ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“বিএনপির মধ্যেই সংকট : তথ্যমন্ত্রী” টাঙ্গাইলে রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং নড়াইলে চোর চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার, মালামাল উদ্ধার গজারিয়া উপজেলা বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান জুয়েল সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছে ১১ জন ইউপি সদস্য মালদ্বীপে জমকালো আয়োজনে আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি রাসেল আহমেদের জন্মদিন পালন। দেশের ৪৯৩ টি উপজেলায় ৩৯ হাজার ৩৬৫ টি পরিবারকে বিনামূল্যে জমি সহ ঘর হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী বাউফলে কিশোর গং এর হাতে জোড়া খুন আহত ১। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দিঘলিয়া, খুলনার আয়োজনে কৃষক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। আব্দুল মালেক স্মৃতি একাডেমিতে বার্ষিক ক্রীড়ার পুরুস্কার বিতরন ও বৃত্তির সনদ প্রদান অনুষ্ঠিত সাদিকুর রহমান সেন্টুসহ সোনারগাঁ বিএনপির ৪ নেতা কারাগারে

সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি হতে চান অ্যাডভোকেট মাহ্ফুজা বেগম সাঈদা

ফাইল ছবি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :   বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শিশু ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সিলেট বিভাগীয় আইনজীবী কল্যাণ পরিষদের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহফুজা বেগম সাঈদা গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন এমন প্রত্যাশা ছিল এলাকার সাধারণ মানুষের। সেই প্রত্যাশায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তিনি দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। দলের প্রতি অনুগত সাঈদা পেশায় সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী, সমাজসেবক ও আওয়ামী রাজনীতির একজন সক্রিয় কর্মী। এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে রয়েছে তার অংশগ্রহণ।

’৭৫ পরবর্তী দুঃসময়ে ১৯৭৯ সালে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও ত্যাগের মহিমায় অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগে যোগদান করেন। তিনি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তাঁর সহোদর বড় ভাই হাবিবুর রহমান চৌধুরী সুনামগঞ্জ মহকুমা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯৭৩-১৯৭৪ সালে সুনামগঞ্জ কলেজ শাখায় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তার স্বামী আবু মোঃ আমির হোসেন, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ১৯৭৯-১৯৮০ সালে ছাত্রলীগ (জালাল-জাহাঙ্গীর) মনোনীত ও নির্বাচিত সাহিত্য ও বার্ষিকী সম্পাদক ছিলেন; বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের একজন সক্রিয় সদস্য।
সাঈদা ১৯৯৭ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের হত্যা মামলা পরিচালনায় আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত প্রসিকিউশন প¶ের আইনজীবী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে (২০০১-২০০৭) তৎকালীন বিএনপি সরকার বিরোধী প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে ও সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। এসময়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কালোপতাকা প্রদর্শন করায় বিএনপি ক্যাডার সগীর বাহিনীর দ্বারা শারিরীকভাবে নির্যাতিত ও লাঞ্চিত হন। ২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নেতাকর্মী সহ জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল তার। আওয়ামী লীগের সকল কর্মসূচীতে সক্রিয় অংশ নেন নিয়মিত। সংসদ ভবনে স্থাপিত বিশেষ আদালতে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় অংশ নেন। তিনি ঢাকা জজ আদালতে ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত এপিপি এবং ২০০৯-২০১৭ সাল পর্যন্ত অতিরিক্ত পিপি হিসাবে দ¶তার সাথে মামলা পরিচালনা করেন।
অ্যাডভোকেট সাঈদা ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন; দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে দলীয় প্রার্থীর প¶ে কাজ করেন। ২০১৪ সালে দল ¶মতায় আসার পর সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি পদের জন্যও মনোয়নপত্র দাখিল করেন; কিন্তু তিনি মনোনয়ন পাননি। তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখে দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে সিলেট বিভাগের দায়িত্বে কাজ করেন।

বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া ইউনিয়নের উজিরপুর গ্রামে জন্ম নেয়া সাঈদা পারিবারিকভাবে আওয়ামী রাজীনীতির সঙ্গে যুক্ত। তার পিতা নজির উদ্দিন চৌধুরী সুনামগঞ্জ কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ছিলেন। তিনি হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজ থেকে বি.কম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.কম এবং ঢাকা ল’ কলেজ থেকে এলএলবি পাশ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিযুক্ত হন।

হবিগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের জনগণের ও আইনজীবীগণের প্রাণের দাবি অ্যাডভোকেট মাহফুজা বেগম সাঈদা যেন সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন লাভ করে এমপি মনোনীত হন। সাঈদা এবার সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোয়ন পেলে দেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে হবিগঞ্জবাসী ও আইনজীবীগণ মনে করেন।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

“বিএনপির মধ্যেই সংকট : তথ্যমন্ত্রী”

সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি হতে চান অ্যাডভোকেট মাহ্ফুজা বেগম সাঈদা

আপডেট টাইম ০১:৫৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৯

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :   বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শিশু ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সিলেট বিভাগীয় আইনজীবী কল্যাণ পরিষদের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহফুজা বেগম সাঈদা গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন এমন প্রত্যাশা ছিল এলাকার সাধারণ মানুষের। সেই প্রত্যাশায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তিনি দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। দলের প্রতি অনুগত সাঈদা পেশায় সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী, সমাজসেবক ও আওয়ামী রাজনীতির একজন সক্রিয় কর্মী। এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে রয়েছে তার অংশগ্রহণ।

’৭৫ পরবর্তী দুঃসময়ে ১৯৭৯ সালে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও ত্যাগের মহিমায় অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগে যোগদান করেন। তিনি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তাঁর সহোদর বড় ভাই হাবিবুর রহমান চৌধুরী সুনামগঞ্জ মহকুমা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯৭৩-১৯৭৪ সালে সুনামগঞ্জ কলেজ শাখায় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তার স্বামী আবু মোঃ আমির হোসেন, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ১৯৭৯-১৯৮০ সালে ছাত্রলীগ (জালাল-জাহাঙ্গীর) মনোনীত ও নির্বাচিত সাহিত্য ও বার্ষিকী সম্পাদক ছিলেন; বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের একজন সক্রিয় সদস্য।
সাঈদা ১৯৯৭ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের হত্যা মামলা পরিচালনায় আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত প্রসিকিউশন প¶ের আইনজীবী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে (২০০১-২০০৭) তৎকালীন বিএনপি সরকার বিরোধী প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে ও সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। এসময়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কালোপতাকা প্রদর্শন করায় বিএনপি ক্যাডার সগীর বাহিনীর দ্বারা শারিরীকভাবে নির্যাতিত ও লাঞ্চিত হন। ২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নেতাকর্মী সহ জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল তার। আওয়ামী লীগের সকল কর্মসূচীতে সক্রিয় অংশ নেন নিয়মিত। সংসদ ভবনে স্থাপিত বিশেষ আদালতে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় অংশ নেন। তিনি ঢাকা জজ আদালতে ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত এপিপি এবং ২০০৯-২০১৭ সাল পর্যন্ত অতিরিক্ত পিপি হিসাবে দ¶তার সাথে মামলা পরিচালনা করেন।
অ্যাডভোকেট সাঈদা ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন; দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে দলীয় প্রার্থীর প¶ে কাজ করেন। ২০১৪ সালে দল ¶মতায় আসার পর সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি পদের জন্যও মনোয়নপত্র দাখিল করেন; কিন্তু তিনি মনোনয়ন পাননি। তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখে দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে সিলেট বিভাগের দায়িত্বে কাজ করেন।

বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া ইউনিয়নের উজিরপুর গ্রামে জন্ম নেয়া সাঈদা পারিবারিকভাবে আওয়ামী রাজীনীতির সঙ্গে যুক্ত। তার পিতা নজির উদ্দিন চৌধুরী সুনামগঞ্জ কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ছিলেন। তিনি হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজ থেকে বি.কম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.কম এবং ঢাকা ল’ কলেজ থেকে এলএলবি পাশ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিযুক্ত হন।

হবিগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের জনগণের ও আইনজীবীগণের প্রাণের দাবি অ্যাডভোকেট মাহফুজা বেগম সাঈদা যেন সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন লাভ করে এমপি মনোনীত হন। সাঈদা এবার সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোয়ন পেলে দেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে হবিগঞ্জবাসী ও আইনজীবীগণ মনে করেন।