবং আমার হাতে নেয়া যাবতীয় উন্নয়ন কাজগুলো শেষ করে যেতে পারিনি। তবে সামনের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবীনগরবাসির ভালোবাসা ও দোয়ায় এবং আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যার স্নেহধন্য হিসেবে আবারও নবীনগর আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেলে, আমি আপনাদের (সাংবাদিক) সকলের সহযোগিতায় আমার বিগত দিনের অসমাপ্ত সবগুলো কাজ সবাইকে সাথে নিয়ে সুন্দরভাবে সমাপ্ত করতে চাই। আমি চাই, আগামি দিনে সবার আন্তরিকতাপূর্ণ সহযোগিতা ও সুপরামর্শে নবীনগরকে সত্যিকার অর্থে সারাদেশের মধ্যে একটি অনুকরণীয় উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে গড়ে তুলতে।
যা দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবেন।
এ সময় তিনি নবীনগরকে নিয়ে তাঁর বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উপস্থিত সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা ও সুপরামর্শ চান।
এসময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও খোলামেলা জবাব দেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,’ বিগত ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমার আমলে নবীনগরের সাধারণ মানুষ দিনে ও রাতে সামগ্রিকভাবে যেরকম সুখে শান্তিতে নিরাপদে নির্ভয়ে বসবাস করেছে, আগামি দিনে তিনি আবারও এমপি নির্বাচিত হলে, নবীনগরবাসি ঠিক আগের মতই অনুরূপভাবে সুখে শান্তিতে, নির্ভয়ে ও নিরাপদে বসবাস করবেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,’আমি কখনও কোনদিন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়নি এবং আমৃত্যু কখনও কোন ধরণের অপরাধ ও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবো না। অন্যায়কারী কিংবা জুলুমবাজ দলীয় কিংবা ব্যক্তিজীবনে আমার যতই কাছের লোক হোক না কেন, এরা অন্যায় করে আমার কাছে কোনদিনও রেহাই পাবেনা ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন আমি গত চার বছর যাবৎ দলীয় নেতৃবৃন্দের খোজ খবর নিয়েছি। সুখে দুখে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।
নৌকার পক্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনার হয়ে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্থ সময় পাড় করছি।১৮/০৩ ২০২৩ নবীনগর পূর্ব এলাকার ছয় ইউনিয়ন নিয়ে শিবপুর হাই স্কুল মাঠে একটি জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকার পক্ষে আমি একটি বিশাল প্রচারনা সভা করবো ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মদিন ও শিশু দিবস উপলক্ষে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগদান করবো।
এসময় তিনি সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সত্যের পক্ষে ও সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে শক্তভাবে কলম ধরার জন্য সাংবাদিকদের উদাত্ত আহবান জানান।