ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
–গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা এলাকায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি শ্রী রুপেন দাশ’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব । চন্দনাইশে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু ইষ্টার্ণ হাউজিংয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় সাংবাদিকদের উপর হামলা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কোরআন শরিফ অবমাননা করায় মানববন্ধন রাঙ্গুনিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনার চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দিঘলিয়া উপজেলার প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিলেন। চট্টগ্রামে সাতকানিয়ায় গভীর রাতে কৃষি জমির মাটি কাটার দায়ে দুইজনকে কারাদণ্ড … নড়াইলে মসজিদ ইমামের স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, ভাড়াটিয়া পলাতক চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছেন: প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা প্রচণ্ড দাবদাহে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের স্বস্তির উদ্যোগ।

আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যত্রতত্র চলছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি

তপছিল হাছান: চাঁদপুরের মতলবে আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে রড, সিমেন্ট, কীটনাশক, ঔষধের ফার্মেসী, মুদি- এমন কি পান সিগারেটের দোকানেও প্রকাশ্যে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। কোনো নিয়মনীতি ছাড়াই সারি সারি এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের পশরা সাজিয়ে বিক্রি করছেন তারা। মাঠ পর্যায়ে এসব দোকানির ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স তো দূরের কথা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রও তাদের নেই। বিস্ফোরক অধিদপ্তর সূত্রে জানায়, বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স ছাড়া কোন দোকানে দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা যাবে না। বিস্ফোরক আইন ১৮৮৪-এর ‘দ্য এলপি গ্যাস রুলস ২০০৪’-এর ৬৯ ধারার ২ বিধিতে ‘লাইসেন্স ব্যতীত কোন ক্ষেত্রে এলপিজি মজুদ করা যাবে’ তা উল্লেখ্য আছে। বিধি অনুযায়ী, ‘১০ (দশটি) গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার মজুদকরণে লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই’। অর্থাৎ ১০টির বেশি গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার মজুদের ক্ষেত্রে লাইসেন্স নিতে হবে। একই বিধির ৭১ নং ধারায় বলা আছে, আগুন নেভানোর জন্য স্থাপনা বা মজুদাগারে যথেষ্ট পরিমাণে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম মজুদ রাখিতে হইবে।’ এদিকে সিলিন্ডার মজুদ করার ক্ষেত্রে অধিকতর নিরাপত্তার জন্য অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক হলেও তা মানছেন না কেউ। এছাড়া এলপি সিলিন্ডার ব্যবসায়ী ও ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইনগত বাধ্যবাধকতার বিষয়ে কোনো ধারণা নেই। এলপি গ্যাস সিলিন্ডারে বিভিন্ন কোম্পানির ডিলাররা নেপথ্যে সাহস জোগাচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের। তারা প্রতিনিয়ত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ট্রাকে করে সিলিন্ডার গ্যাস মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সরবরাহ করছেন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা জেনেও তারা সরকার অনুমোদিত লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানির ডিলারদের কথায় প্ররোচিত হয়ে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীরা আইন অনুসরণ থেকে দূরে থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৫ থেকে ২০ টি গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ রেখে ব্যবসা করছে। এসব ব্যবসায়ীর মধ্যে বেশ কিছু ব্যবসায়ী লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেই তা হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় না থেকে দোকানের সামনে সারি সারি সিলিন্ডার রেখে বিক্রি করছেন। এই ধরনের দাহ্য পদার্থ যে কোনো সময় বিস্ফোরণের আশঙ্কা রয়েছে। সরজমিনে দেখা যায়, মতলবের দুই উপজেলার প্রতিটি হাট বাজার, পাড়া- মহল্লায় এমন কোন স্থান বাদ নেই যেখানে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি না হচ্ছে। মানুষের হাতের নাগালে এই এলপি গ্যাস থাকলেও যে সকল দোকানে এই সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে তাদের নেই কোন অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। এ বিষয়ে মতলব কলাদী এলাকার শিক্ষক আক্তার হোসেন বলেন, এলপি গ্যাস মানুষের হাতের নাগালে রয়েছে, এটি ভালো। কিন্তু যারা বিক্রি করেন তাদের ও আশপাশের জানমালের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখার অত্যন্ত জরুরী। মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য গোলাম নবী বলেন, ইদানিং অনেক সিএনজি চালিত আটোরিক্সায় এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার হচ্ছে। যা যাত্রী ও চালকের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের তদারকি ও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী অফিসার মো.শাহিদুল ইসলাম বলেন, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছাড়া এলপি গ্যাস বিক্ররকারীদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। ক্যাপশন: মতলবের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় চলছে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছাড়া এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

–গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা এলাকায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি শ্রী রুপেন দাশ’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ।

আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যত্রতত্র চলছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি

আপডেট টাইম ০২:২৫:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুন ২০২০

তপছিল হাছান: চাঁদপুরের মতলবে আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে রড, সিমেন্ট, কীটনাশক, ঔষধের ফার্মেসী, মুদি- এমন কি পান সিগারেটের দোকানেও প্রকাশ্যে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। কোনো নিয়মনীতি ছাড়াই সারি সারি এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের পশরা সাজিয়ে বিক্রি করছেন তারা। মাঠ পর্যায়ে এসব দোকানির ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স তো দূরের কথা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রও তাদের নেই। বিস্ফোরক অধিদপ্তর সূত্রে জানায়, বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স ছাড়া কোন দোকানে দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা যাবে না। বিস্ফোরক আইন ১৮৮৪-এর ‘দ্য এলপি গ্যাস রুলস ২০০৪’-এর ৬৯ ধারার ২ বিধিতে ‘লাইসেন্স ব্যতীত কোন ক্ষেত্রে এলপিজি মজুদ করা যাবে’ তা উল্লেখ্য আছে। বিধি অনুযায়ী, ‘১০ (দশটি) গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার মজুদকরণে লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই’। অর্থাৎ ১০টির বেশি গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার মজুদের ক্ষেত্রে লাইসেন্স নিতে হবে। একই বিধির ৭১ নং ধারায় বলা আছে, আগুন নেভানোর জন্য স্থাপনা বা মজুদাগারে যথেষ্ট পরিমাণে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম মজুদ রাখিতে হইবে।’ এদিকে সিলিন্ডার মজুদ করার ক্ষেত্রে অধিকতর নিরাপত্তার জন্য অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক হলেও তা মানছেন না কেউ। এছাড়া এলপি সিলিন্ডার ব্যবসায়ী ও ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইনগত বাধ্যবাধকতার বিষয়ে কোনো ধারণা নেই। এলপি গ্যাস সিলিন্ডারে বিভিন্ন কোম্পানির ডিলাররা নেপথ্যে সাহস জোগাচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের। তারা প্রতিনিয়ত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ট্রাকে করে সিলিন্ডার গ্যাস মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সরবরাহ করছেন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা জেনেও তারা সরকার অনুমোদিত লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানির ডিলারদের কথায় প্ররোচিত হয়ে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীরা আইন অনুসরণ থেকে দূরে থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৫ থেকে ২০ টি গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ রেখে ব্যবসা করছে। এসব ব্যবসায়ীর মধ্যে বেশ কিছু ব্যবসায়ী লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেই তা হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় না থেকে দোকানের সামনে সারি সারি সিলিন্ডার রেখে বিক্রি করছেন। এই ধরনের দাহ্য পদার্থ যে কোনো সময় বিস্ফোরণের আশঙ্কা রয়েছে। সরজমিনে দেখা যায়, মতলবের দুই উপজেলার প্রতিটি হাট বাজার, পাড়া- মহল্লায় এমন কোন স্থান বাদ নেই যেখানে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি না হচ্ছে। মানুষের হাতের নাগালে এই এলপি গ্যাস থাকলেও যে সকল দোকানে এই সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে তাদের নেই কোন অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। এ বিষয়ে মতলব কলাদী এলাকার শিক্ষক আক্তার হোসেন বলেন, এলপি গ্যাস মানুষের হাতের নাগালে রয়েছে, এটি ভালো। কিন্তু যারা বিক্রি করেন তাদের ও আশপাশের জানমালের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখার অত্যন্ত জরুরী। মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য গোলাম নবী বলেন, ইদানিং অনেক সিএনজি চালিত আটোরিক্সায় এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার হচ্ছে। যা যাত্রী ও চালকের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের তদারকি ও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী অফিসার মো.শাহিদুল ইসলাম বলেন, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছাড়া এলপি গ্যাস বিক্ররকারীদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। ক্যাপশন: মতলবের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় চলছে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছাড়া এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি।