পশ্চিমবঙ্গের জীবনমুখী ধর্মী শিল্পী নচিকেতার “ও ডাক্তার” শিরোনামে গানটি কম বেশী সবার ই শোনা । সেই গানটিতে চিকিৎসকদের যেভাবে তুলে ধরেছিলো, শ্রোতাদের কাছে এই মানুষগুলো বাংলা, হিন্দি সিনেমার খলনায়ক হয়ে উঠেছিলো । পিতা মাতার অক্লান্ত পরিশ্রমে লক্ষ লক্ষ অর্থ ব্যায় করে সন্তানকে চিকিৎসক বানিয়ে তাঁরা তাহলে ভুল করেছিলো?
না, সেই পিতা মাতা রা ভুল করেন নি! তারা আজ বুক ফুলিয়ে, মাথা উঁচু করে বীর চিকিৎসক সন্তানদের নিয়ে গর্ব করে । নচিকেতার নেতিবাচক গানের কথা গুলোকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে আজকের মহামারীতে আক্রান্ত বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের পাশে পরম আত্মীয়তার মতো নিজের জীবন বাজি রেখে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে এ বীর চিকিৎসকরা । “পু-লি-শ” এই শব্দটা কানে আসলেই মানুষের মধ্যে ইতিপূর্বে আতঙ্ক বিরাজ করতো, পুলিশ মানেই খারাপ, পুলিশ মানেই ঘৃণার পাত্র । কিন্তু, বর্তমানে জাতির এই ক্রান্তি লগ্নে, করোনা প্রতিরোধে পুলিশ বাহিনী যে অবদান রেখেছে, তাদের প্রতি সাধারন মানুষের চিরাচরিত নেতিবাচক ভাবনা পাল্টে গিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হয়েছে ।
“আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী পরে,
সকলের তোরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে মোরা পরের তরে”
কবি কামিনী রায়ের কবিতার এই লাইনগুলিকে অন্তরে ধারণ করে, দেশপ্রেমে আবদ্ধ হয়ে ছুটে চলা এক ঝাঁক তরুন, যুবক মানবতার ফেরিওয়ালাদের । দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা স্বেচ্ছাসেবীরা বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সুবিধা বঞ্চিত, অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে যে নজির স্থাপন করেছে তাই সত্যিই প্রশংসনীয় এবং মহৎকর্ম । বিশেষকরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করা মানুষগুলোকে দাফন, সৎকার করার মতো মহৎকার্যটি করে স্বেচ্ছাসেবকরা ইতিহাসে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে । করোনা মহামারীতে জাতির বীর সম্মুখ যোদ্ধাদের অবদানের কথা যুগের পর যুগ শ্রদ্ধা এবং সম্মানের সহিত স্মরন রাখবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম । বর্তমান বৈশ্বিক মহামারীতে চিকিৎসক বৃন্দ, পুলিশ বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দের মতো সম্মুখ যোদ্ধাদের জানাই গভীর ও শুদ্ধ ভালোবাসা ।