ঢাকা ০৫:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রেস বিজ্ঞপ্তি (২০ এপ্রিল ২০২৪ ) —————————————- ১৫ দিনের ঈদযাত্রায় ২৯৪ প্রাণের মৃত্যুমিছিল : সেভ দ্য রোড চন্দনাইশে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল বশর ভূঁইয়া পরিষদের ঈদ পুনমিলনী অনুষ্ঠিত ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি আশারুল শেখ এবং তার প্রধান সহযোগী ইলিয়াস শেখ ও খায়রুল শেখ’কে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর

আকরাম ‘হত্যা’য় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুলের সম্পৃক্ততা

আশরাফুল ইসলাম,ঝিনাইদহ জেলা থেকে:

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার আসামি চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে নতুন করে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেনকে হত্যার অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার। তাদের অভিযোগ- আকরামের স্ত্রীর সঙ্গে বাবুলের প্রেমের সম্পর্কের জেরেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর স্ত্রীর পরামর্শেই যমুনা সেতু হয়ে ঝিনাইদহে ফিরছিলেন আকরাম। ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে শৈলকূপার বড়দা নামক স্থানে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে ছিলেন তিনি। ঘটনাটি পুলিশ সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়। ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আকরাম।

আকরামকে হত্যা করা হয়েছে- এমন অভিযোগ নিয়ে ঘটনার পরপরই শৈলকূপা থানায় মামলা করতে যান তার পরিবারের সদস্যরা। থানা পুলিশ মামলা না নিলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হন। সে সময় ঝিনাইদহ আদালত শৈলকূপা থানাকে মামলাটি এজাহারভুক্ত করার নির্দেশও দেন। কিন্তু আকরামের স্ত্রীর দায়ের করা সড়ক দুর্ঘটনার মামলার অজুহাতে আদালতের নির্দেশনা আমলে নেননি তৎকালীন ওসি হাসেম খান। বহুদিন পর মিতু হত্যা নতুন মোড় নেওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে আকরামের পরিবার। ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে নতুন করে এসআই আকরামের মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনে আবেদনও করেছে তারা।

সে সময় মামলা নথিভুক্ত না করা প্রসঙ্গে শৈলকূপা থানার বর্তমান ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাটি অনেক দিন আগের। নথিপত্র পর্যালোচনা করে পরে জানানো হবে। এসআই আকরামের মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনের আবেদন বিষয়ে ঝিনাইদহ পিবিআইর পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, আকরামের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি আবেদন পেয়েছি। পিবিআই এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।

আকরামের বোন জান্নাত আরা পারভিনের অভিযোগ- আকরামের স্ত্রী বনানী বিনতে বশির ওরফে বহ্নির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বাবুল আক্তারের। এ নিয়ে বহ্নি ও আকরামের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি হতো। জান্নাত আরা পারভিন বলেন, খুলনায় বাবুল আক্তারের বাবা পুলিশে এবং বহ্নির বাবা বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডে (বিআরডিবি) চাকরি করতেন এবং পাশাপাশি বাসায় ভাড়া থাকতেন। সেখান থেকে বাবুল আর বহ্নির মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠ। ২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি তার ভাই আকরামের সঙ্গে বহ্নির বিয়ে হয়। অন্যদিকে চট্টগ্রামে খুন হওয়া মাহমুদা খানম মিতুকে বিয়ে করেন বাবুল আক্তার। বিয়ের পরও বাবুল আর বহ্নির মধ্যে যোগাযোগ ছিল। তাদের ধারণা, ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর এসআই আকরাম যমুনা সেতু হয়ে ঝিনাইদহ যাওয়ার পথে বহ্নি আর বাবুল সন্ত্রাসী ভাড়া করে রাখেন। এর পর ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায় মহাসড়কে মুমূর্ষু অবস্থায় আকরামকে উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি মারা যান আকরাম।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি (২০ এপ্রিল ২০২৪ ) —————————————- ১৫ দিনের ঈদযাত্রায় ২৯৪ প্রাণের মৃত্যুমিছিল : সেভ দ্য রোড

আকরাম ‘হত্যা’য় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুলের সম্পৃক্ততা

আপডেট টাইম ০১:৪১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১

আশরাফুল ইসলাম,ঝিনাইদহ জেলা থেকে:

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার আসামি চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে নতুন করে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেনকে হত্যার অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার। তাদের অভিযোগ- আকরামের স্ত্রীর সঙ্গে বাবুলের প্রেমের সম্পর্কের জেরেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর স্ত্রীর পরামর্শেই যমুনা সেতু হয়ে ঝিনাইদহে ফিরছিলেন আকরাম। ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে শৈলকূপার বড়দা নামক স্থানে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে ছিলেন তিনি। ঘটনাটি পুলিশ সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়। ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আকরাম।

আকরামকে হত্যা করা হয়েছে- এমন অভিযোগ নিয়ে ঘটনার পরপরই শৈলকূপা থানায় মামলা করতে যান তার পরিবারের সদস্যরা। থানা পুলিশ মামলা না নিলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হন। সে সময় ঝিনাইদহ আদালত শৈলকূপা থানাকে মামলাটি এজাহারভুক্ত করার নির্দেশও দেন। কিন্তু আকরামের স্ত্রীর দায়ের করা সড়ক দুর্ঘটনার মামলার অজুহাতে আদালতের নির্দেশনা আমলে নেননি তৎকালীন ওসি হাসেম খান। বহুদিন পর মিতু হত্যা নতুন মোড় নেওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে আকরামের পরিবার। ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে নতুন করে এসআই আকরামের মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনে আবেদনও করেছে তারা।

সে সময় মামলা নথিভুক্ত না করা প্রসঙ্গে শৈলকূপা থানার বর্তমান ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাটি অনেক দিন আগের। নথিপত্র পর্যালোচনা করে পরে জানানো হবে। এসআই আকরামের মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনের আবেদন বিষয়ে ঝিনাইদহ পিবিআইর পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, আকরামের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি আবেদন পেয়েছি। পিবিআই এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।

আকরামের বোন জান্নাত আরা পারভিনের অভিযোগ- আকরামের স্ত্রী বনানী বিনতে বশির ওরফে বহ্নির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বাবুল আক্তারের। এ নিয়ে বহ্নি ও আকরামের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি হতো। জান্নাত আরা পারভিন বলেন, খুলনায় বাবুল আক্তারের বাবা পুলিশে এবং বহ্নির বাবা বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডে (বিআরডিবি) চাকরি করতেন এবং পাশাপাশি বাসায় ভাড়া থাকতেন। সেখান থেকে বাবুল আর বহ্নির মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠ। ২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি তার ভাই আকরামের সঙ্গে বহ্নির বিয়ে হয়। অন্যদিকে চট্টগ্রামে খুন হওয়া মাহমুদা খানম মিতুকে বিয়ে করেন বাবুল আক্তার। বিয়ের পরও বাবুল আর বহ্নির মধ্যে যোগাযোগ ছিল। তাদের ধারণা, ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর এসআই আকরাম যমুনা সেতু হয়ে ঝিনাইদহ যাওয়ার পথে বহ্নি আর বাবুল সন্ত্রাসী ভাড়া করে রাখেন। এর পর ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায় মহাসড়কে মুমূর্ষু অবস্থায় আকরামকে উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি মারা যান আকরাম।