ঢাকা ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রামপালে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গাঁজাসহ গ্রেফতার ৩ পটুয়াখালীর দুমকিতে পাঁচ কেজি গাঁজা সহ গ্রেফতার একজন “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে : তথ্যমন্ত্রী বাগেরহাটে অনলাইন দুই জুয়াড়ি আটক। গজারিয়া উপজেলা প্রস্তাবিত ৬৬০ মেগাওয়াট গ্যাস ভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মান প্রকল্পের পরিবেশগত আর্থ সামাজিক প্রভাব নিরুপন সমীক্ষা অবহিত করন সভা অনুষ্ঠিত বখাটের পেট্রোলের আগুনে ঝলসে যাওয়া জাহাঙ্গীরের মৃত্যু- দুমকির নিজ বাড়িতে শোকের মাতম বরিশালে নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থীর ৩৫ দফা ইশতেহার ঘোষণা। সুন্দরগঞ্জে গ্রাহকদের ৬ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া! কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, দিঘলিয়ার আয়োজনে পোকা দমন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত। রামপালে মৎস্য ঘের সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১৫ : গ্রেফতার ৭

রাজাপুরে উপজেলা সমবায় অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ

মোঃ সাইদুল ইসলাম, রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরের উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দিলীপ কুমার মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সমবায় কর্মকর্তা রাজাপুরে যোগদানের পর থেকে সমিতি রেজিষ্ট্রেশন এর নামে লোকজনকে হয়রানি করছেন দিনের পর দিন। রাজাপুর উপজেলায় বিভিন্ন নামে সমবায় সমিতি রেজিষ্ট্রেশনের জন্য কাগজপত্র সমবায় অফিসে জমা দিলে সমবায় কর্মকর্তা প্রতিটি সমিতি রেজিষ্ট্রেশনের নামে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে সমিতি রেজিষ্ট্রেশন দিয়েছেন। এছাড়াও একাধিক সমিতির উৎকোচ নেওয়ার পরেও দিনের পর দিন আটকিয়ে রেখেছে ফাইলপত্র। ভূক্তভোগী কৃষক সমিতির লোকজন জানান, সমবায় কর্মকর্তা আরও অতিরিক্ত টাকা উৎকোচ দাবী করেন। টাকা দিতে না পারায় সমিতি রেজিষ্ট্রেশন বন্ধ রয়েছে। রাজাপুরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, সমবায় সমিতি রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য দিলীপ উৎকোচ দাবী করে। উৎকোচ না দিলে সমিতি রেজিষ্ট্রেশন হয়না। ইতিপূর্বে অসংখ্য সমিতি রেজিষ্ট্রেশন দিয়েছেন সমবায় কর্মকর্তা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দিলীপের এলপিআরে যাওয়ার সময় হয়েছে আর তিনি এর আগে সমিটি রেজিষ্ট্রেশন দেয়ার নামে প্রচুর অর্থ কামিয়ে নিচ্ছেন। প্রতিটি সমিতি অডিটের জন্য হাজার হাজার টাকা নিচ্ছে। কাগজপত্রে ভুল হলেই উৎকোচের পরিনাম বেড়ে যায়। দিলিপ একজন দুরন্ধর লোক ইতিমধ্য রাজাপুর সমবায় অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র নিজের অনিয়ম ঢাকার জন্য সরিয়ে ফেলেছে। নামে বেনামে কোটি টাকার মালিক হয়েছে এই দিলীপ কুমার মিস্ত্রী। ভারতেও ক্রয় করেছেন জমি। পেনশনের টাকা নিয়ে ভারত চলে যাবেন বলে অনেকের কাছেই বলে বেড়াচ্ছেন। রাজাপুর সমবায় অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, দিলীপ বাবু একজন ঘুষখোর লোক। তিনি গোপনে গোপনে সমবায় অফিসের লোকজনদের আড়াল করে মোটা অংকের ঘুষ নেন। দুদকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দিলীপের নামে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগীরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট এই দূর্নীতি পরায়ন দিলীপ কুমার মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান । এ ব্যাপারে দিলীপ কুমার মিস্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, “আমি কোথাও কোন সমিতির রেজিষ্ট্রেশনের জন্য একটি টাকাও নেয়নি বরং এটা আমার বিরুদ্ধে কে বা করার মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে তা আমি জানিনা।”

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

রামপালে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গাঁজাসহ গ্রেফতার ৩

রাজাপুরে উপজেলা সমবায় অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ

আপডেট টাইম ০৫:৪৮:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৯

মোঃ সাইদুল ইসলাম, রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরের উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দিলীপ কুমার মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সমবায় কর্মকর্তা রাজাপুরে যোগদানের পর থেকে সমিতি রেজিষ্ট্রেশন এর নামে লোকজনকে হয়রানি করছেন দিনের পর দিন। রাজাপুর উপজেলায় বিভিন্ন নামে সমবায় সমিতি রেজিষ্ট্রেশনের জন্য কাগজপত্র সমবায় অফিসে জমা দিলে সমবায় কর্মকর্তা প্রতিটি সমিতি রেজিষ্ট্রেশনের নামে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে সমিতি রেজিষ্ট্রেশন দিয়েছেন। এছাড়াও একাধিক সমিতির উৎকোচ নেওয়ার পরেও দিনের পর দিন আটকিয়ে রেখেছে ফাইলপত্র। ভূক্তভোগী কৃষক সমিতির লোকজন জানান, সমবায় কর্মকর্তা আরও অতিরিক্ত টাকা উৎকোচ দাবী করেন। টাকা দিতে না পারায় সমিতি রেজিষ্ট্রেশন বন্ধ রয়েছে। রাজাপুরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, সমবায় সমিতি রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য দিলীপ উৎকোচ দাবী করে। উৎকোচ না দিলে সমিতি রেজিষ্ট্রেশন হয়না। ইতিপূর্বে অসংখ্য সমিতি রেজিষ্ট্রেশন দিয়েছেন সমবায় কর্মকর্তা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দিলীপের এলপিআরে যাওয়ার সময় হয়েছে আর তিনি এর আগে সমিটি রেজিষ্ট্রেশন দেয়ার নামে প্রচুর অর্থ কামিয়ে নিচ্ছেন। প্রতিটি সমিতি অডিটের জন্য হাজার হাজার টাকা নিচ্ছে। কাগজপত্রে ভুল হলেই উৎকোচের পরিনাম বেড়ে যায়। দিলিপ একজন দুরন্ধর লোক ইতিমধ্য রাজাপুর সমবায় অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র নিজের অনিয়ম ঢাকার জন্য সরিয়ে ফেলেছে। নামে বেনামে কোটি টাকার মালিক হয়েছে এই দিলীপ কুমার মিস্ত্রী। ভারতেও ক্রয় করেছেন জমি। পেনশনের টাকা নিয়ে ভারত চলে যাবেন বলে অনেকের কাছেই বলে বেড়াচ্ছেন। রাজাপুর সমবায় অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, দিলীপ বাবু একজন ঘুষখোর লোক। তিনি গোপনে গোপনে সমবায় অফিসের লোকজনদের আড়াল করে মোটা অংকের ঘুষ নেন। দুদকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দিলীপের নামে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগীরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট এই দূর্নীতি পরায়ন দিলীপ কুমার মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান । এ ব্যাপারে দিলীপ কুমার মিস্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, “আমি কোথাও কোন সমিতির রেজিষ্ট্রেশনের জন্য একটি টাকাও নেয়নি বরং এটা আমার বিরুদ্ধে কে বা করার মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে তা আমি জানিনা।”