ঢাকা ০১:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রামগড়ে পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্র জামে মসজিদ নিয়ে নানা বির্তক দ্রুত সমাধান চায় সাধারণ মুসল্লী ও এলাকাবাসী বগুড়ার শিবগঞ্জে ট্রাকচাপায় দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র নিহত রানীশংকৈল মডেল স্কুলের আলোচিত ধীরেন্দ্রনাথ সহ ৪ শিক্ষক বদলি । কুষ্টিয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তার পুরুষাঙ্গ কর্তন মামলায় স্ত্রীর কারাদন্ড টাঙ্গাইলে বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা, যুক্ত হচ্ছে মাদক সেবনের সাথেও জবি ছাত্রী অবন্তিকার আত্মহত্যা: সহপাঠি ও প্রক্টরের ২জনের রিমান্ড মঞ্জুর। “পাঁচ দফা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন” যুবলীগ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে.. দিদারুল ইসলাম চৌধুরী দুমকিতে ১২ ঘন্টার মধ্যে র‍্যাবের ফাঁদে পলায়নরত ধর্ষক আটক। সন্তানের চাকরি স্থায়ীকরন চেয়ে লক্ষ্মীপুরে পঙ্গু বাবার আকুতি

অবিভাবক শূণ্যতায় অস্তিত্ব বিলিনের পথে ডাকাতিয়া

মোঃ আল আমিন হোসেন

ডাকাতিয়া একটি প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী নদী। বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা ছাড়াও অসংখ্য লোক কাহিনীতে পাওয়া যায় ডাকাতিয়ার নাম। বিস্তর জনশ্রুতিও রয়েছে এ নদীকে ঘিরে। ডাকাতিয়া উৎসস্থল ভারতের পার্বত্য ত্রিপুরার রঘুনন্দন পাহাড়ে। কুমিল্লা জেলার সোনাইমুড়ি সীমান্ত দিয়ে এ নদী প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। ডাকাতিয়া নদী বাংলাদেশ-ভারতে একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি বাংলাদেশর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলার একটি নদী। এর দৈর্ঘ্য ১৪১ কিলোমিটার, গড় প্রস্ত ৬৭ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। ডাকাতিয়া নদী মেঘনার একটি উপনদী। নদীটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে কুমিল্লা জেলার বাগসারা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং পরবর্তীতে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এরপর কুমিল্লা লাকসাম ও চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা অতিক্রম করে চাঁদপুরের কাছে মেঘনা মিলিত হয়েছে। নদীটি বর্ষাকালে ভারতের দিক থেকে বিপুলসখ্যক পাহাড়ি প্রবাহকে গ্রহণ করে। কিন্তু এসব উৎস থেকে আসা পানিপ্রবাহের পরিমাণ খুবই সীমিত এবং বছরের ৯ মাসই এই নদীটি মেঘনার জোয়ারের পানি গ্রহণ করে থাকে।

১৯৬০ সালে চাঁদপুরকে নদীবন্দর ঘোষণা করা হলে চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ-কে ১৩০ একর জায়গা দেয়া হয়, পরে ১৯৬৩ সালে চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ, হাইমচর, লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর সদর, রামগঞ্জ এবং রায়পুরের কিয়দংশ নিয়ে প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে শুরু হওয়া ৫৭ হাজার হেক্টর জমিকে বন্যামুক্ত রেখে বছরে একাধিক ফসল ও মাছ উৎপাদনের জন্য চাঁদপুর সেচ প্রকল্প নামে ওই সময়ে ৫৪.৩০ কোটি ব্যয়ে প্রকল্পটি ১৯৭৮ সালে সম্পন্ন হয়।

সেই শুরু থেকে শুধু দুর্দিন’ই পার করতে হয়েছে ডাকাতিয়াকে। এই দীর্ঘ সময়ে অবৈধ দখল আর ভরাটের ফলে বর্তমানে নদীটির কতটুকু জায়গা রয়েছে তাও নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না খোদ জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ’র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ২০০৪ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে ডাকাতিয়া নদীর দুই পাড়ের খাস জমির নবায়ন কার্যক্রম। তারপরও থেমে থেমে নদী সংলগ্ন শহর এলাকার বিভিন্ন স্থান দিয়ে দখল প্রক্রিয়ায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।

