মোঃ জাহিদুল ইসলাম, দুমকি,পটুয়াখালী প্রতিনিধি: বরিশাল – পটুয়াখালী – কুয়াকাটা মহাসড়কের লেবুখালীর পায়রা নদীতে নির্মিত ” পায়রা সেতু”র নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে এর সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ।
১হাজার ৪৪৭কোটি ২৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে, এর দৈর্ঘ্য ১হাজার ৪৭০মিটার এবং প্রস্থ ১৯ দশমিক ৭৬মিটার ৪ দেন বিশিষ্ট সেতুর জলতল থেকে এর উচ্চতা ১৮ দশমিক ৩০ মিটার। নদীর মাঝখানে ১টি মাত্র পিলার স্হাপন করা হয়েছে। এক্সট্রা ডোজ ক্যাবল সিস্টেমে সেতুটি সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে আলোকিত হবে।
দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের লেবুখালীর পায়রা সেতু সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত ,পায়রা সমুদ্রবন্দর ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত ফেরিবিহীন সড়ক যোগাযোগ চালু এখন সময়ের ব্যাপার। ধারাবাহিকভাবে আলোকসজ্জা ও পিচ ঢালাইয়ের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার প্রস্তুতি চলছে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার লক্ষ্যে দিনরাত কাজ করছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লং ঝিয়ান রোড এন্ড ব্রীজ কোম্পানি লিমিটেড।ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের (এনএইচ-৮) ১৯২ কিলোমিটার এবং বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের ২৭ কিলোমিটারে লেবুখালীর পায়রা নদীর উপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (কেএফএইডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ওএফআইডি) যৌথ অর্থায়নে । কার্যাদেশে সেতু নির্মাণে ৩৩ মাস সময় বেঁধে দেওয়া হলেও দুই দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। তবে তার আগেই আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে সেতু চালুর লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে সেতু নির্মাণ পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হালিম জানান, লাইটিং সিস্টেমের ১৬৫টি পোস্টের মধ্যে কাজ প্রায়ই শেষ। সেতুর উপরিভাগের পিচ ঢালাই ইতিমধ্যে ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১ হাজার ২৬৮ মিটার এ্যাপরোচ সড়ক, টোল প্লাজা, প্রশাসনিক ভবন, ইলেকট্রিফিকেশনসহ সেতুর ৯২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০০ মিটার করে দেশের দীর্ঘতম দুটি স্প্যান বসানো হয়েছে এ সেতুতে। নদীর তলদেশ থেকে ১৩০ মিটার দীর্ঘ পাইল বসানো হয়েছে যা দেশের সর্ববৃহৎ। এটি নির্মাণ করা হয়েছে চট্টগ্রামের তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর আদলে নান্দনিক নকসায়। উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন। ফলে দক্ষিনাঞ্চল বাসীর দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন এবং অক্টোবরে এ সেতু চালুর মাধ্যমে বর্তমান সরকারের আর‌ও একটি চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়িত হবে।