ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সৌন্দর্যের স্বর্গরাজ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার পেনাং দ্বীপ “নির্বাচনকে ভয় বলেই ষড়যন্ত্রের পথে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী” বাকেরগঞ্জে জমিসহ আশ্রয়ণের ঘর পাচ্ছেন আরও ২৭৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার “বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের “ক্রস পার্টি পার্লামেন্টারি ডেলিগেশন” প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ” সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ যোগ্য নাগরিক গড়ে: মেয়র জমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন এসিল্যান্ড নাজমুল হুদার হস্তক্ষেপে নির্মিত হচ্ছে ব্রীজ সাপুড়ের কাছ থেকে উদ্ধার করে বনে ছাড়া হলো ৫ সাপ। কুয়াকাটায় পর্যটকদের বিনোদনে যোগ হলো বিমানাকৃতির গাড়ি। হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিদেশী মদসহ আটক ২ সিলেট জুড়ে বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরে পেয়েছে চা বাগান গুলোতে

রাঙামাটির লেকের নীল জলে ভাসছে “রয়েল এডভেঞ্চার”

( আবুল বরাকাত )
চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই লেকের নীল জলে ভাসছে “রয়েল এডভেঞ্চার” নামের একটি দ্বিতল বিশিষ্ট হাউজবোট। এটি এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কাঠের তৈরি হাউজবোট।
প্রমোদতরীটির পক্ষ থেকে মো: মহিউদ্দিন মজুমদার আনন্দ জানান রাঙ্গামাটি একটি পর্যটন নগরী। এখানে হ্রদ, পাহাড়, ঝর্ণা একসঙ্গে উপভোগ করা যায়। হ্রদের বুকে এই ধরনের সুন্দর সুবিধা সম্বলিত একটি হাউস বোট পর্যটকদের দারুণভাবে আকর্ষণ করবে বলে আমার বিশ্বাস। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়দের জন্য লেকে বেড়ানোর এক দারুণ মাধ্যম তৈরি হলো।
তিনি আরো বলেন, আমরা সাধারণত ভিয়েতনাম, চায়না, থাইল্যান্ড এসব দেশে এই ধরনের প্রমোদতরী দেখতে পাই। কিন্তু রাঙ্গামাটিতেও এই ধরনের হাউস বোট চালু করে আমরা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চাই।আমরা মনে করি আমরাও ধীরে ধীরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন স্মার্ট যুগে প্রবেশ করছি। এই হাউস বোট পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণ হিসেবে কাজ করবে এবং পাশাপাশি রাঙ্গামাটির পর্যটন বিকাশে ভূমিকা রাখবে।
দ্য রয়েল অ্যাডভেঞ্চারের সিইও মো. মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, পর্যটন খাতে কাজ করার মানসিকতা থেকেই আমরা এই হাউস বোটটি তৈরি করেছি। এটি রাঙ্গামাটির সবচেয়ে বড় হাউস বোট। আমাদের এখানো মোট আটটি রুম রয়েছে। যার মধ্যে বারান্দাসহ দুটি সুপার প্রিমিয়াম রুম আছে। প্রতিটি রুমের সঙ্গে ওয়াশরুম আছে। প্রতি রুমে চারজন করে থাকা যাবে। আমাদের বোটেই নিজস্ব রেস্টুরেন্ট আছে। আমরা স্থানীয় এবং ট্রেডিশনাল খাবারগুলো সার্ভ করার চেষ্টা করছি। যাতে পর্যটকরা স্থানীয় খাবার সম্পর্কে একটা ধারণা লাভ করতে পারে।