এককালের খরস্রোতা ডাকাতিয়া নদী এখন মৃতপ্রায়। নদীতে নেই জোয়ার-ভাটার উত্তাল ঢেউ। অবৈধ দখল আর দূষণে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে ডাকাতিয়া। চলতি শতকের শুরুর দশকেই ডাকাতিয়া বিপন্ন নদীতে পরিণত হয়। নদীর তলদেশে বড় বড় বালুচর, অবৈধভাবে তীরভূমি ভরাট ইত্যাদি কারণে কমছে পানিপ্রবাহ।

ডাকাতিয়ার সবচেয়ে বেশী ভয়ানক পরিনতি হয়েছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার প্রধান যাতায়াত ব্যবস্থা ছিল এ নদী। ব্যবসায়ীদের একমাত্র ভরসা ছিল ডাকাতিয়া। কিন্তু একটু একটু করে নষ্ট করা হয়েছে এর নাব্য। এর ভূমি দখল হয়েগিয়ে অনেকাংশ। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ডাকাতিয়া হারিয়ে ফেলছে তার অতীত ঐহিত্য। নদীটির বেশির ভাগ জায়গা দখল করে আছে কচুরিপানা।
দীর্ঘ বছর ধরে কচুরিপানার জ্যাম পড়েই আছে। এতে নদীর পানি বিনষ্ট হয়ে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে মারাত্বক ভাবে। কোথাও কোথাও কচুরিপানার জট এতটাই চাপা যে, এর উপর দিয়ে অনায়েসে চলাফেরা করার সম্ভব বলেও ধারণা করা যাচ্ছে। তার উপর জন্মেছে পরগাছা। কারণ হিসেবে উল্লেখ করলে একটি গ্রহণযোগ্য কারণ হবে ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে ফরিদগঞ্জ চাঁদপুর মহাসড়কে ডাকাতিয়ার উপরে ব্রীজ সংলগ্ন রাস্তা ও নদীরকূল ঘেঁষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে করা হয়েছে পার্ক, রাখা হয়েছে ব্যাবসায়ীক মনোরঞ্জন যান্ত্রিক সরঞ্জামাদি, এর অংশ হিসেবে ডাকাতিয়ার উপরে ঘন্টায় চালানো হচ্ছে ছোট ছোট যান্ত্রীক নৌযান। কিন্তু নদীতে কচুরিপানা যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে ভেবে ব্রীজের নিচে এবং থানা সংলগ্ন ডাকবাংলো অংশে নদীর এপাড় ওপাড় করে মোটা রশি দিয়ে কচুরিপানার স্বাভাবিক চলাচল পুরোপুরি’ই বন্ধ করা হয়েছে।

সীমানা জরিপ করে ডাকাতিয়া নদী দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান এলাকাবাসী। থেমে থেমে পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে শান্তিপ্রিয় সচেতন এক শ্রেণী। ( ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে সে সময়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ এম মাহফুজুর রহমান উপজেলার গোয়াল ভাওর বাজার ও চররাঘররায় এলাকায় ডাকাতিয়া নদী রক্ষায় নদীর ওপর নির্মাণকৃত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে গোয়াল ভাওর বাজারের বিদ্যালয় সড়কে নদীর ওপর নির্মিত ১৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ ও চররাঘররায় সিংহের স্কুল এলাকায় একটি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়।
(২০১৯ সালের ১০ জুন সোমবার ) দুপুরে উপজেলা সদরে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুন্নবী নোমান ও সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে “স্বেচ্ছায় রক্তদান কারী সংগঠন অর্নিবাণের” আয়োজনে নদীটিকে দখল ও দূষণ মুক্ত করে অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনার দাবিতে একটি মানববন্ধন হয়। পরে ( ২০১৯ এর ২৫ জুন মঙ্গলবার ) দুপুরে উল্লেখিত ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এছাড়াও গত (২০২৩ এর ২৩ জানুয়ারী সোমবার) ১০নং গোবিন্ধপুর দক্ষিন ইউনিয়নের পুরান রামপুর বাজারের পানের হাট সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদীতে স্থানীয় আব্বাছ আলী কর্তৃক অবৈধভাবে দখল করে বিলাস বহুল মার্কেট নির্মানে জেলা প্রশাসক, নির্বাহী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অফিসার ইনর্চাজ বরাবর আবেদন করেন উপজেলার কিছু সচেতন নাগরিক।

