ঢাকা ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ “২৬শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ” –মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকা হতে ৫৩ কেজি গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক বহনে ব্যবহৃত পিকআপ জব্দ। “মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

অনিয়ম তদারকিতে মাঠে দেড় হাজার ম্যাজিস্ট্রেট

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :   আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৬ শ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করছে নির্বাচন কমিশন। তারা নির্বাচনি অপরাধের বিচার, লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভোটের মাঠে কাজ করবে। এছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গেও ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। ইতোমধ্যে ছয় শতাধিক ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রশিক্ষণের পর মাঠে নামানো হয়েছে।

এদিকে, নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ পর্যন্ত সময়ে অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ২৪৪ জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে ১২২টি নির্বাচনি তদন্ত কমিটি। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে ফল গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী, তার সমর্থক বা অন্য কেউ আইন ও বিধি লঙ্ঘন করলে বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তাদের সংক্ষিপ্ত বিচারের মাধ্যমে সাজা দেবেন ম্যাজিস্ট্রেটরা।

ভোটের মাঠে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ৬ শ ৪০ জন, ১২২টি নির্বাচনি তদন্ত কমিটিতে ২৪৪ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও ৭১৬ জন নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট, সবমিলিয়ে ১ হাজার ৬ শ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৭৩, ৭৪, ৭৮, ৭৯, ৮০, ৮১ ও ৮২ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচনি অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারের জন্য মাঠে থাকবেন ৬৪০ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। ৩ শ আসনের প্রতিটিতে দুজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আগামী ২৯ ডিসেম্বর মাঠে নামবেন। তারা ১ জানুয়ারি পর্যন্ত চার দিন দায়িত্ব পালন করবেন। একাধিক উপজেলা বা উপজেলার অংশ নিয়ে গঠিত নির্বাচনি আসনের ক্ষেত্রে প্রতিটি উপজেলা বা উপজেলার অংশ বিশেষের জন্য একজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন।

এছাড়া নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনের জন্য মাঠে থাকছে ৭১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিটি উপজেলায় একজন, সিটি করপোরেশন এলাকায় ভৌগলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থিত প্রতি ৩-৪টি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে, সিটির বাইরে জেলা সদরে প্রতি পৌর এলাকায় ১-২ জন করে এবং পার্বত্য এলাকায় ভৌগলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থিত ৩-৪ উপজেলার জন্য একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, প্রতীক পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণা চালাতে পারেন। প্রচার কাজ বন্ধ করতে হয় ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা পূর্বে।

আইন অনুযায়ী, নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা শুধু প্রচার কাজের জন্যই শাস্তি দেন না। আচরণবিধিতে উল্লেখিত যেকোনো অপরাধের কারণেই তারা শাস্তি দিতে পারেন। এছাড়া সহিংস কর্মকাণ্ডের জন্য দুষ্কৃতিকারীদের ওপর গুলির আদেশও তারা দিতে পারেন। আর নির্বাচনী অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করতে পারেন।

অন্যদিকে, প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে, এই অপরাধের কারণে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল করার ক্ষমতা রাখে। উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

অনিয়ম তদারকিতে মাঠে দেড় হাজার ম্যাজিস্ট্রেট

আপডেট টাইম ০৯:৪৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :   আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৬ শ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করছে নির্বাচন কমিশন। তারা নির্বাচনি অপরাধের বিচার, লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভোটের মাঠে কাজ করবে। এছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গেও ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। ইতোমধ্যে ছয় শতাধিক ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রশিক্ষণের পর মাঠে নামানো হয়েছে।

এদিকে, নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ পর্যন্ত সময়ে অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ২৪৪ জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে ১২২টি নির্বাচনি তদন্ত কমিটি। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে ফল গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী, তার সমর্থক বা অন্য কেউ আইন ও বিধি লঙ্ঘন করলে বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তাদের সংক্ষিপ্ত বিচারের মাধ্যমে সাজা দেবেন ম্যাজিস্ট্রেটরা।

ভোটের মাঠে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ৬ শ ৪০ জন, ১২২টি নির্বাচনি তদন্ত কমিটিতে ২৪৪ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও ৭১৬ জন নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট, সবমিলিয়ে ১ হাজার ৬ শ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৭৩, ৭৪, ৭৮, ৭৯, ৮০, ৮১ ও ৮২ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচনি অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারের জন্য মাঠে থাকবেন ৬৪০ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। ৩ শ আসনের প্রতিটিতে দুজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আগামী ২৯ ডিসেম্বর মাঠে নামবেন। তারা ১ জানুয়ারি পর্যন্ত চার দিন দায়িত্ব পালন করবেন। একাধিক উপজেলা বা উপজেলার অংশ নিয়ে গঠিত নির্বাচনি আসনের ক্ষেত্রে প্রতিটি উপজেলা বা উপজেলার অংশ বিশেষের জন্য একজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন।

এছাড়া নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনের জন্য মাঠে থাকছে ৭১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিটি উপজেলায় একজন, সিটি করপোরেশন এলাকায় ভৌগলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থিত প্রতি ৩-৪টি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে, সিটির বাইরে জেলা সদরে প্রতি পৌর এলাকায় ১-২ জন করে এবং পার্বত্য এলাকায় ভৌগলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থিত ৩-৪ উপজেলার জন্য একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, প্রতীক পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণা চালাতে পারেন। প্রচার কাজ বন্ধ করতে হয় ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা পূর্বে।

আইন অনুযায়ী, নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা শুধু প্রচার কাজের জন্যই শাস্তি দেন না। আচরণবিধিতে উল্লেখিত যেকোনো অপরাধের কারণেই তারা শাস্তি দিতে পারেন। এছাড়া সহিংস কর্মকাণ্ডের জন্য দুষ্কৃতিকারীদের ওপর গুলির আদেশও তারা দিতে পারেন। আর নির্বাচনী অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করতে পারেন।

অন্যদিকে, প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে, এই অপরাধের কারণে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল করার ক্ষমতা রাখে। উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।