মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : দেশের চলমান উন্নয়নের ধারাকে যাতে কেউ ব্যাহত করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের আরও অন্তত পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার প্রয়োজন রয়েছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরও ৫টি বছর সরকারে থাকা আমাদের একান্তভাবে প্রয়োজন। তখন বাংলাদেশে হতদরিদ্র বলে কিছু থাকবে না। প্রত্যেকটি মানুষের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা- যেটুকু বাকী আছে সেটাও আমরা করতে সক্ষম হব।শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালি জাতির কাছে, বাংলাদেশের জনগণের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। এই কারণেই যাতে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা কেউ যেন কেড়ে নিতে না পারে।
তিনি বলেন, আজকে দারিদ্রের হার বাংলাদেশে ২১ ভাগে নেমে এসেছে। ইনশাল্লাহ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবার যদি আগামী ৫ বছর আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারি তাহলে এই দারিদ্রের হার আমরা অন্তত আরও ৫ থেকে ৬ ভাগ কমিয়ে আনতে সক্ষম হব।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ যখন ভালো আছে, দেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই পরিস্থিতিকে তারা স্বেচ্ছাচারিতা বলছে। দেশের ভালো চাওয়া এবং দেশের মানুষের ভালো থাকা যদি স্বেচ্ছাচারিতা হয় তাহলে তারা কী চান? তারা যে পরিবর্তনের কথা বলছেন তাহলে তারা ক্ষমতায় গেলে আবার লুটপাট, আবার অগ্নিসংযোগ, আবার মানিলন্ডারিং, আবার দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান, আবার ৫০০ জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ, আবার গ্রেনেড হামলা, আবার বাংলা ভাই সৃষ্টি, আবার এতিমের টাকা আত্মসাৎ করা যায় সেই পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনবেন?
বঙ্গবন্ধু কন্যা এ সময় ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী দারিদ্র মুক্ত দেশে সকলে মিলে উদযাপনের আশাবাদ ব্যক্ত করে কারো নাম উচ্চারণ না করে বলেন, ‘সত্য, আদর্শ ও নীতি বিবর্জিতরা দেশের জন্য কখনও মঙ্গল বয়ে আসতে পারে না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমি একটা কথাই বলবো যে নৌকা মার্কায় ভোট চাই, সেবা করে দেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা করে গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন। আমার বিশ্বাস আছে, বাংলাদেশের জনগণ আমাদের ভোট দেবে সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে।