ঢাকা ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
“মার্কিন ভিসা নীতির পরও বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হয়নি : তথ্যমন্ত্রী” “মাদক চাষের চেয়ে খাদ্য ফলানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ” চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর জন্মদিনের কেক কেটে উদযাপন কমলনগরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আ’লীগ নেতা মোঃ নিজাম উদ্দিন টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে কেক কেটে বিজয় টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত মেয়র হলে প্রতিটা ওয়ার্ডে মাতৃসদন প্রতিষ্ঠা করা হবে মুফতি ফয়জুল করীম মাদক ব্যাবসায়ীর হামলায় আহত র‍্যাব সদস্যকে দেখতে কুষ্টিয়ায় র‍্যাব-১২ সিও মারুফ হোসেন বরিশাল সিটি নির্বাচন ঃমেয়র প্রার্থীরা সম্পদের হিসাব দিলেন সিটি নির্বাচন বরিশাল। ” চা বিক্রেতা কাউন্সিলর প্রার্থী আইসিসিবিতে বসুন্ধরা ‘এলপিজি নাইট’

বিদ্যালয়ের গা ঘেঁষে বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক খুঁটি, শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের জীবনের ঝুঁকি

রাফিউ হাসানঃ সড়কের মধ্যে কিংবা ঘরের মধ্যে বা দালান ঘেষে বৈদ্যুতিক খুঁটি এমন খবর নিয়ে দেশজুড়ে বেশ হই-চই হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে আর একটি ভয়াবহ চিত্র ধরা পড়েছে চাঁদপুর উপজেলার শাহরাস্তিতে।
চাঁদপুর উপজেলায় শাহরাস্তির রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের ওয়ার্ড নং ৩ এর ফটিকখিরা নামক জায়গাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায় এই ভয়াবহতা।
ফটিকখিরা এস এ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পরে খুঁটি বসানো হয়। বিদ্যালয়ের টিনের স্থাপনা ঘেঁষে ১১ হাজার কিলোওয়াট শক্তিসম্পন্ন লাইন প্রবাহিত হয়েছে। ধান লাগানোর মৌসুমে মাঠে পানি দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত আরো দুটি সহ মোট তিনটি ট্রান্সমিটার বসানো হয়। ২৪২ জন শিক্ষার্থীসহ মোট ১৬ জন শিক্ষক ও অফিস কর্মচারী নিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলে। বৃষ্টি কিংবা হালকা বাতাসে আর্থিং এর কারণে গুনগুন শব্দে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকরাও আতঙ্কে বিদ্যালয়ের সময়টি পার করেন। ফটিকখিরা গ্রামের বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের ব্যাপারটি শঙ্কিত করলেও বিষয়টি নিয়ে মাথাব্যাথা নেই পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের।  ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দিন দিন প্রকট হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক কাঠের খুঁটি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জান-মালের নিরাপত্তার জন্য  জরুরী ভিত্তিতে অন্যত্র জায়গায় সরিয়ে ফেলা একান্ত দরকার। নতুবা যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া নূরে আফনান নামের শিক্ষার্থী বলেন, আমরা প্রতিদিন আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করি।  আমরা ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণের আতঙ্কেও থাকি। আমরা পুরোপুরি আমাদের পড়ালেখায় ঠিকমত মনোযোগ দিতে পারি না। আমরা আমাদের জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম সিদ্দিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অফিসে গেলে তাকে বেলা ১১ ঘটিকায় অফিসে পাওয়া যায়নি। তার এই অনুপুস্থিতির ব্যাপারে অফিসের কেউই ঠিকমতো সদুত্তর দিতে পারেনি।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

“মার্কিন ভিসা নীতির পরও বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হয়নি : তথ্যমন্ত্রী”

বিদ্যালয়ের গা ঘেঁষে বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক খুঁটি, শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের জীবনের ঝুঁকি

আপডেট টাইম ০৬:১০:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০১৯

রাফিউ হাসানঃ সড়কের মধ্যে কিংবা ঘরের মধ্যে বা দালান ঘেষে বৈদ্যুতিক খুঁটি এমন খবর নিয়ে দেশজুড়ে বেশ হই-চই হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে আর একটি ভয়াবহ চিত্র ধরা পড়েছে চাঁদপুর উপজেলার শাহরাস্তিতে।
চাঁদপুর উপজেলায় শাহরাস্তির রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের ওয়ার্ড নং ৩ এর ফটিকখিরা নামক জায়গাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায় এই ভয়াবহতা।
ফটিকখিরা এস এ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পরে খুঁটি বসানো হয়। বিদ্যালয়ের টিনের স্থাপনা ঘেঁষে ১১ হাজার কিলোওয়াট শক্তিসম্পন্ন লাইন প্রবাহিত হয়েছে। ধান লাগানোর মৌসুমে মাঠে পানি দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত আরো দুটি সহ মোট তিনটি ট্রান্সমিটার বসানো হয়। ২৪২ জন শিক্ষার্থীসহ মোট ১৬ জন শিক্ষক ও অফিস কর্মচারী নিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলে। বৃষ্টি কিংবা হালকা বাতাসে আর্থিং এর কারণে গুনগুন শব্দে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকরাও আতঙ্কে বিদ্যালয়ের সময়টি পার করেন। ফটিকখিরা গ্রামের বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের ব্যাপারটি শঙ্কিত করলেও বিষয়টি নিয়ে মাথাব্যাথা নেই পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের।  ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দিন দিন প্রকট হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক কাঠের খুঁটি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জান-মালের নিরাপত্তার জন্য  জরুরী ভিত্তিতে অন্যত্র জায়গায় সরিয়ে ফেলা একান্ত দরকার। নতুবা যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া নূরে আফনান নামের শিক্ষার্থী বলেন, আমরা প্রতিদিন আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করি।  আমরা ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণের আতঙ্কেও থাকি। আমরা পুরোপুরি আমাদের পড়ালেখায় ঠিকমত মনোযোগ দিতে পারি না। আমরা আমাদের জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম সিদ্দিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অফিসে গেলে তাকে বেলা ১১ ঘটিকায় অফিসে পাওয়া যায়নি। তার এই অনুপুস্থিতির ব্যাপারে অফিসের কেউই ঠিকমতো সদুত্তর দিতে পারেনি।