ঢাকা ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ে তোলায় বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ় : স্পিকার

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ে তোলায় বিশ্ববাসীর সঙ্গে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডস-এর হেগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি) আয়োজিত ‘এনডিউরিং ভেল্যু অব দ্যা রোম স্ট্যাটিউট টু হিউম্যানিটি’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।
আজ সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় স্পিকার এ সময় বলেন, বাংলাদেশ সার্বজনীন রোম সনদের গুরুত্বকে স্বীকার করে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সকল লক্ষ্য অর্জনে অব্যাহতভাবে সমর্থন করে যাচ্ছে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে বিশ্ববাসীর সাথে বাংলাদেশ সহযাত্রী হবে।
স্পিকার বলেন, এই সিম্পোজিয়াম কেবলই উৎসব নয় বরং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ গর্বিত, কারণ আন্তর্জাতিক ফৌজদারী আদালত সৃষ্টিতে এবং রোম সনদ গ্রহণের সূচনালগ্নে প্রচার-প্রচারণায় বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ সকল প্রকার বিচারহীনতা, যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্পিকার বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববাসী মিয়ানমার কর্তৃক একটি সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দেয়ার মত হৃদয় বিদারক ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে। গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত প্রায় ১০লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে, যার বেশির ভাগই শিশু ও নারী। জাতিসংঘ ও জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন এ ঘটনাটিকে জাতিগত নিধন ও গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
তিনি বলেন, এখন বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবসানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত ও কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, সক্রিয় সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আইসিসি’ র কাছে বলপূর্বক রোহিংগাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করানোর কারণে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রুলিং প্রত্যাশা করে। মিয়ানমার আইসিসির সদস্যভূক্ত নয় কিন্তু বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি আইসিসির প্রি- ট্রায়াল চেম্বার-১-এ উপস্থাপন করেছে। আইসিসি’র ২০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে রোম সনদের বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সব সময় পাশে থেকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলেও তিনি অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে রোম সনদের প্রেসিডেন্ট মি. ও-গোঁ কোয়ান আইসিসি’র প্রেসিডেন্ট চিলি ইবো ওসুজি এবং আইসিসি’র প্রসিকিউটর ফাতো বেনসৌদা বক্তব্য রাখেন।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ে তোলায় বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ় : স্পিকার

আপডেট টাইম ১০:৪৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুলাই ২০১৮

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ে তোলায় বিশ্ববাসীর সঙ্গে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডস-এর হেগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি) আয়োজিত ‘এনডিউরিং ভেল্যু অব দ্যা রোম স্ট্যাটিউট টু হিউম্যানিটি’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।
আজ সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় স্পিকার এ সময় বলেন, বাংলাদেশ সার্বজনীন রোম সনদের গুরুত্বকে স্বীকার করে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সকল লক্ষ্য অর্জনে অব্যাহতভাবে সমর্থন করে যাচ্ছে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে বিশ্ববাসীর সাথে বাংলাদেশ সহযাত্রী হবে।
স্পিকার বলেন, এই সিম্পোজিয়াম কেবলই উৎসব নয় বরং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ গর্বিত, কারণ আন্তর্জাতিক ফৌজদারী আদালত সৃষ্টিতে এবং রোম সনদ গ্রহণের সূচনালগ্নে প্রচার-প্রচারণায় বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ সকল প্রকার বিচারহীনতা, যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্পিকার বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববাসী মিয়ানমার কর্তৃক একটি সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দেয়ার মত হৃদয় বিদারক ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে। গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত প্রায় ১০লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে, যার বেশির ভাগই শিশু ও নারী। জাতিসংঘ ও জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন এ ঘটনাটিকে জাতিগত নিধন ও গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
তিনি বলেন, এখন বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবসানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত ও কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, সক্রিয় সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আইসিসি’ র কাছে বলপূর্বক রোহিংগাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করানোর কারণে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রুলিং প্রত্যাশা করে। মিয়ানমার আইসিসির সদস্যভূক্ত নয় কিন্তু বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি আইসিসির প্রি- ট্রায়াল চেম্বার-১-এ উপস্থাপন করেছে। আইসিসি’র ২০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে রোম সনদের বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সব সময় পাশে থেকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলেও তিনি অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে রোম সনদের প্রেসিডেন্ট মি. ও-গোঁ কোয়ান আইসিসি’র প্রেসিডেন্ট চিলি ইবো ওসুজি এবং আইসিসি’র প্রসিকিউটর ফাতো বেনসৌদা বক্তব্য রাখেন।