ঢাকা ০৫:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

আওয়ামী লীগের ধর্মনিরপেক্ষতার সুচিন্তায় সারা দেশে মডেল মসজিদ, উন্নয়ন বঞ্চিত নয় অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।

মোঃ আলাল সরকার
(কলামিস্ট, কালিয়াকৈর গাজীপুর)

ধর্মনিরপেক্ষতা অতিপরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ একটি শব্দ যাঁ বলতে নিজ ধর্মের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান দেখানো যা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর মধ্যে ছিলো। তিনি তাঁর বিদায় ভাষণে, অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছেন। ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে নিজ ধর্মকে ছোট করা নয় কিংবা অন্য ধর্মের প্রতি অবহেলাও নয়। স্ব স্ব ধর্মের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা ভক্তি আনুগত্য থাকার পাশাপাশি অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান দেখানোই হলো ধর্মনিরপেক্ষতা। এই ধর্মনিরপেক্ষতা বাংলাদেশ সংবিধানের একটি মৌলিক অধ্যায় বা বিষয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যে দলটির নেতৃত্বে আমরা বাঙ্গালিরা পেয়েছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ,সেই দলটির অন্যতম আদর্শ হলো ধর্মনিরপেক্ষতা। এই ধর্মনিরপেক্ষতার সমর্থনে সকল ধর্মের লোকজন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামকে যেমন সম্মান করে,ধর্মীয় আদর্শ মানে তেমনি অন্য ধর্মের প্রতি যথেষ্ট সম্মান ও দায়িত্ব প্রদর্শন করে। সেটা সারা দেশে মডেল মসজিদ নির্মাণ করে আবারও প্রমাণ করলেন এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন করে দিয়েছেন। যেই মডেল মসজিদ গুলো ধর্মীয় কর্মের পাশাপাশি ইসলামিক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচালিত হবে। যা আমাদের ইসলাম ধর্মের শিক্ষাকে আরো সমৃদ্ধ করবে ইনশাআল্লাহ।

কিন্তু একদল সমালোচক ও ধর্মান্ধতরা যারা ধর্মের দোহায় দিয়ে সব সময় আওয়ামী লীগের এই ধর্মনিরপেক্ষতার দূর্বলাতকে কাজে লাগিয়ে সহজ সরল বাঙ্গালীকে সব সময় বিপথে চালিত করে বা করার চেষ্টা চালায়। তাঁরা ( ধর্মান্ধরা)বলে আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলে ইসলাম ধর্ম বিলীন হয়ে যাবে, মসজিদে মসজিদে তুলুপ ধ্বনি বাঁজবে- আরো কত কি?। আমি সাধারণ মুসলিম হিসেবে একদিনও বাংলাদেশের কোন মসজিদে আযানের বদলে তুলুপ ধ্বনি বাজতে দেখিনি।

সমালোচনা করা রাজনৈতিক অধিকার কিন্তু ধর্ম নিয়ে নয়। আর এই সমালোচনার জবাব যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউণ্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে,টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার জায়গা বরাদ্দ দিয়ে। তেমনি শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগে( যার দর্শন ধর্মনিরপেক্ষতা) ক্ষমতায় এসে সারা দেশে মডেল মসজিদ নির্মাণ করে ধর্মান্ধদের প্রতি কড়া জবাব দিলেন। তিনি বুজিয়ে দিলেন ধর্মনিরপেক্ষতা মানে নিজ ধর্ম ভূলে যাওয়া নয়।
আওয়ামী লীগের এই ধর্মনিরপেক্ষতা সারা বিশ্বকে মুগ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে । আমরা সাধারণ জনগনও এই কাজের প্রশংসা করি।

শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ সরকারের এই ধর্মীয় সুচিন্তা অন্য কারও মধ্যে কখনো পরিলক্ষিত হয়ছে কিনা, এদেশের জনগণ ভালো জানে । অনেক রাজনৈতিক দল তথা ধর্মান্ধরা দেশে ধর্মের দোহায় দিয়ে দেশটাকে পিছিয়ে দেবার অপ্রয়াস করেছে অনেক বার।

কিন্তু ধর্মীয় নিরপেক্ষতার নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে অন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও। সেই সাথে সকল ধর্মের লোকজন স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে, যা তথাকথিত ধর্মান্ধরা ক্ষমতায় থাকলে সম্ভম ছিলো না।

যাইহোক, সমালোচনা করার অধিকার সকলের আছে তবে সেটা যেনো হয় গঠন মূলক। কারণ এটা গণতান্ত্রিক দেশ তাই বলে, ধর্মকে পূজি করে সমালোচনা নয়, কারন ধর্ম হলো আবেগ ও অনুভতির জায়গা।

