মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিগত দিনে বিএনপি-জামায়াত জোট জনগণকে কিছু দিতে পারেনি। তারা শুধু নিতে পারে। আর আওয়ামী লীগ শুধু দিতে জানে। যে পরিকল্পনা সামনে নেওয়া হয়েছে সে ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগের ফের ক্ষমতায় আসা দরকার। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর হাসপাতাল মাঠে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণ আয়োজিত নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আমলে লোডশেডিংয়ে সারা দেশে অসহনীয় অবস্থা তৈরি হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের এমপিরা জনগণের রোষের মুখে পড়েছিল। তাদের এক এমপির নামই হয়ে গেছিল দৌড় সালাহউদ্দিন। এলাকায় পানি না পেয়ে লোকজন তাকে তাড়া করেছিল।
বিএনপি-জামায়াত সরকারের মেয়াদে রাজধানীর দুরবস্থার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই ঢাকায় পানির জন্য হাহাকার ছিল। এক গাড়ি পানি কিনতে যেখানে দুইশ টাকা লাগার কথা সেখানে ১৫ টাকা দিয়ে কিনতে হতো। আর বিদ্যুতের লোডশেডিংই বেশি থাকত। বিদ্যুৎই ছিল না। রাস্তাঘাট, পয়ঃনিষ্কাশনের করুণ অবস্থা ছিল, একটা অসনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল।
তিনি বলেন, অনেক বিদ্যালয় স্থাপন করেছি। এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রও আমরা করে দিয়েছি। এখানের সরকারি হাসপাতাল নির্মাণ করেছি। কোনো জলাবদ্ধতা নেই। এই এলাকায় ১০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের প্ল্যান করেছি। এসেব ফ্ল্যাটে দৈনিক, সাপ্তাহিক অথবা মাসিক ভাড়ায় থাকতে পারবেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে জনসভা সঞ্চালন করেন সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণ এলাকার অন্তর্ভুক্ত ৮টি সংসদীয় আসনে মহাজোট ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ৮টি আসনের প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন।
অন্যান্য প্রার্থীদের মাঝে ঢাকা-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী নসরুল হামিদ বিপু ও ঢাকা-১০ আসনের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নির্বাচনী প্রচারণায় থাকায় জনসভায় উপস্থিত ছিলেন না।