বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীর পথসভায় দেয়া বক্তব্য কুরুচিপূর্ণভাবে এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে চাম্বল ইউনিয়নস্থ নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, আমি বিগত ৫ বছর সততার সহিত চাম্বল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আবারও জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমার প্রতিপক্ষ জনবিচ্ছিন্ন কিছু ব্যক্তি প্রচারণা চলাকালীন কিছু কথাকে এডিট করে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করে বর্তমান সরকারের স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়া ইভিএম-কে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং আমার জনপ্রিয়তাকে খর্ব করার জন্য নানা ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বিগত ২০১৪ সালে বাঁশখালীর এই চাম্বল ইউনিয়নে একটি ব্যানার নামানোকে কেন্দ্র করে ৯ জন পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছিল কিছু জঙ্গিগোষ্ঠী। যার ফলস্বরূপ এখনো পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন ওই পুলিশ সদস্যরা। আমার প্রচারণা প্রচারণা চলাকালীন স্থান চাম্বলের বাংলাবাজারে চলতি বছরের হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় উৎসব দূর্গাপূজা চলাকালীন সময়ে একই জঙ্গিগোষ্ঠী পূজার প্রতিমা ও মন্দির ভাংচুর করে। আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে এর প্রতিরোধ করায় উল্লেখিত জঙ্গিগোষ্ঠী আমার ওপর ক্ষিপ্ত রয়েছে। গত ২৮ মে শনিবার ওই বাংলা বাজার এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ চলাকালে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখি। এখানে উল্লেখ্য যে, আমাদের এলাকায় প্রথমবারের মতো বর্তমান সরকারের স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়া ইভিএম-এ ভোট হতে যাচ্ছে। এলাকার সাধারণ জনগণ ইভিএম পদ্ধতিতে কিভাবে ভোট দিবেন সেটা সম্পর্কে অবগত নয়। উক্ত বক্তব্যে আমি এলাকার সাধারণ জনগণ ও ভোটারদের জ্ঞাতার্থে অবহিত করতে পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার এবং প্রত্যেক প্রার্থীর এজেন্ট নিয়োগ থাকবে। যাদের কাছ থেকে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেয়ার নিয়ম কানুন জেনে নিতে পারবেন। এই কথাকে ভিন্নভাবে প্রচার করে উল্লেখিত পুলিশ হামলা ও দূর্গা প্রতিমা এবং মন্দির ভাংচুরের জঙ্গিগোষ্ঠী আসামিরা নিজেরাই বাঁচতে এবং বর্তমানে এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের সাথে সম্পৃক্ততার প্রেক্ষিতে জনগণ আবারো আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে সেটা বুঝতে পেরে, আমার বক্তব্য এডিট করে অপপ্রচার করে আমার এবং বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। আপনারা ভিডিওটি লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন প্রচার হওয়া ভিডিও আমার কথা ও অঙ্গভঙ্গির সাথে কোন মিল নাই। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাই প্রকৃত ঘটনাটি জেনে সত্যটি সবার সামনে তুলে ধরার জন্য এবং সেই সাথে সাধারণ জনগণকে এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা হোসাইন, নিরোধ বরণ চৌধুরী, মো. ছৈয়দ নুর, মো. ফোজাইল, মো. ফারুক চৌধুরী ও অধ্যাপক বাবুল কান্তি দে বাবলা প্রমুখ।