তবে কোনো পর্যটক চাইলে তার চাহিদা মতো সব ব্যবস্থা করা যাবে। কারণ রান্নাঘর আমাদের বোটে রয়েছে।কক্সবাজার থেকে বেড়াতে আসা একজন পর্যটক বলেন, বোটটা আসলেই খুব সুন্দর করেছে। বিশেষ করে ছাদে কৃত্রিম ঘাসের কার্পেটে বসে বাইরের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। তাছাড়া রুমের ভেতর থেকেও বাইরের ভিউটা খুব সুন্দর। মালদ্বীপের হাউস বোটগুলোর মতোই মনে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা শেফালিকা চাকমা বলেন, রাঙ্গামাটি যেহেতু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ তাই এখানে ন্যাচারাল ভাইভটা থাকা খুব প্রয়োজন, যা এই বোটটিতে আছে। রাঙ্গামাটির অন্যান্য হাউস বোটগুলোতে সব সুযোগ-সুবিধা থাকলেও অনেক বোটে প্রকৃতি উপভোগের সুযোগটা নেই। সেক্ষেত্রে পর্যটক আকর্ষণে অন্যান্য বোটগুলো থেকে রয়েল অ্যাডভেঞ্চার এগিয়ে থাকবে বলে আমি মনে করি।
রাঙ্গামাটিতে ছোট-বড় অনেকগুলো হাউস বোট রয়েছে। তার মধ্যে এই হাউস বোটটি আয়তনে, সুযোগ-সুবিধায় এবং সৌন্দর্যে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
এটি বাংলাদেশের অন্যতম বিলাসবহুল প্রমোদতরী যা রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই লেকে পর্যটক নিয়েভ্রমণ করবে। উক্ত প্রমোদতরীর মধ্যে রয়েছে মোট ৮ টি রুম যার প্রতিটি রুমেই আছে এটাচ ওয়াশরুম। এর মধ্যে দুটি রুম আছে সুপার প্রিমিয়াম যেগুলো ব্যালকনিসহ। প্রতিটি রুমেই ৪ জন করে লোক থাকতে পারবে। দু-তলায় একটা বড়ো রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে বোটের গেস্টরা খাওয়া দাওয়া করতে পারবে। বোটের মধ্যেই রান্না করার ব্যবস্থা থাকায় পর্যটকরা তাদের স্বাচ্ছন্দ্যমত সময়েপ্রকৃতি দেখতে দেখতে খাওয়া দাওয়া করতে পারবে। বোটের মধ্যেই রিসোর্ট এর মত সুন্দর রুমের ব্যবস্থা থাকায় রুমের ভিতর থেকেই রাঙামাটির প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো দেখতে পারবে বিছানায় শুয়ে। আর রাঙামাটির সকল পর্যটক স্পট গুলোই কাপ্তাই লেকের তীরে হওয়ায় উক্ত বোটে করেই সকল স্পট গুলো ঘুরতে পারবে পর্যটকরা। রাত্রিযাপনের সুবিধা থাকায় কোনো পর্যটককে আলাদাভাবে রিসোর্ট নেয়ার প্রয়োজন হবে না। এক বোটের মধ্যেই থাকা, খাওয়া এবং ঘুরার সকল সুযোগ সুবিধা পাবে পর্যটকরা। যারা দূর দুরান্ত থেকে ফ্যামিলি বা গ্রুপ নিয়ে ঘুরতে যায় কাপ্তাই লেকের উদ্দেশ্যে তাদের জন্য এইটা খুব ভালো একটা সার্ভিস হবে। বোটটিতে রাঙামাটির বিশেষ পর্যটক প্লেসগুলো পর্যটকরা ২ দিন ১ রাতের জন্য ঘুরতে পারবেন প্যাকেজে। প্যাকেজের মধ্যেই পর্যটকদের জন্য ২ দিনে ৬ বেলা খাবার, ৪ বেলা নাস্তা, সকল স্পট গুলো ঘুরা প্লাস ১ রাত প্রমোদতরীর মধ্যেই ভেসে ভেসে রাত্রিযাপন। প্যাকেজের খরচ প্রতি রুমে ৪ জন করে থাকলে প্রতিজন ৭,৫০০/- টাকা করে পড়বে। ইতিমধ্যে রাঙামাটিতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বোটটি। উদ্বোধনী