সময়ের পরিক্রমায় ডাকাতিয়া নদী নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে বর্তমানে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় পড়েছে। বর্তমানে নদীটি সেচ প্রকল্পের অংশে পড়ায় পানি সীমিতকরণের আওতায় পড়ে এমনিতেই ক্ষীণ হয়ে গেছে। অন্যদিকে কিছু অপরিণামদর্শী মানুষের কাজের ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ডাকাতিয়া। নদীর তীর থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন, তীরবর্তী বিভিন্ন স্থান দখল ও দূষণের ফলে নদীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। ফরিদগঞ্জ পৌর সদর বাজারের সকল বর্জ্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্মশান ঘাট ঘেঁষে নদীতে ফেলা হচ্ছে,
ফরিদগঞ্জের আরেক ঐতিহ্যের নাম ডাকবাংলো, কিন্তু আশপাশের আবর্জনা স্তূপের মাধ্যমে ডাকবাংলোর সৌন্দর্য বিনষ্টের পাশাপাশি বর্ধিত ময়লা দ্বারা নদী ভরাটের কাজও সম্পূর্ণ হচ্ছে। ইতিপূর্বে কেরোয়া ব্রীজের নিচে এবং পাশেই ফেলা হতো এ সকল বর্জ্য কিন্তু সচেতন গণমাধ্যমকর্মীদের পরিবর্তনমুখি লিখার কারনে তা স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু জবেহ করা গরুর রক্ত ও ময়লার দূষিত দুর্গন্ধ হাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় পথচারীদের চলাফেরায় তৈরি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা। এ সকল ব্যাপার গুলোতেই পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করছে। এ অবস্থায় নদী যেমন দূষিত হচ্ছে তেমনি দূষিত হচ্ছে পরিবেশও। উল্লেখ্য এলাকাগুলোতে সবসময়’ই বাতাস থাকে দুর্গন্ধযুক্ত। পথচারীদের নাকে কাপড় দিয়ে পথ চলতে হয়।

এর ফলে বস্তুত প্রমত্তা ডাকাতিয়া তার গতি ও স্রোত হারিয়ে ফেলে। সময়ের সাথে সাথে ফরিদগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাকাতিয়া দখল, নব্যতা সঙ্কট এবং কচুরিপানা জটের কারণে নদীটি মৃতপ্রায় অবস্থায় পৌঁছেছে। এর সাথে গত এক দশক ধরে নদী থেকে ইচ্ছে মতো অবৈধ ড্রেজিং ও বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের মাধ্যমে কিছু কিছু লোক লাখোপতি হয়ে গেলেও ডাকাতিয়া নদী ক্রমশঃ খালে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে কেরোয়া ও চরবসন্ত অংশে ডাকাতিয়ার উপর বাধ ফেলে মাছের চাষ করে যাচ্ছে গত ৪ দশকেরও অধিক সময় ধরে। যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ কিন্তু প্রশাসনকে সবসময়’ই এ ব্যপারে দর্শকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে।

শুস্ক মৌসুমে এটি প্রায় পানি শূন্য ও কচুরিপানার কারণে দুর্গন্ধ ও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। নদীর নাব্যতা কমে যাওয়া এবং এর সাথে সংযুক্ত খাল সমূহে সেচ প্রকল্পের জন্য পর্যাপ্ত পানি যেতে না পারায় প্রতি বছরই উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সেচের পানির জন্য কৃষকরা ফসল ফলাতে নিদারুণ কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।

চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধ তৈরির পর বছরে স্থান ভেদে তিনটি ফসল কৃষকরা ঘরে তোলার পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে তুলেছে মৎস্য খামার। গত ৪ দশকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন হওয়ার সাথে মাছ উৎপাদন করে আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিঃস্ব থেকে স্বাবলম্বী হয়েছে অনেক মৎস্যজীবী। বর্তমানে ফরিদগঞ্জে কোটি কোটি টাকার মাছের চাষ হচ্ছে।

স্থানীয়দের দাবি, ডাকাতিয়া আমাদের সকলের তাই এর সুরক্ষার কাজ সবাই মলেই করতে হবে। তবে বর্তমানে ডাকাতিয়ার যে পরিনতি হয়েছে তা জরুরি ভিত্তিতে এর পুনরুদ্ধার কাজ শুরু করা হোক। অন্যথায় এক পর্যায়ে নিশ্চিহ্ন হবে ফরিদগঞ্জের সেই দৃষ্টিনন্দন ডাকাতিয়া নদী।

চাঁদপুর ৪ ফরিদগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমান (এমপি) জাতীয় সংসদে ডাকাতিয়ার পূর্ব সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে জোরদার বক্তব্য রাখার মাধ্যমে আশার আলো দেখিয়ে যাচ্ছেন ফরিদগঞ্জ বাসীকে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তসলিমুন নেছা জানান, ডাকাতিয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আমরা কাজগুলো গুছিয়ে আনতে চেষ্টা করছি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অনতিবিলম্বে এর পুনরুদ্ধার কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।

উপজেলা মৎস্যসম্পদ কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার রুমা জানান, ডাকাতিয়ার বর্তমান অবস্থা হতাশাজনক, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে ডাকাতিয়া তার মূল ধারায় ফিরে পূর্বের ন্যায় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে আমরা সর্বরকম সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রেফাত জামিল জানান,জেলা প্রশাসক সহ আমরা পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় সচিবকে অবিহিত করেছি। নদীটির সংস্কার নিয়ে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা রয়েছে, তা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চলমান, কিন্তু যে কাজটি দ্রুত করা উচিৎ তা হলো কচুরিপানা অপসারণ তার জন্য আমাদের ৭৫ লক্ষ্য টাকা প্রয়োজন।
আমরা বরাদ্দ চেয়ে পাঠিয়েছি সেটা সম্ভাব্য এক মাসের মধ্যেই আসবে বলে আশা করছি। সেটা পেলেই আমরা দ্রুত কাজ শুরু করে দেবো এবং ডাকাতিয়ার মূল শাখায় থাকা কচুরিপানা অপসারণ করবো।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রামগড়ে পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্র জামে মসজিদ নিয়ে নানা বির্তক দ্রুত সমাধান চায় সাধারণ মুসল্লী ও এলাকাবাসী

অবিভাবক শূণ্যতায় অস্তিত্ব বিলিনের পথে ডাকাতিয়া

আপডেট টাইম ০৭:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

মোঃ আল আমিন হোসেন

ডাকাতিয়া একটি প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী নদী। বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা ছাড়াও অসংখ্য লোক কাহিনীতে পাওয়া যায় ডাকাতিয়ার নাম। বিস্তর জনশ্রুতিও রয়েছে এ নদীকে ঘিরে। ডাকাতিয়া উৎসস্থল ভারতের পার্বত্য ত্রিপুরার রঘুনন্দন পাহাড়ে। কুমিল্লা জেলার সোনাইমুড়ি সীমান্ত দিয়ে এ নদী প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। ডাকাতিয়া নদী বাংলাদেশ-ভারতে একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি বাংলাদেশর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলার একটি নদী। এর দৈর্ঘ্য ১৪১ কিলোমিটার, গড় প্রস্ত ৬৭ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। ডাকাতিয়া নদী মেঘনার একটি উপনদী। নদীটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে কুমিল্লা জেলার বাগসারা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং পরবর্তীতে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এরপর কুমিল্লা লাকসাম ও চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা অতিক্রম করে চাঁদপুরের কাছে মেঘনা মিলিত হয়েছে। নদীটি বর্ষাকালে ভারতের দিক থেকে বিপুলসখ্যক পাহাড়ি প্রবাহকে গ্রহণ করে। কিন্তু এসব উৎস থেকে আসা পানিপ্রবাহের পরিমাণ খুবই সীমিত এবং বছরের ৯ মাসই এই নদীটি মেঘনার জোয়ারের পানি গ্রহণ করে থাকে।

