বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির ব্যবস্থা ও কৌশল উদ্ভাবন??!!
ভয় নয় করোনাকে ঃ ভয় করুন আল্লাহকে।
হে মানব জাতি ! বিশ্বময় এ করোনা জীবাণু অতীত ইতিহাসের যেকোনো সময়ের মত একটি স্বাভাবিক গতানুগতিক ও সাময়িক কোনো মহামারী নয়। এটা মহাবিশ্ব স্রষ্টা আল্লাহর পক্ষ হতে পৃথিবীর মানুষকে সাবধান-সচেতন ও অতীত জাতি সমূহ থেকে শিক্ষা গ্রহণ পূর্বক সত্যিকার ইমান ও ইসলামে ফিরিয়ে আনার লক্ষে আজাবের এক সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত ; এবং তাঁর এই পৃথিবী নিয়ে পূর্বেই গৃহীত মহাপরিকল্পনার একটি ঘটনা মাত্র। ভবিষ্যতে আরো আধুনিক ও ভয়ানক আযাব গজব একের পর এক আসতেই থাকবে। অচিরেই বিশ্বের মানুষ তা জানতে ও দেখতে পারবে। জানুন আল্লাহর বাণি : ১৬:৮৮।৩০:৪১।৬:৪৪।
আল্লাহ সুবহানাহু প্রদত্ত জ্ঞান ও সর্বশেষ ঐশী মহাগ্রন্থের দিকনির্দেশনা থেকে নিশ্চিতই বলা যায় যে,এ করোনা মহাশক্তিধর অদৃশ্য আল্লাহর এক ক্ষুদ্র অদৃশ্য বিষয়ত্ত শক্তি, একটি সুক্ষ্ম সৃষ্টজীব(মাখলুক)এ বিশ্ববাসীর জন্য এক মহাবার্তা ও তাঁর একটি দুরন্ত বাহিনী যা চীনের উহানের আকাশে প্রথমে প্রকাশিত হয়েছিল। দেখুন আল্লাহর ঘোষণাসমূহ : ৬:৫৯,১১:১২৩।৬:১০২,৫:১৭।৬:৬৭, ৫৪:৩।৪৮:৭,৭৪:৩১।এ করোনার কোন ক্ষমতা ও সাধ্য নেই যে সে মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারে ও মৃত্যু দিতে পারে – এ সবই আল্লাহর একক ক্ষমতায় হয়। মহাবিশ্বের কোন কিছুরই এসব ক্ষমতা নেই।দেখুন ঃ ৩ঃ১৪৫।৬৩:১১,৬:১৭।১০:৪৯। এ পৃথিবীর মানবজাতিকে একটি বিষয় ভালভাবে মনে রাখতে হবে-বিশ্বের মানুষের উপর যত বালা মুছিবত বা বিপদাপদই আসে,তা তাদের কর্মফল ও পরীক্ষা স্বরূপ আসে- ৩০:৪১।৪২:৩০,৭:১৬৮।২১:৩৫. এতে মহাস্রষ্টা আল্লাহর লক্ষ্য হচ্ছে এ পৃথিবীর জঘন্য কাফির মুশরিকদের এবং মুসলিম জাতি ও ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদেরকে শাস্তির মধ্য দিয়ে শিক্ষা ও উপদেশ প্রদান আর উদ্দেশ্য হলো : মজলুম শোষিত বঞ্চিত ও অসহায় বানিয়ে রাখা ভালো মানুষগুলোকে রক্ষা করা এবং আপন স্রষ্টা ও পালনকর্তাকে ভুলে থাকা,বিভ্রান্ত হওয়া, বিপথে চলে যাওয়া ও সীমালঙ্ঘনে লিপ্ত হওয়া কথিত ও নামমাত্র মুসলিম ও মানব সদস্যদেরকে তাঁর সান্নিধ্যে ফিরিয়ে নিয়ে আসা-৩২:২১।৬৪:১১।
উল্লেখ যে, এ পৃথিবীতে ও মানুষের ওপর যে ঘটনাই ঘটুক বা যে বিপদই আসুকনা কেন তা সংঘটিত হওয়ার পূর্বেই মহাবিশ্ব স্রষ্টা আল্লাহর কাছে সুরক্ষিত মহাগ্রন্থে লিপিবদ্ধ থাকে,৫৭:২২।২৭:৭৫
আমরা এখন বিশ্বব্যাপী মহাতংকের করোনা ভাইরাস থেকে উদ্ধার ও মুক্তির ৫টি বিষয় বা কৌশল বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরছি :
১. নিজের জীবনের সকল শির্ক (স্রষ্টার অংশীদার স্থাপন) কুফর (স্রষ্টার জীবন ব্যবস্থা অমান্য করা)মুনাফেকি (কপটচারীতা) এবং সমস্ত পাপের জন্য আপন স্রষ্টা ও প্রতিপালক আল্লাহর দরবারে বার বার ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে -৪:১১০।৮:৩৩।১১:৩।
২.পার্থিব জীবনের সব ধরনের অন্যায় অপরাধ ও সীমালঙ্ঘনের কারণে নিজের মালিক মহাসার্বভৌম অধিপতি আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত, অনুশোচিত হয়ে ফিরে আসতে হবে তথা বেশি বেশি তাওবাহ মরতে হবে -৭:১৫৩।৩:৮৯।২০:৮২