হওয়ার পরেই রেগুলার বুকিং শুরু হয়ে গেছে বোটটিতে। আপনারা রাঙামাটি রয়েল এডভেঞ্চারকে বেছে নিতে পারেন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। এই বোটের প্যাকেজ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন ০১৭৯৫-৮০৩৭৩১ (আনন্দ) এই নাম্বারে। আপনার বোট লাইফকে আরো আনন্দঘন এবং সুন্দর করে তুলতে পারেন রয়েল এডভেঞ্চারের সাথে কাপ্তাই ভ্রমণ করে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সৌন্দর্যের স্বর্গরাজ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ার পেনাং দ্বীপ

রাঙামাটির লেকের নীল জলে ভাসছে “রয়েল এডভেঞ্চার”

আপডেট টাইম ১২:২৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

( আবুল বরাকাত )
চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই লেকের নীল জলে ভাসছে “রয়েল এডভেঞ্চার” নামের একটি দ্বিতল বিশিষ্ট হাউজবোট। এটি এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কাঠের তৈরি হাউজবোট।
প্রমোদতরীটির পক্ষ থেকে মো: মহিউদ্দিন মজুমদার আনন্দ জানান রাঙ্গামাটি একটি পর্যটন নগরী। এখানে হ্রদ, পাহাড়, ঝর্ণা একসঙ্গে উপভোগ করা যায়। হ্রদের বুকে এই ধরনের সুন্দর সুবিধা সম্বলিত একটি হাউস বোট পর্যটকদের দারুণভাবে আকর্ষণ করবে বলে আমার বিশ্বাস। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়দের জন্য লেকে বেড়ানোর এক দারুণ মাধ্যম তৈরি হলো।
তিনি আরো বলেন, আমরা সাধারণত ভিয়েতনাম, চায়না, থাইল্যান্ড এসব দেশে এই ধরনের প্রমোদতরী দেখতে পাই। কিন্তু রাঙ্গামাটিতেও এই ধরনের হাউস বোট চালু করে আমরা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চাই।আমরা মনে করি আমরাও ধীরে ধীরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন স্মার্ট যুগে প্রবেশ করছি। এই হাউস বোট পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণ হিসেবে কাজ করবে এবং পাশাপাশি রাঙ্গামাটির পর্যটন বিকাশে ভূমিকা রাখবে।
দ্য রয়েল অ্যাডভেঞ্চারের সিইও মো. মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, পর্যটন খাতে কাজ করার মানসিকতা থেকেই আমরা এই হাউস বোটটি তৈরি করেছি। এটি রাঙ্গামাটির সবচেয়ে বড় হাউস বোট। আমাদের এখানো মোট আটটি রুম রয়েছে। যার মধ্যে বারান্দাসহ দুটি সুপার প্রিমিয়াম রুম আছে। প্রতিটি রুমের সঙ্গে ওয়াশরুম আছে। প্রতি রুমে চারজন করে থাকা যাবে। আমাদের বোটেই নিজস্ব রেস্টুরেন্ট আছে। আমরা স্থানীয় এবং ট্রেডিশনাল খাবারগুলো সার্ভ করার চেষ্টা করছি। যাতে পর্যটকরা স্থানীয় খাবার সম্পর্কে একটা ধারণা লাভ করতে পারে।