১৯৬০ সালে চাঁদপুরকে নদীবন্দর ঘোষণা করা হলে চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ-কে ১৩০ একর জায়গা দেয়া হয়, পরে ১৯৬৩ সালে চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ, হাইমচর, লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর সদর, রামগঞ্জ এবং রায়পুরের কিয়দংশ নিয়ে প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে শুরু হওয়া ৫৭ হাজার হেক্টর জমিকে বন্যামুক্ত রেখে বছরে একাধিক ফসল ও মাছ উৎপাদনের জন্য চাঁদপুর সেচ প্রকল্প নামে ওই সময়ে ৫৪.৩০ কোটি ব্যয়ে প্রকল্পটি ১৯৭৮ সালে সম্পন্ন হয়।

সেই শুরু থেকে শুধু দুর্দিন’ই পার করতে হয়েছে ডাকাতিয়াকে। এই দীর্ঘ সময়ে অবৈধ দখল আর ভরাটের ফলে বর্তমানে নদীটির কতটুকু জায়গা রয়েছে তাও নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না খোদ জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ’র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ২০০৪ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে ডাকাতিয়া নদীর দুই পাড়ের খাস জমির নবায়ন কার্যক্রম। তারপরও থেমে থেমে নদী সংলগ্ন শহর এলাকার বিভিন্ন স্থান দিয়ে দখল প্রক্রিয়ায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।

এককালের খরস্রোতা ডাকাতিয়া নদী এখন মৃতপ্রায়। নদীতে নেই জোয়ার-ভাটার উত্তাল ঢেউ। অবৈধ দখল আর দূষণে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে ডাকাতিয়া। চলতি শতকের শুরুর দশকেই ডাকাতিয়া বিপন্ন নদীতে পরিণত হয়। নদীর তলদেশে বড় বড় বালুচর, অবৈধভাবে তীরভূমি ভরাট ইত্যাদি কারণে কমছে পানিপ্রবাহ।

ডাকাতিয়ার সবচেয়ে বেশী ভয়ানক পরিনতি হয়েছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার প্রধান যাতায়াত ব্যবস্থা ছিল এ নদী। ব্যবসায়ীদের একমাত্র ভরসা ছিল ডাকাতিয়া। কিন্তু একটু একটু করে নষ্ট করা হয়েছে এর নাব্য। এর ভূমি দখল হয়েগিয়ে অনেকাংশ। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ডাকাতিয়া হারিয়ে ফেলছে তার অতীত ঐহিত্য। নদীটির বেশির ভাগ জায়গা দখল করে আছে কচুরিপানা।
দীর্ঘ বছর ধরে কচুরিপানার জ্যাম পড়েই আছে। এতে নদীর পানি বিনষ্ট হয়ে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে মারাত্বক ভাবে। কোথাও কোথাও কচুরিপানার জট এতটাই চাপা যে, এর উপর দিয়ে অনায়েসে চলাফেরা করার সম্ভব বলেও ধারণা করা যাচ্ছে। তার উপর জন্মেছে পরগাছা। কারণ হিসেবে উল্লেখ করলে একটি গ্রহণযোগ্য কারণ হবে ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে ফরিদগঞ্জ চাঁদপুর মহাসড়কে ডাকাতিয়ার উপরে ব্রীজ সংলগ্ন রাস্তা ও নদীরকূল ঘেঁষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে করা হয়েছে পার্ক, রাখা হয়েছে ব্যাবসায়ীক মনোরঞ্জন যান্ত্রিক সরঞ্জামাদি, এর অংশ হিসেবে ডাকাতিয়ার উপরে ঘন্টায় চালানো হচ্ছে ছোট ছোট যান্ত্রীক নৌযান। কিন্তু নদীতে কচুরিপানা যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে ভেবে ব্রীজের নিচে এবং থানা সংলগ্ন ডাকবাংলো অংশে নদীর এপাড় ওপাড় করে মোটা রশি দিয়ে কচুরিপানার স্বাভাবিক চলাচল পুরোপুরি’ই বন্ধ করা হয়েছে।

