রুবেল আহমেদ, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়ার): ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার আখাউড়ায় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে শিক্ষক কর্তৃক দায়েরকৃত মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক সমাজ। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ. আ. ম. রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সাধারন সম্পাদক সাদেকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি, জেলা সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নুর, সিনিয়র সাংবাদিক জাবেদ রহিম বিজন, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক কাজী হান্নান খাদেম, আখাউড়া টিভি জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম,
আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মহিউদ্দিম মিশু, সাংবাদিক ফজলে রাব্বি প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ইন্ধনে আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মহিউদ্দিন মিশু ও আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক কাজী হান্নান খাদেমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন একজন শিক্ষক। সংবাদ প্রকাশের ২৫দিন পর মামলাটি করিয়েছেন। তিনি বিষয়টি সমাধান করে দেবেন বলে সভা ডেকেও তা সমাধান করেননি।
অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী করেন। অন্যথায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধ হয়ে কঠোর কর্মসূচীর হুশিয়ারী দেয়া হয় মানববন্ধনে।
এই বিষয়টি আইন বিচার ও সংসদ বিষায়ক মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এর নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় তাঁর হস্তক্ষেপ কামনা করেন সাংবাদিক সমাজ। পরে সাংবাদিকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সনের ১৪ নভেম্বর জেএসসি’র গণিত পরীক্ষা চলাকালে ওই দুই সাংবাদিক পেশাগত কাজে আখাউড়া রেলওয়ে স্কুল কেন্দ্রে যান এবং পরের দিন ১৫ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন অনলাইন নিউজ সংস্করণে ওই কেন্দ্রের নকলের সংবাদ প্রকাশ করা হয়। নকলের সংবাদ প্রকাশ করায় ২৫ দিন পর মামলা করেন আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ উচ্চ বিদ্যালেয়ের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী ইকবাল।
মামলার অভিযোগ সাংবাদিকেরা জোরপর্বক কেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন এবং মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করেছেন।
কিন্তু মামলার বাদীর ওই দিন ওই কেন্দ্রে ডিউটি ছিল না। তিনি ওই কেন্দ্রও ছিলেন না। ওই কেন্দ্রের সচিব, সহকারী সচিব বা ডিউটিরত কোন শিক্ষক মামলা করেননি।