সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখুলী মুন্সিপাড়ায় অগ্নিকান্ডে ২১টি পরিবারের ৪৪টি ঘরসহ আসবাবপত্র, কাপড়-স্বর্ণালংকার, ধান-চাল ও নদগ টাকা সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
গত ১৩ জানুয়ারী রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে সংঘটিত এ অগ্নিকান্ডে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর নারী-শিশু ও বৃদ্ধসহ প্রায় ২ শতাধিক সদস্য এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
জানা যায়, রবিবার রাত ১০ টার দিকে মুন্সিপাড়ার দেলোয়ারের রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় শৈত্য প্রবাহ থাকায় বাতাসে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাড়ার প্রায় সব বাড়িতে। খবর পেয়ে নীলফামারী, সৈয়দপুর ও উত্তরা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু এর মধ্যেই আশে পাশের ২১টি পরিবারের ৪৪টি ঘর আগুনের লেলিহান শিখায় মূহুর্তেই পুড়ে যায়। এসময় ঘরগুলো থেকে গবাদী পশু ছাড়া আর কোন জিনিসপত্র সরানো সম্ভব হয়নি। ফলে ওই পরিবারগুলোর সর্বস্ব ছাই হয়ে গেছে। নগদ ৩ লাখ টাকা, ৫ লাখ টাকা মূল্যমানের স্বর্নালংকার, ঘরে রক্ষিত ধান-চাল, আসবাবপত্র, পরিধেয় বস্ত্রসহ সবকিছু সহ প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো সর্বস্ব হারিয়ে এই কনকনে শীতের রাতে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকাবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
পরদিন ১৪ জানুয়ারী সোমবার সকালে বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল হেলাল চৌধুরীর পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ১টি করে কম্বল দেয়া হয়েছে এবং দুপুরে সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল ও ১ কেজি ডাল এবং ৩টি করে কম্বল দেন।
এসময় সহকারী কমিশনার জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে পূণ:র্বাসনের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।