সীমানা জরিপ করে ডাকাতিয়া নদী দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান এলাকাবাসী। থেমে থেমে পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে শান্তিপ্রিয় সচেতন এক শ্রেণী। ( ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে সে সময়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ এম মাহফুজুর রহমান উপজেলার গোয়াল ভাওর বাজার ও চররাঘররায় এলাকায় ডাকাতিয়া নদী রক্ষায় নদীর ওপর নির্মাণকৃত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে গোয়াল ভাওর বাজারের বিদ্যালয় সড়কে নদীর ওপর নির্মিত ১৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ ও চররাঘররায় সিংহের স্কুল এলাকায় একটি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়।
(২০১৯ সালের ১০ জুন সোমবার ) দুপুরে উপজেলা সদরে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুন্নবী নোমান ও সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে “স্বেচ্ছায় রক্তদান কারী সংগঠন অর্নিবাণের” আয়োজনে নদীটিকে দখল ও দূষণ মুক্ত করে অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনার দাবিতে একটি মানববন্ধন হয়। পরে ( ২০১৯ এর ২৫ জুন মঙ্গলবার ) দুপুরে উল্লেখিত ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এছাড়াও গত (২০২৩ এর ২৩ জানুয়ারী সোমবার) ১০নং গোবিন্ধপুর দক্ষিন ইউনিয়নের পুরান রামপুর বাজারের পানের হাট সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদীতে স্থানীয় আব্বাছ আলী কর্তৃক অবৈধভাবে দখল করে বিলাস বহুল মার্কেট নির্মানে জেলা প্রশাসক, নির্বাহী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অফিসার ইনর্চাজ বরাবর আবেদন করেন উপজেলার কিছু সচেতন নাগরিক।

সময়ের পরিক্রমায় ডাকাতিয়া নদী নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে বর্তমানে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় পড়েছে। বর্তমানে নদীটি সেচ প্রকল্পের অংশে পড়ায় পানি সীমিতকরণের আওতায় পড়ে এমনিতেই ক্ষীণ হয়ে গেছে। অন্যদিকে কিছু অপরিণামদর্শী মানুষের কাজের ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ডাকাতিয়া। নদীর তীর থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন, তীরবর্তী বিভিন্ন স্থান দখল ও দূষণের ফলে নদীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। ফরিদগঞ্জ পৌর সদর বাজারের সকল বর্জ্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্মশান ঘাট ঘেঁষে নদীতে ফেলা হচ্ছে,
ফরিদগঞ্জের আরেক ঐতিহ্যের নাম ডাকবাংলো, কিন্তু আশপাশের আবর্জনা স্তূপের মাধ্যমে ডাকবাংলোর সৌন্দর্য বিনষ্টের পাশাপাশি বর্ধিত ময়লা দ্বারা নদী ভরাটের কাজও সম্পূর্ণ হচ্ছে। ইতিপূর্বে কেরোয়া ব্রীজের নিচে এবং পাশেই ফেলা হতো এ সকল বর্জ্য কিন্তু সচেতন গণমাধ্যমকর্মীদের পরিবর্তনমুখি লিখার কারনে তা স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু জবেহ করা গরুর রক্ত ও ময়লার দূষিত দুর্গন্ধ হাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় পথচারীদের চলাফেরায় তৈরি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা। এ সকল ব্যাপার গুলোতেই পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করছে। এ অবস্থায় নদী যেমন দূষিত হচ্ছে তেমনি দূষিত হচ্ছে পরিবেশও। উল্লেখ্য এলাকাগুলোতে সবসময়’ই বাতাস থাকে দুর্গন্ধযুক্ত। পথচারীদের নাকে কাপড় দিয়ে পথ চলতে হয়।

