মাতৃভূমির খবর ডেস্ক : আগেই মৃত্যু হয়েছিল দুই সন্তানের। এবার তৃতীয় এবং অন্তিম সন্তানও হারিয়েছে আইএস বধূ শামিমা বেগম। শনিবার এসডিএফ (সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস) সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। বর্তমানে এসডিএফ সঞ্চালিত শরণার্থী শিবিরেই রয়েছে শামিমা।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কুর্দিশ রেড ক্রিসেন্টের এক চিকিৎসক বিবিসিকে জানিয়েছে, তিন সপ্তাহের কম বয়সী শিশুটির ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। ১৯ বছরের শামিমার এটি ছিল তৃতীয় সন্তান। এর আগে মৃত্যু হয়েছে তার দুই সন্তানের। সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শরণার্থী শিবিরে গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি ছেলের জন্ম দেয় শামিমা। এদিকে শামিমার সন্তানের মৃত্যুর খবরে ব্রিটিশ সরকারের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ডিয়ানে অ্যাবট। তিনি বলেন, কাউকে রাষ্ট্রহীন করা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। একজন ব্রিটিশ নারী তাঁর নাগরিকত্ব হারিয়েছেন বলে আজ একটি নির্দোষ শিশুকে মরতে হল।”
ইসলামিক স্টেটে যোগ দিয়ে আজ নিজের দেশের কাছেই ব্রাত্য শামিমা৷ অথচ মোহভঙ্গের পর দেশেই ফিরতে চায় ওই ব্রিটিশ তরুণী৷ কিন্তু সভ্য সমাজ আইএস-এর ছোঁয়াচ এড়াতে দরজা বন্ধ করেছে শামিমার জন্য৷ এমনই পরিস্থতিতে শামিমাকে নিয়ে নেদারল্যান্ডস যেতে চায় তার স্বামী ইয়াগ রিডাইক৷ আপাতত সিরিয়ার একটি কুর্দিশ বন্দিশিবিরে রয়েছে ইয়াগ৷ উল্লেখ্য, আর্থিক অনটন দূর করতে ব্রিটেনে পাড়ি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের এক দম্পতি। সেখানে বাবা, মাকে লুকিয়ে ব্রিটেনের বাড়ি থেকে পালিয়ে তুরস্কের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় ওই দম্পতির সন্তান। নাম শামিমা বেগম। তার সঙ্গী ছিল দুই বান্ধবী আমিরা আবাসি ও খাদিজা সুলতানা। সিরিয়ায় পৌঁছে এক ডাচ আইএস জঙ্গিকে বিয়ে করে শামিমা। এরপর দুই সন্তানের মৃত্যু ও বিভিন্ন চড়াই উতরাই পেরিয়ে ফের পুত্রসন্তানের জন্ম দেয় ওই তরুণী।