তবে কোনো পর্যটক চাইলে তার চাহিদা মতো সব ব্যবস্থা করা যাবে। কারণ রান্নাঘর আমাদের বোটে রয়েছে।কক্সবাজার থেকে বেড়াতে আসা একজন পর্যটক বলেন, বোটটা আসলেই খুব সুন্দর করেছে। বিশেষ করে ছাদে কৃত্রিম ঘাসের কার্পেটে বসে বাইরের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। তাছাড়া রুমের ভেতর থেকেও বাইরের ভিউটা খুব সুন্দর। মালদ্বীপের হাউস বোটগুলোর মতোই মনে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা শেফালিকা চাকমা বলেন, রাঙ্গামাটি যেহেতু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ তাই এখানে ন্যাচারাল ভাইভটা থাকা খুব প্রয়োজন, যা এই বোটটিতে আছে। রাঙ্গামাটির অন্যান্য হাউস বোটগুলোতে সব সুযোগ-সুবিধা থাকলেও অনেক বোটে প্রকৃতি উপভোগের সুযোগটা নেই। সেক্ষেত্রে পর্যটক আকর্ষণে অন্যান্য বোটগুলো থেকে রয়েল অ্যাডভেঞ্চার এগিয়ে থাকবে বলে আমি মনে করি।
রাঙ্গামাটিতে ছোট-বড় অনেকগুলো হাউস বোট রয়েছে। তার মধ্যে এই হাউস বোটটি আয়তনে, সুযোগ-সুবিধায় এবং সৌন্দর্যে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
এটি বাংলাদেশের অন্যতম বিলাসবহুল প্রমোদতরী যা রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই লেকে পর্যটক নিয়েভ্রমণ করবে। উক্ত প্রমোদতরীর মধ্যে রয়েছে মোট ৮ টি রুম যার প্রতিটি রুমেই আছে এটাচ ওয়াশরুম। এর মধ্যে দুটি রুম আছে সুপার প্রিমিয়াম যেগুলো ব্যালকনিসহ। প্রতিটি রুমেই ৪ জন করে লোক থাকতে পারবে। দু-তলায় একটা বড়ো রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে বোটের গেস্টরা খাওয়া দাওয়া করতে পারবে। বোটের মধ্যেই রান্না করার ব্যবস্থা থাকায় পর্যটকরা তাদের স্বাচ্ছন্দ্যমত সময়েপ্রকৃতি দেখতে দেখতে খাওয়া দাওয়া করতে পারবে। বোটের মধ্যেই রিসোর্ট এর মত সুন্দর রুমের ব্যবস্থা থাকায় রুমের ভিতর থেকেই রাঙামাটির প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো দেখতে পারবে বিছানায় শুয়ে। আর রাঙামাটির সকল পর্যটক স্পট গুলোই কাপ্তাই লেকের তীরে হওয়ায় উক্ত বোটে করেই সকল স্পট গুলো ঘুরতে পারবে পর্যটকরা। রাত্রিযাপনের সুবিধা থাকায় কোনো পর্যটককে আলাদাভাবে রিসোর্ট নেয়ার প্রয়োজন হবে না। এক বোটের মধ্যেই থাকা, খাওয়া এবং ঘুরার সকল সুযোগ সুবিধা পাবে পর্যটকরা। যারা দূর দুরান্ত থেকে ফ্যামিলি বা গ্রুপ নিয়ে ঘুরতে যায় কাপ্তাই লেকের উদ্দেশ্যে তাদের জন্য এইটা খুব ভালো একটা সার্ভিস হবে। বোটটিতে রাঙামাটির বিশেষ পর্যটক প্লেসগুলো পর্যটকরা ২ দিন ১ রাতের জন্য ঘুরতে পারবেন প্যাকেজে। প্যাকেজের মধ্যেই পর্যটকদের জন্য ২ দিনে ৬ বেলা খাবার, ৪ বেলা নাস্তা, সকল স্পট গুলো ঘুরা প্লাস ১ রাত প্রমোদতরীর মধ্যেই ভেসে ভেসে রাত্রিযাপন। প্যাকেজের খরচ প্রতি রুমে ৪ জন করে থাকলে প্রতিজন ৭,৫০০/- টাকা করে পড়বে। ইতিমধ্যে রাঙামাটিতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বোটটি। উদ্বোধনী হওয়ার পরেই রেগুলার বুকিং শুরু হয়ে গেছে বোটটিতে। আপনারা রাঙামাটি রয়েল এডভেঞ্চারকে বেছে নিতে পারেন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। এই বোটের প্যাকেজ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন ০১৭৯৫-৮০৩৭৩১ (আনন্দ) এই নাম্বারে। আপনার বোট লাইফকে আরো আনন্দঘন এবং সুন্দর করে তুলতে পারেন রয়েল এডভেঞ্চারের সাথে কাপ্তাই ভ্রমণ করে।