এর ফলে বস্তুত প্রমত্তা ডাকাতিয়া তার গতি ও স্রোত হারিয়ে ফেলে। সময়ের সাথে সাথে ফরিদগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাকাতিয়া দখল, নব্যতা সঙ্কট এবং কচুরিপানা জটের কারণে নদীটি মৃতপ্রায় অবস্থায় পৌঁছেছে। এর সাথে গত এক দশক ধরে নদী থেকে ইচ্ছে মতো অবৈধ ড্রেজিং ও বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের মাধ্যমে কিছু কিছু লোক লাখোপতি হয়ে গেলেও ডাকাতিয়া নদী ক্রমশঃ খালে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে কেরোয়া ও চরবসন্ত অংশে ডাকাতিয়ার উপর বাধ ফেলে মাছের চাষ করে যাচ্ছে গত ৪ দশকেরও অধিক সময় ধরে। যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ কিন্তু প্রশাসনকে সবসময়’ই এ ব্যপারে দর্শকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে।

শুস্ক মৌসুমে এটি প্রায় পানি শূন্য ও কচুরিপানার কারণে দুর্গন্ধ ও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। নদীর নাব্যতা কমে যাওয়া এবং এর সাথে সংযুক্ত খাল সমূহে সেচ প্রকল্পের জন্য পর্যাপ্ত পানি যেতে না পারায় প্রতি বছরই উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সেচের পানির জন্য কৃষকরা ফসল ফলাতে নিদারুণ কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।

চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধ তৈরির পর বছরে স্থান ভেদে তিনটি ফসল কৃষকরা ঘরে তোলার পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে তুলেছে মৎস্য খামার। গত ৪ দশকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন হওয়ার সাথে মাছ উৎপাদন করে আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিঃস্ব থেকে স্বাবলম্বী হয়েছে অনেক মৎস্যজীবী। বর্তমানে ফরিদগঞ্জে কোটি কোটি টাকার মাছের চাষ হচ্ছে।

স্থানীয়দের দাবি, ডাকাতিয়া আমাদের সকলের তাই এর সুরক্ষার কাজ সবাই মলেই করতে হবে। তবে বর্তমানে ডাকাতিয়ার যে পরিনতি হয়েছে তা জরুরি ভিত্তিতে এর পুনরুদ্ধার কাজ শুরু করা হোক। অন্যথায় এক পর্যায়ে নিশ্চিহ্ন হবে ফরিদগঞ্জের সেই দৃষ্টিনন্দন ডাকাতিয়া নদী।

চাঁদপুর ৪ ফরিদগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমান (এমপি) জাতীয় সংসদে ডাকাতিয়ার পূর্ব সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে জোরদার বক্তব্য রাখার মাধ্যমে আশার আলো দেখিয়ে যাচ্ছেন ফরিদগঞ্জ বাসীকে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তসলিমুন নেছা জানান, ডাকাতিয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আমরা কাজগুলো গুছিয়ে আনতে চেষ্টা করছি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অনতিবিলম্বে এর পুনরুদ্ধার কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।

উপজেলা মৎস্যসম্পদ কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার রুমা জানান, ডাকাতিয়ার বর্তমান অবস্থা হতাশাজনক, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে ডাকাতিয়া তার মূল ধারায় ফিরে পূর্বের ন্যায় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে আমরা সর্বরকম সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রেফাত জামিল জানান,জেলা প্রশাসক সহ আমরা পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় সচিবকে অবিহিত করেছি। নদীটির সংস্কার নিয়ে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা রয়েছে, তা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চলমান, কিন্তু যে কাজটি দ্রুত করা উচিৎ তা হলো কচুরিপানা অপসারণ তার জন্য আমাদের ৭৫ লক্ষ্য টাকা প্রয়োজন।
আমরা বরাদ্দ চেয়ে পাঠিয়েছি সেটা সম্ভাব্য এক মাসের মধ্যেই আসবে বলে আশা করছি। সেটা পেলেই আমরা দ্রুত কাজ শুরু করে দেবো এবং ডাকাতিয়ার মূল শাখায় থাকা কচুরিপানা অপসারণ করবো।