৩.এ পৃথিবীর কথিত মুসলিম ও অমুসলিম সব মানুষকে আবার নতুনভাবে জেনে বুঝে ঈমান বা বিশ্বাসের ঘোষণা দিতে হবে-২:১৭৭।৩:৬৪।৪:১৩৬।৫:৬৯।
৪.এ৷ বিশ্বের প্রত্যেক মানুষকে এখন নিজের মন ও আত্নার চিকিৎসা তথা শুদ্ধির ব্যবস্থা করতে হবে এবং সকলকে উত্তম কর্ম সম্পাদন ও প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে হবে -৩:৮৯।২:১৬০।১১:১১৭
৫.এ পৃথিবীর মানুষ এখন আর নিজের বৈধ ও অবৈধ কোন অর্থ সম্পদই অলস জমা ও গণনার জন্য সঞ্চিত করে রাখতে পারবেনা মানবতার জন্য দান ও ব্যয় করতে হবে -১০২:১,৩।১০:২,৩।২:২১৯,২৭৪।৩: ৯২।
এ বিষয়ে রাসুল (সা:) এর দুটি হাদীস খুবই গুরুত্বপূর্ণ :
১.আছ-ছাদাকাতু তারাদদুল বালা অর্থাৎ দান ছাদাকার কারণে এ পৃথিবী থেকে আল্লাহর বালা মুছিবত দূর হয়ে যায়।
২.আছ ছাদাকাতু তুদফি গাজাবার রাব্বি অর্থাৎ দান ছাদাকার ফলে এ পৃথিবীতে আপতিত আল্লাহর আযাব গজব দফা বা নি:শেষ হয়ে যায়।
বলা বাহুল্য যে করোনা ভাইরাস মহামহিম আল্লাহর মহাপরিকল্পনার অংশ বিশেষ একটি সুচনা আযাব মাত্র। তা বিশ্বের মানুষ শুধু লকডাউন, সামাজিক দুরত্ব, মাস্ক,গ্লাভস ও ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেই সমাধান করে ফেলবে তা কিন্তু সম্ভব নয়। কেননা এগুলো আল্লাহর কোন আযাব গজবের মূল সমাধান হতে পারেনা। সামাজিক ব্যবস্থা ও স্বান্তনা মাত্র।কারণ এই করোনা ভাইরাস পৃথিবীর প্রতি ইঞ্চি জায়গায় বিরাজ করছে যাকে সংক্রমিত করার ফাইসালা আছে আল্লাহর অনুমতিতে শুধু তাকেই ধরবে। অতএব ; এর মূল ও স্থায়ী সমাধান হলো :সৃষ্টির সকল মানুষ ও জ্বিন সদস্যকে এখন তাদের স্বীয় স্রষ্টা ও পালনকর্তার কাছে ফিরে আসতেই আসতেই হবে। পূর্ণ ও সুদৃঢ় বিশ্বাসী হয়ে আল্লাহ প্রদত্ত প্রাকৃতিক ও বিজ্ঞানময় জীবন পদ্ধতি মোতাবেক পার্থিব জীবন পরিচালনা করতে হবে -তবেই এ করোনা ভাইরাস আগত সমস্ত আযাব গজব হতে এ পৃথিবীর মানুষ মুক্তি ও উদ্ধার লাভ করবে।
সবশেষে আমি মহাদয়াময় আল্লাহর পক্ষ হতে একটি সুস্পষ্ট ঘোষণা ও নিশ্চিত চ্যালেঞ্জ দিতে চাই! এ বিশ্বের যে জাতি সরকার ও রাষ্ট্র এই মুহূর্তে জাতীয়ভাবে মহাসার্বভৌম আল্লাহর একক সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করবে, তাঁকে ভয় করে চলার এবং তাঁর দাসত্ব মেনে নেয়ার স্বীকৃতি দিবে আর স্বদেশ ও এ পৃথিবীর শোষিত বঞ্চিত দুস্থ ও অসহায় মানুষগুলোকে প্রতিষ্টার জন্য অর্থ সম্পদ দান ও ব্যয় করবে তাদের দেশ হতে এ মহাসংকটের করোনা ভাইরাস সর্বোচ্চ একদিনের মধ্যেই বিদায় নেবে – বিইযনিল্লাহ।
আমরা প্রার্থনা করছি যে মহামহিম রাহমান আল্লাহ এই মাজলুম জাতির বাংলাদেশ থেকে যেন বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস হতে মুক্তির সুচনা করেন। আর প্রত্যাশা করছি যে,হে অনন্ত করুণাময় আপনি পবিত্র রমজানের রহমতের মাসেই এই দেশ ও জাতিকে মুক্ত ও উদ্ধার করবেন।
ঐশি বিজ্ঞান ও সত্য দর্শন প্রচারক, আল্লাহর প্রতিনিধি ও অনুগত বান্দা আলক্বাযী মুহাম্মাদ (মুঈনুদ্দীন মীলাদ) গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেল নং – 01872700906