ঢাকা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রাম ১০ আসনের সাবেক মন্ত্রী ডাঃ আফসারুল আমিনের মৃত্যুতে ১৫ নং বাগমনিরাম ওয়ার্ড এর শোক কবির চৌধুরী ছিলেন দলের একজন পরীক্ষিত সৈনিক কালিয়াকৈরে মসজিদের ধানকে কেন্দ্র করে আহত আট। চট্টগ্রাম ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ডয়ে করোনা যোদ্ধাদের সংবর্ধন অনুষ্ঠানে আ জ ম নাছির শ্রেষ্ঠ শ্রেনী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন রিফাত শিকদার বাস-সিএনজি সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত “মার্কিন ভিসা নীতির পরও বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হয়নি : তথ্যমন্ত্রী” “মাদক চাষের চেয়ে খাদ্য ফলানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ” চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর জন্মদিনের কেক কেটে উদযাপন কমলনগরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আ’লীগ নেতা মোঃ নিজাম উদ্দিন

মতলবে বাইশপুর সপ্রাবি মেঝেতে দেখা দিয়েছে ফাটল,ও গর্ত।

আমিনুল ইসলাম আল-আমিন: নিন্মমানের সামগ্রী আর সংশ্লিষ্টদের নজরদারির অভাবে ভবন নির্মাণের সাত বছরের মধ্যেই বিদ্যালয়ের মেঝেতে দেখা দিয়েছে ফাটল ও গর্ত। সে সাথে ঝড়ে পড়ছে দেয়ালের পলেস্তার। এতে চরম ক্ষোভ আর আতঙ্কে রয়েছেন অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, মতলব পৌরসভার ১৮৪ নং দক্ষিণ বাইশপুর মালেক দেওয়ান- মনিরুজ্জামান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০১১-১২ অর্থ বছরে প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে একতলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। কাজটি করেন মেসার্স নুরুল ইসলাম ট্রেডার্স নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পাঁচতলা ভীত বিশিষ্ট বিদ্যালয়টির প্রথম তলা সম্পূর্ণ হওয়ার পর ২০১৩ সাল থেকে চলছে পাঠদান। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৮০ জন শিক্ষার্থীকে ৫ জন শিক্ষক পাঠদান করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সরকারের গৃহীত বিদ্যালয় বিহীন গ্রামে ১৫শত বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় এই বিদ্যালয়টি নির্মাণ করা হয়। সরেজমিনে মঙ্গলবার ( ৩০ জুলাই) গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের দেয়াল, মেঝে ও ছাদ চুয়ে পানি পড়ছে। এছাড়া একটি কক্ষের মাঝে বড় আকৃতির গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় বেড়া দিয়ে এক পাশে ঝুঁকি নিয়ে শিশুদের ক্লাস করানো হচ্ছে। এছাড়া অফিস ও অন্য দুই কক্ষের মেঝে ফাটল রয়েছে। এতে অভিভাবকরা রয়েছেন চরম আতঙ্কে। যে কোনো সময় ওই শ্রেণি কক্ষের মতই গর্ত সৃষ্টি হলে দেখা দিতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও দাতা সদস্য মহসিন দেওয়ান বলেন, ভবন নির্মাণের সাত বছরের মধ্যে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তা নজির বিহীন। এখনই সংস্কার করা না হলে ঘটতে পারে যে কোনো দুর্ঘটনা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নুরুন নাহার বলেন, বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ অবস্থার বিষয়টি লিখিত আকারে ছবিসহ উপজেলা শিক্ষা অফিসে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের এসএমস্#ি৩৯;র সভাপতি আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান (ভুলু হাজী) ক্ষোভ নিয়ে বলেন, সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় ঠিকাদার নিজের ইচ্ছামতই নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে এই বিদ্যালয়ের কাজটি সম্পূর্ণ করে। যার ফলে সাত বছর না যেতেই মেঝে ও দেয়াল খসে পড়ছে আস্তর। উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম শহিদুল হক মোল্লা বলেন, এই মুহূর্তে ওই বিদ্যালয়ের বিষয়টি ফাইল না দেখে বলতে পারছি না। কাল ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশ্ন নিতে আসলে বিষয়টি জেনে নিব।

Tag :

চট্টগ্রাম ১০ আসনের সাবেক মন্ত্রী ডাঃ আফসারুল আমিনের মৃত্যুতে ১৫ নং বাগমনিরাম ওয়ার্ড এর শোক

মতলবে বাইশপুর সপ্রাবি মেঝেতে দেখা দিয়েছে ফাটল,ও গর্ত।

আপডেট টাইম ০৫:৫১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০১৯

আমিনুল ইসলাম আল-আমিন: নিন্মমানের সামগ্রী আর সংশ্লিষ্টদের নজরদারির অভাবে ভবন নির্মাণের সাত বছরের মধ্যেই বিদ্যালয়ের মেঝেতে দেখা দিয়েছে ফাটল ও গর্ত। সে সাথে ঝড়ে পড়ছে দেয়ালের পলেস্তার। এতে চরম ক্ষোভ আর আতঙ্কে রয়েছেন অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, মতলব পৌরসভার ১৮৪ নং দক্ষিণ বাইশপুর মালেক দেওয়ান- মনিরুজ্জামান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০১১-১২ অর্থ বছরে প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে একতলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। কাজটি করেন মেসার্স নুরুল ইসলাম ট্রেডার্স নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পাঁচতলা ভীত বিশিষ্ট বিদ্যালয়টির প্রথম তলা সম্পূর্ণ হওয়ার পর ২০১৩ সাল থেকে চলছে পাঠদান। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৮০ জন শিক্ষার্থীকে ৫ জন শিক্ষক পাঠদান করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সরকারের গৃহীত বিদ্যালয় বিহীন গ্রামে ১৫শত বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় এই বিদ্যালয়টি নির্মাণ করা হয়। সরেজমিনে মঙ্গলবার ( ৩০ জুলাই) গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের দেয়াল, মেঝে ও ছাদ চুয়ে পানি পড়ছে। এছাড়া একটি কক্ষের মাঝে বড় আকৃতির গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় বেড়া দিয়ে এক পাশে ঝুঁকি নিয়ে শিশুদের ক্লাস করানো হচ্ছে। এছাড়া অফিস ও অন্য দুই কক্ষের মেঝে ফাটল রয়েছে। এতে অভিভাবকরা রয়েছেন চরম আতঙ্কে। যে কোনো সময় ওই শ্রেণি কক্ষের মতই গর্ত সৃষ্টি হলে দেখা দিতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও দাতা সদস্য মহসিন দেওয়ান বলেন, ভবন নির্মাণের সাত বছরের মধ্যে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তা নজির বিহীন। এখনই সংস্কার করা না হলে ঘটতে পারে যে কোনো দুর্ঘটনা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নুরুন নাহার বলেন, বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ অবস্থার বিষয়টি লিখিত আকারে ছবিসহ উপজেলা শিক্ষা অফিসে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের এসএমস্#ি৩৯;র সভাপতি আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান (ভুলু হাজী) ক্ষোভ নিয়ে বলেন, সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় ঠিকাদার নিজের ইচ্ছামতই নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে এই বিদ্যালয়ের কাজটি সম্পূর্ণ করে। যার ফলে সাত বছর না যেতেই মেঝে ও দেয়াল খসে পড়ছে আস্তর। উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম শহিদুল হক মোল্লা বলেন, এই মুহূর্তে ওই বিদ্যালয়ের বিষয়টি ফাইল না দেখে বলতে পারছি না। কাল ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশ্ন নিতে আসলে বিষয়টি জেনে নিব।