আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে লক্ষ্মীপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ,
আমজাদ হোসেন, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর রায়পুর সমিতির হাটের পশ্চিম পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো),র জমি দখল করে চলছে অবৈধ দোকান ঘর নির্মাণের মহোৎসব । এমনি অভিযোগের ভিত্তিতে গত- (৩১ মে) সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, রায়পুর উপজেলার ৮নং দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গাজী বাড়ির মৃত হাসান আলী গাজীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন সমিতির হাটের পশ্চিম পাশে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে নামে মাত্র দোকান করার জন্য একটি আবেদন করে, কিন্তু, সে আবেদনপত্রের কোন উত্তরও আসেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সীল সাক্ষর নকল করে অনুমতিপত্র পেয়েছেন বলে তিনি গণমাধ্যম সহ স্থানীয়দেরকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাউকে পরোয়া না করে প্রভাব খাটিয়ে গাঁয়ের জোরে সরকারি সম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখল করছে প্রভাবশালী জাহাঙ্গীর আলম । নাম না বলা স্থানীয় কয়েকজন লোক গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, জাহাঙ্গীর খুব খারাপ ও বাজে ধরনের লোক, সে এ ভাবে প্রভাব বিস্তার করে সমিতির হাট, এবং, মোল্লা হাটেও সড়কের পাশে সরকারি জমি দখল করে স্থায়ী দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিচ্ছেন । সরকারি সম্পত্তি এ ভাবে লুটেপুটে খাচ্ছে, আর প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছে না । তার ভয়ে এলাকার কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাচ্ছেনা! সরকারি সম্পত্তিতে স্থায়ী দোকানপাট নির্মাণ করার বিষয়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর হোসেন এর কাছে জানতে গেলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আপনি কে? আপনি সাংবাদিক দে কি হয়েছে? সাংবাদিকের এখানে কাজ কি? আমি আপনার কাছে কোন কৈফিয়ত দিতে রাজি না, আমি চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে অনুমতি এনেছি, আপনি পারলে কিছু করেন । সব জায়গায় টাকা পয়সা দিয়ে দোকান করেছি, দোকানের কাজতো শেষ! এ বলে তিনি তাড়াহুড়ো করে দোকানে তালা লাগিয়ে ঘটনার স্থল ত্যাগ করেন । এ বিষয়ে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রেফাত জামিল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি সম্পত্তি দখল করে স্থায়ী ইমারত নির্মাণ করছে স্থানীয় জাহাঙ্গীর হোসেন নামের একলোক, বিষয়টি আমি শুনেছি, এবং, ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে সে প্রভাব বিস্তার করে এ দোকানপাট গুলো নির্মাণ করছে বলেও আমি গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পারি, আবেদনপত্র আর অনুমতিপত্র এক নই! অপরাধী যেই হোক, আইন সবার জন্য সমান, সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এবং, অভিযান পরিচালনা করে স্থায়ী ইমারত ভেঙ্গে দেওয়া হবে ।