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

আওয়ামী লীগের ধর্মনিরপেক্ষতার সুচিন্তায় সারা দেশে মডেল মসজিদ, উন্নয়ন বঞ্চিত নয় অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।

আপডেট টাইম ১০:৪০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০২৩

মোঃ আলাল সরকার
(কলামিস্ট, কালিয়াকৈর গাজীপুর)

ধর্মনিরপেক্ষতা অতিপরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ একটি শব্দ যাঁ বলতে নিজ ধর্মের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান দেখানো যা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর মধ্যে ছিলো। তিনি তাঁর বিদায় ভাষণে, অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছেন। ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে নিজ ধর্মকে ছোট করা নয় কিংবা অন্য ধর্মের প্রতি অবহেলাও নয়। স্ব স্ব ধর্মের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা ভক্তি আনুগত্য থাকার পাশাপাশি অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান দেখানোই হলো ধর্মনিরপেক্ষতা। এই ধর্মনিরপেক্ষতা বাংলাদেশ সংবিধানের একটি মৌলিক অধ্যায় বা বিষয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যে দলটির নেতৃত্বে আমরা বাঙ্গালিরা পেয়েছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ,সেই দলটির অন্যতম আদর্শ হলো ধর্মনিরপেক্ষতা। এই ধর্মনিরপেক্ষতার সমর্থনে সকল ধর্মের লোকজন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামকে যেমন সম্মান করে,ধর্মীয় আদর্শ মানে তেমনি অন্য ধর্মের প্রতি যথেষ্ট সম্মান ও দায়িত্ব প্রদর্শন করে। সেটা সারা দেশে মডেল মসজিদ নির্মাণ করে আবারও প্রমাণ করলেন এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন করে দিয়েছেন। যেই মডেল মসজিদ গুলো ধর্মীয় কর্মের পাশাপাশি ইসলামিক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচালিত হবে। যা আমাদের ইসলাম ধর্মের শিক্ষাকে আরো সমৃদ্ধ করবে ইনশাআল্লাহ।

কিন্তু একদল সমালোচক ও ধর্মান্ধতরা যারা ধর্মের দোহায় দিয়ে সব সময় আওয়ামী লীগের এই ধর্মনিরপেক্ষতার দূর্বলাতকে কাজে লাগিয়ে সহজ সরল বাঙ্গালীকে সব সময় বিপথে চালিত করে বা করার চেষ্টা চালায়। তাঁরা ( ধর্মান্ধরা)বলে আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলে ইসলাম ধর্ম বিলীন হয়ে যাবে, মসজিদে মসজিদে তুলুপ ধ্বনি বাঁজবে- আরো কত কি?। আমি সাধারণ মুসলিম হিসেবে একদিনও বাংলাদেশের কোন মসজিদে আযানের বদলে তুলুপ ধ্বনি বাজতে দেখিনি।

সমালোচনা করা রাজনৈতিক অধিকার কিন্তু ধর্ম নিয়ে নয়। আর এই সমালোচনার জবাব যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউণ্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে,টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার জায়গা বরাদ্দ দিয়ে। তেমনি শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগে( যার দর্শন ধর্মনিরপেক্ষতা) ক্ষমতায় এসে সারা দেশে মডেল মসজিদ নির্মাণ করে ধর্মান্ধদের প্রতি কড়া জবাব দিলেন। তিনি বুজিয়ে দিলেন ধর্মনিরপেক্ষতা মানে নিজ ধর্ম ভূলে যাওয়া নয়।
আওয়ামী লীগের এই ধর্মনিরপেক্ষতা সারা বিশ্বকে মুগ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে । আমরা সাধারণ জনগনও এই কাজের প্রশংসা করি।

শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ সরকারের এই ধর্মীয় সুচিন্তা অন্য কারও মধ্যে কখনো পরিলক্ষিত হয়ছে কিনা, এদেশের জনগণ ভালো জানে । অনেক রাজনৈতিক দল তথা ধর্মান্ধরা দেশে ধর্মের দোহায় দিয়ে দেশটাকে পিছিয়ে দেবার অপ্রয়াস করেছে অনেক বার।

কিন্তু ধর্মীয় নিরপেক্ষতার নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে অন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও। সেই সাথে সকল ধর্মের লোকজন স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে, যা তথাকথিত ধর্মান্ধরা ক্ষমতায় থাকলে সম্ভম ছিলো না।

যাইহোক, সমালোচনা করার অধিকার সকলের আছে তবে সেটা যেনো হয় গঠন মূলক। কারণ এটা গণতান্ত্রিক দেশ তাই বলে, ধর্মকে পূজি করে সমালোচনা নয়, কারন ধর্ম হলো আবেগ ও অনুভতির জায়গা।

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।